পানি শূন্যতায় তুলসীগঙ্গা
০৯ জুন ২০২৩, ০৮:০৪ পিএম | আপডেট: ১০ জুন ২০২৩, ১২:০৩ এএম
জয়পুরহাট জেলায় ছোট বড় সব মিলিয়ে পাঁচটি নদী রয়েছে। নদীগুলো হলো তুলসীগঙ্গা, ছোট যমুনা, হারাবতী, শ্রী নদী ও চিড়ি নদী। এইসব নদীগুলো বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ২০২০ সালে এদের খনন কাজ শুরু হয় এবং ২০২২ সালের জুনে খনন কাজ সমাপ্তি করা হয়। যার মাধ্যমে ফিরে পেয়েছে এদের নব্যতা। খননের পূর্বে নদীগুলো ছিল একরকম মরা খাল। দীর্ঘদিন ছিল না এদের মধ্যে কোন নদীর বৈশিষ্ট্য। এসব নদীগুলোর নাব্যতা হারিয়েছে প্রায় ২০ বছর আগে। খননের পূর্বে ছোট যমুনা নদী ছিল প্রায় মরা খাল। দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকে উৎপত্তি হওয়া এ নদী ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর ঘুরে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নওগাঁ আত্রাই নদীতে মিশেছে। শুধু ছোট যমুনা নয়, জয়পুরহাটে উপর দিয়ে বয়ে চলা তুলসীগঙ্গা, হারাবতি ও চিনি নদীর একই দশা। ভারত থেকে জন্ম নেয়া চিড়ি নদী জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কল্যাণপুর থেকে শুরু করে আকলপুর পর্যন্ত ৫৮ কিলোমিটার এ নদী। বর্ষার সময় সামান্য পানির দেখা মিললেও থাকে না কোন গতিপথ। জয়পুরহাটের বয়ে যাওয়া এই নদীগুলোর পানি না থাকাই বেকার হয়ে পড়েছেন অনেক জেলেরা। বংশ সূত্রে জেলে হওয়া সত্ত্বেও তারা নেমেছে বিভিন্ন পেশায় কেউ চালাচ্ছে ভ্যান। কেউ আবার করছে দিনমজুরের কাজ। তাদের দাবি নদীগুলো দখলমুক্ত করে আবার নদীর গতিপথ ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনা। এ নদীগুলোর মধ্যে তুলসীগঙ্গা নদী অন্যতম। এ নদীর তুলসীগঙ্গা ইউনিয়নের বিলেরঘাট দর্শনীয় জায়গা হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। স্থানীয়দের দাবি এই তুলসীগঙ্গা নদীর গতিপথ ও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকলে কৃষক ও জেলেরা লাভবান হবেন।
তুলসীগঙ্গা ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা আটি দাসরা গ্রামের জেলে ভবেশ চন্দ্র পাল বলেন, আমরা ছোটবেলায় দেখেছি, বাবা এ নদীতে সারা বছর নৌকা চালাতেন ও পর্যাপ্ত মাছ ধরতেন। কিন্তু এখন আমরা নৌকা চালাতে পারি না। কারণ নদীর অবস্থা আগের মতো আর নেই। এখন আর নদীই মনে হয় না। সারা বছরই প্রায় শুকানো থাকে কাজেই আমরা আমাদের বাপ দাদার পেশা মাছ ধরে রাখতে পারিনি। অন্যদিকে ক্ষেতলাল উপজেলার দাসরা খানপাড়া বাসিন্দা কৃষক মো. আলাউদ্দিন বলেন, আগে আমরা নদী থেকে পানি উত্তোলন করে জমির সেচ করতাম কিন্তু অনেকদিন থেকে আর তা হয় না। তিনি আরো বলেন যদি নদীগুলো পুনরায় সংস্কার করে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে আমরা কৃষকেরা উপকৃত হতাম। তুলসিগঙ্গা এ নদী জয়পুরহাট সদর, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলায় দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে কাজেই এ তিনটি উপজেলার বাসিন্দার কাছে নদীটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাদের কৃষি কাজের জন্য। নদীর তীরে বসবাসকারী ঘোনাপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আব্দুল বাতেন বলেন আমাদের এই তুলসীঙ্গা নদী আরও ভালোভাবে সংস্কার করা উচিত যাতে সব সময় পানি থাকে। তথ্যসূত্রে জানা গেছে জয়পুরহাটের ছোট যমুনা নদীটি ১৯৮২ সালের সর্বশেষ খনন করা হয়েছিল আবার দীর্ঘ ৩০ বছর পর ২০২০ সালে এটি আবার খনন কাজ শুরু ২০২২ সালের জুন মাসে এর সমাপ্তি করা হয়।
জয়পুরহাটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন এ নদীগুলো খনন না করার কারণে এদের গতিপথ ও নাব্যতা ছিল না। এখন চারটি নদী বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ১২৭.০৮ কোটি টাকা বরাদ্দে খনন করা হয়েছে। বাকি একটি নদী বরেদ্র কর্তৃক আট সপ্তাহ আগে এর খনন কাজ শুরু হয়েছে। অনেকদিন পর নদীগুলো এর আসল রূপ ফিরে পেয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন জয়পুরহাটে প্রধান নদীর তুলসীগঙ্গাতে বিভিন্ন কারণে এখন পর্যাপ্ত পানি নেই।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভিআইপি মর্যাদায় সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রীর রিমান্ড শুনানি!
খুনিদের গ্রেফতারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
পেশাব করে টিস্যু ব্যবহারের অনেকক্ষন পরেও পেশাবের রাস্তা ভেজা থাকলে করণীয় প্রসঙ্গে।
সৈয়দপুরে বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে ফল ব্যবসায়ীদের মানববন্দন
সিলেটে ওবায়দুল কাদেরসহ ৭২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
যাত্রাবাড়ীতে বাকপ্রতিবন্ধীসহ আপন দুই বোনকে ধর্ষণ, আটক ১
তিন বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ করবে ইসি
আশুলিয়ায় ৬টি ইটভাটাকে ৩৬ লাখ টাকা অর্থদন্ড
গ্রামে আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা সম্প্রসারণ জরুরি
অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণে টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন হস্তান্তর
বিস্কুটের উপর ভ্যাট বৃদ্ধি কেন?
বিএনপি বনাম নতুন রাজনৈতিক দল
সন্ত্রাসী হামলায় ধলাপাড়া রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা ও বন প্রহরীসহ মারাত্মকভাবে আহত ৯
জামালপুরে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ৫ যাত্রীর মৃত্যু
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে বিভ্রান্তি কাম্য নয়
জামায়াতে ইসলামী মানবিক ও দূর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চায়: ডা. শফিকুর রহমান
‘রক্ত দিয়ে ছাত্ররা যা অর্জন করেছে, তা তাদেরই রক্ষা করতে হবে’
পালিয়ে যাওয়া হাসিনা দেশের মাটিতে আসতে পারবে না : খায়ের ভূঁইয়া
সামরিক শক্তিতে মিয়ানমার-ইরাকের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
সরব হওয়ার দিন