মোরেলগঞ্জে চিংড়ির রেণু আহরণে ধ্বংস হচ্ছে মাছের পোনা
১০ জুন ২০২৩, ০৮:০৪ পিএম | আপডেট: ১১ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
দেশের অন্যতম ভৌগোলিক উপজেলা বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে গলদা-বাগদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ। এই রেণু সংগ্রহ করতে গিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে প্রায় ১ হাজার মাছ ও জলজপ্রাণীর পোনা। সরকার বছরে কয়েকবার জেলেদের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন, তারপরও কেন অবাদে এসব মাছের পোনা নিধন করছে সেটা বোধগম্য নয়। অনেকটা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে এসব জলজপ্রাণীর ধ্বংসযজ্ঞ। গত শুক্রবার দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, নিষিদ্ধ মশারি জাল দিয়ে জেলেরা চিংড়ি রেণু আহরণ করছেন। সেগুলো কিনে নিয়ে স্থানীয় ব্যাপারীরা দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে বাগেরহাটের বিভিন্ন চিংড়ি ঘের মালিকদের কাছে। রেণু সংগ্রহের কাজটি অবৈধ হলেও জীবিকার তাগিদে প্রকাশ্যেই চলছে এ কাজ। পানগুছি নদীতে মশারি নেট জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা যায়, বছরের মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত। মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় পোনা ধরার ক্ষেত্রে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পানগুছি নদীর তীরবর্তী গ্রাম যেমন সোনাখালী, ঘষিয়াখালী, ফুলহাতা, পুটিখালি, বলইবুনিয়া, পঞ্চকরনের সুইচগেট, বারইখালী, সদর ইউনিয়নের খাওলিয়ার ভাঙা নামক এলাকা, খাওলিয়ার মধ্য বরিশালসহ কয়েকটি গ্রামে প্রতিদিনই রেণু চিংড়ি পোনা আহরণ করা হচ্ছে। মোরেলগঞ্জের কয়েক হাজার মানুষ চিংড়ি পোনা আহরণ করে এই সময়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। দেখা যায় জেলেরা শুধু বাগদা-গলদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করে অন্যান্য মাছের রেণু ও জলজপ্রাণী ফেলে দিচ্ছে। স্থানীয় ঘের মালিকরা এদের কাছ রেণু পোনা সংগ্রহ করছে।
গত শুক্রবার স্থানীয় একজন জেলে জানান, চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করার সময় কোরাল, কাঁকড়া, চিরিং, বাইলা, তফসে, বাটা, চাপিলা, ফাসসে, টেংরা, পোয়া, কাঁচকিসহ অনেক প্রজাতির পোনাও ওঠে আসে। তারা শুধু চিংড়ি পোনা রেখে বাকিগুলো ফেলে দেন। তিনি জানান, প্রতিটি চিংড়ির পোনার জন্য তারা ভালো দাম পান। অন্য মাছ ফেলে দেই, সাইজ একটু বড় হলে কাচকী মাছ হিসেবে বাজারে বিক্রি করে দেই। একটি গলদা বা বাগদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করতে গিয়ে অন্য অনেক প্রজাতির মাছের পোনা ধ্বংস হয়ে যায়। এর সাথে ধ্বংস হয় অন্যান্য জলজজীবের পোনা বা রেণুও।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, আমরা প্রতি বছর অভিযান পরিচালনা করি। এ বছরও অভিযান চলবে। সব সময় না পারলেও মৌসুমের সময় মাঝে মধ্যেই অভিযান চালানো হয়। তিনি আরো জানান, মশারির ঠেলা জাল দিয়ে এই রেণু সংগ্রহের কোনো বৈধতা নেই। কিছু কিছু জেলেরা এই রেণু পোনা সংগ্রহ করে তাদের জীবন চালায়। এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল লিটারে ১ টাকা
গ্রাফিতি মুছে ফেলায় উত্তাল উত্তরা
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ইয়ামিনের অসুস্থ বাবার পাশে ইউএনও
খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখা পুনর্গঠন সম্পন্ন
দ্রত বর্ধনশীল পেকিন জাতের হাঁস পালনে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে নওগাঁর গ্রামীণ গৃহবধূরা
ভৈরবের সুমন মিয়া অবৈধ পথে ইতালি যাওয়ার চেষ্টায় ভূমধ্যসাগরে মৃত্যু
জনগণ আমাদেকে সুযোগ দিলে শাসক হবো না, চৌকিদার হবো : ড. ফারুকী
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেন শাপুর জাদরান
রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দাবিতে টঙ্গীবাড়ি জাসাসের কর্মী সম্মেলন
পাকিস্তানে ত্রিদেশিয় সিরিজে নিউজিল্যান্ড দলে ডাফি
জুলাই গনহত্যার জড়িতদের বিচারের দাবিতে সিলেটে ছাত্রশিবিরের 'গণমিছিল'
মতলবের মেঘনায় মরা মাছ ভেসে ওঠার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
টঙ্গীর তুরাগ তীর মুখি মুসুল্লিদের ঢল অব্যাহতঃ ইজতেমা ময়দানে সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত
নরসিংদীতে ২৫ জন মহিলা কোরআনের হাফেজাদের সংবর্ধনা
গ্রাফিতি মুছে ফেলায় আন্দোলনে উত্তাল উত্তরা
প্লে অফে মুখোমুখি রিয়াল-সিটি
সিলেটে গণসমাবেশ: সকল পাথর ও বালু মহাল খুলে দেওয়ার দাবি, নইলে কঠোর কর্মসূচি
লেবার কোর্ট বার এসোসিয়েশন নির্বাচনে ১৫ সদস্যের মধ্যে সাত্তার-শাহেদ প্যানেলের ১১টিতে জয়
ছয় মাসেও অধরা মানুষ মারার গল্পে ভাইরাল এসপি ইকবাল
মধুচন্দ্রিমা শেষে চাপ বাড়ছে অন্তর্বর্তী সরকারের