নকশা না মেনে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের হরিজনপল্লী নির্মাণ
০৯ জুন ২০২৩, ০৮:০২ পিএম | আপডেট: ১০ জুন ২০২৩, ১২:০৩ এএম
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে নকশা বর্হিভূতভাবে তড়িঘড়ি করে নির্মাণ করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের হরিজন পল্লী। অভিযোগ ওঠেছে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে নিম্নমানের খোয়ার ব্যবহার ও নকশা না মেনে ঘর নির্মাণ হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে কাজটি চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মৌজা থানা এলাকায় ৩০টি পরিবারের জন্য হরিজন পল্লী গড়ে তোলা হচ্ছে।
ঘর নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। এসময় দেখা যায়, ১০টি ঘর নকশা বর্হিভূতভাবে ১৫ ইঞ্চি গাঁথুনি দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি। তবে বাকি ২০টি ঘরে গাঁথুনি দেয়া হয়েছে। এদিকে ঘরের প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে সিসি ঢালাই ৩ ইঞ্চি দেয়ার কথা থাকলেও সেটিও দেড় থেকে ২ ইঞ্চির বেশি দেয়া হয়নি।
দায়িত্বরত রাজমিস্ত্রি শ্রী খিতিশ চন্দ্র অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন, নকশা টা দেখতে ও বুঝতে ভুল হওয়ায় প্রথম ১০টি ঘরের ১৫ ইঞ্চির গাঁথুনি দেয়া হয়নি এবং ভিত্তির সিসি ঢালাই মাপের থেকে কম আছে। কিন্তু পরবর্তী বাকি ঘরগুলোতে নকশা অনুযায়ী করা হচ্ছে। নিম্নমানের খোয়া দিয়ে ঘর নির্মাণের অভিযোগটি সঠিক নয় বলে দাবি করে তিনি বলেন, সব খোয়া খারাপ নয়, মাঝে মাঝে দুই-এক গাড়ি খারাপ খোয়া থাকলেও বেশির ভাগই ভালো খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে, তিনি মুল দায়িত্বে থাকলেও হারুন নামে অপর একজন মিস্ত্রি ঘরের কাজগুলো করছেন বলে জানান তিনি।
হারুন নামে ওই মিস্ত্রির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রথমে ইস্টিমেট বুঝার ভুলের কারণে দশটি ঘরে ১৫ ইঞ্চির গাঁথুনি দেয়া হয়নি। তবে এটার কারণে ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
ইউএনও অফিস সূত্র বলছে, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন হরিজন সম্প্রদায়ের ৩০টি ঘরের প্রত্যেকটি ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫শ’ টাকা। এতে ৩০টি ঘর নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ৮৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। আবাসন প্রকল্পটি ১০০ শতাংশ জমির ওপর গড়ে তোলা হচ্ছে। পল্লিটিতে ১০ ফুট প্রসস্থ রাস্তা ও মূল সড়কের সাথে একটি সংযোগ সড়কেরও ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। এছাড়াও ১০ শতাংশ জমি শিশুদের খেলার জন্য, ৫ শতাংশ জমিতে কমিউনিটি সেন্টার, ৮ শতাংশ জমিতে শ্মশান গড়ে তোলা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হরিজন সম্প্রদায়ের ঘর নির্মাণে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা শতাংশের ফসলি জমি শতক প্রতি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দরে জমি অধিগ্রহণ করে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। আমাদের কাজ শতভাগ সঠিক ভাবে হচ্ছে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ছাতকে অস্ত্রসহ আন্তঃজেলার ডাকাত সর্দার কুদ্দুছ গ্রেফতার
এনামুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা নেই
আরও এগার দেশের উপরে শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কাশিপুর কলেজের অধ্যক্ষসহ আ: লীগের ৩ নেতা গ্রেফতার
সুবিচার প্রতিষ্ঠায় অবিচল থাকবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী: নায়েবে আমির
হাজীগঞ্জে কৃষক নিহতের জেরে অভিযুক্তদের বসতঘরে অগ্নিসংযোগ
শরীয়তপুরে শ্যালকের হাতে দুলাভাই খুন
এবার যুক্তরাষ্ট্রে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিধ্বস্ত, বেঁচে নেই কেউ
কুষ্টিয়ায় বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল চালকের
খালেদা জিয়ার ৪ চিকিৎসক ঢাকায় ফিরেছেন
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন পানি সম্পদ সচিব
পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা হলে সর্বাত্মক যুদ্ধ, হুঁশিয়ারি ইরানের
সিরাজগঞ্জে বাস চাপায় স্বামী-স্ত্রীসহ নিহত ৩
২২ বছর পর বাবার দেখা পেলেন দুই মেয়ে
জুলাইয়ের চেতনায় নতুনরূপে এবারের বইমেলা: প্রধান উপদেষ্টা
মিরাজের ব্যাটে প্লে অফে খুলনা, রাজশাহীর বিদায়
আসছে ইব্রাহিম-খুশির 'নাদানিয়ান; সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
আগে রাস্ট্র সংস্কার পরে নির্বাচন ক্ষমতায় গিয়ে সংস্কার জনগণ বিশ্বাস করে না -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম
আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট করে দিয়েছে : আফরোজা খান রিতা
মুসলমানদের বিভিন্ন দলে ভাগ করার চক্রান্ত চলছে: ধর্ম উপদেষ্টা