বন্যায় ডুবে গেছে গো-চারণ ভূমি
০৪ আগস্ট ২০২৩, ০৯:০৩ পিএম | আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম
বন্যায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া ও পাবনা জেলার ফরিদপুর, ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর উপজেলার বিস্তৃর্ণ গোচারণ ভূমি পানিতে ডুবে গেছে। ফলে এ দুই জেলার গো-খামার মালিকরা তাদের গবাদি পশু নিয়ে পড়েছে চরম বিপাকে। কোন মতে গবাদি পশুগুলো চারণ ভূমি থেকে এনে উচুস্থানে রাখা হয়েছে। যাদের বাড়িতে জায়গা নেই তারা অপেক্ষাকৃত উচুঁস্থানে আশ্রয় নিয়েছে। চারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশুর খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছে বড় বড় গো-খামারিরা।
খামারিরা জানান, শাহজাদপুরের পশ্চিমে বয়ে যাওয়া গোহালা নদীর কোল ঘেষে পোতাজিয়া ইউনিয়নের রাউতবাড়ি, বড়ভিটা, ছোটভিটা, বুড়িরভিটা, কুটির ভিটাতে এবং কাউয়ার্ক এবং হান্ড্রী এলাকায় গোচারণ ভূমিগুলোতে প্রতি বছরই বাথান নেয়া হয়। এখানে ৬/৭মাস পর্যন্ত গবাদিপশু বাথান এলাকায় অবস্থান করে। বন্যার পানি গোচারণ ভূমি থেকে নেমে যাওয়ার পর আবাদকৃত ঘাস খাওয়ার উপযোগী হলেই গবাদিপশু বাথানে নেয়া হয়।
শাহজাদপুর উপজেলার রেশমবাড়ি গ্রামের গো-খামারি আব্দুল হামিদ জানান, বন্যার কারণে তারা গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। ঘাসের জামগুলি পানিতে ডুবে যাওয়ায় তারা কোন মতে খড় খাওয়ায়ে পশুগুলি বাঁচিয়ে রেখেছেন। এছাড়া বন্যার সুযোগে খৈল ভুষিসহ বিভিন্ন ধরনের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে তারা বিপাকে পড়েছেন।
পোতাজিয়া এলাকার খামারী মমতাজ উদ্দিন জানান, চাহিদা অনুযায়ী গাভীগুলোকে খাবার দিতে না পারায় দিন দিন দুধের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ফলে তারা লোকসানে মুখে পড়ছেন। দুধের উৎপাদনও অনেক কমেছে। এ ব্যাপারে তারা মানুষের পাশাপাশি গরুর খাবার বিতরণের জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি আরও জানান, শুধুমাত্র ভূষির ওপর খামার টিকিয়ে রাখা খামারিদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। দুগ্ধ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, এই এলাকায় প্রায় ১৫০টির অধিক বাথান ছাড়াও ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকেই গাভী পালন করে আসছে। যা থেকে প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ৩৫ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয়।
রেশমবাড়ি এলাকার খামারি আব্দুস সোবহান জানান, বন্যায় জমি ডুবে যাওয়ায় কাঁচা ঘাসের অভাবে দুধের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। এছাড়া দানাদার খাবার ও খড়ের দাম বেশি। এই অবস্থা বিরাজ করলে খামারিরাও তাদের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার বলেন, রোগব্যাধী নিয়ন্ত্রণের জন্য গবাদিপশুকে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। এছাড়া খামারিরা বন্যাকালিন সময়ের জন্য ভূট্টা নেপিয়ার ঘাস দিয়ে সাইলেজ তৈরি করে রেখেছে। যা বন্যাকালিন সময়ে সেগুলো গবাদি পশুকে খাওয়ানো হচ্ছে। বিষয়টি উদ্ধোতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কোন সাহায্য পেলে খামারিদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শিল্পকলায় শুরু হয়েছে মাসব্যাপী ভাস্কর্য প্রদর্শনী
এনআইডির তথ্য বেহাত, কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলো ইসি
সোনারগাঁও বুরুমদী উচ্চ বিদ্যালয়ের হীরক জয়ন্তী উদযাপন
ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার পাওনা টাকা পরিশোধ না করলে মামলা- পৌর প্রশাসক
সাদপন্থী তাবলীগের মুখপাত্র মুয়াজের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
পূর্বাচলে বুয়েট ছাত্রের মৃত্যু : তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
লক্ষ্মীপুরে সরকারি রাস্তা কেটে যুবলীগ নেতার চাষাবাদ, প্রতিবাদে মানববন্ধন
কলাপাড়ায় গরু চুরি করে পালানোর সময় জনতার হাতে আটক চোর
এবার পানামা খাল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার হুমকি ট্রাম্পের
মাগুরায় গ্রামবাসির সংঘর্ষে নিহত যুবদল নেতা শরিফুলের বাড়িতে বিএনপি নেতারা
সিমকার্ডের আড়ালে সীমান্তে বেড়েছে চোরাচালান
কিশোরগঞ্জের আব্দুল কাহার আকন্দ কোথায়? কেউ জানে না!
হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি
যুক্তরাষ্ট্র ও লন্ডনে ৩শ’ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
রাজশাহী মহানগরীতে ঘন কুয়াশা
আবারও ভানুয়াতুতে দ্বীপপুঞ্জে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প
হাজীগঞ্জে ভরাট মিঠানিয়া খালের মুখ, হুমকিতে ফসলি জমি
রাহাতের সুরের মুর্ছনায় বিমোহিত দর্শক, বাংলায় বললেন 'আমরা তোমাদের ভালোবাসি'
‘প্রশাসন ক্যাডার নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে’
যুক্তরাজ্যে ট্রাম্পের বিশেষ দূত হিসেবে মার্ক বার্নেট নিযুক্ত