সরকারি খাল দখল করে বাড়ি, দোকান ও কালভার্ট নির্মাণের অভিযোগ
১৪ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৩৮ পিএম | আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৭ এএম
কুমিল্লার মুরাদনগরে সরকারি খাল দখল করে পাকা বাড়ি ও কালভার্ট নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস বিষয়টি অবহিত থাকলেও রহস্যজনক কারণে কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়ায় স্থানীয়দের মাধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার নবিপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নবিপুর শ্রীকাইল আঞ্চলিক সড়কের পাশে নবিপুর দক্ষিনপাড়া এলাকায় খাল দখল করে পাকা দোকানঘর,বাড়ি ও কালভার্ট নির্মাণ করছেন স্থানীয় নবিপুর গ্রামের কারী আব্দুল মালেকের ছেলে আক্তার হোসেন, মৃত ফজলুল হকের ছেলে আলী আশরাফ, মৃত আব্দুল মতিন এর ছেলে শাহ আলম, মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে শিরো মিয়া, মৃত মৌলভী বাচ্চু মিয়ার ছেলে বাকিস। এদের মধ্যে খালের অংশ দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেছেন আলী আশরাফ। তবে আলী আশরাফের দাবি এটি সরকারি খাল নয়, তার নিজস্ব জমি। তবে স্থানীয় লোকজন বলছে, এটি সরকারি খাল। এক সময় প্রবাহমানও ছিল। তবে অব্যাহত দখল ও দূষণে খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় জানান, এক যুগ আগেও এ খাল দিয়ে নৌকা চলতো। অনেক জেলে এ খাল থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত। এখন আর দেখে বুঝার উপায় নেই এখান দিয়ে খাল প্রবাহিত হয়েছিল। বর্তমানে দখলদাররা রাতারাতি পাকা ভবন, কালভার্ট, দোকানঘর নিমার্ণ করে খালের অংশ দখল করে রেখেছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে দখলদারা প্রভাবশালী স্থানীয় নেতা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের লোকজনদের বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করেই খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। দখলদার আলী আশরাফ বলেন, আমার বাড়ির পরিমাপ করার পর আমার পুরো সম্পত্তি বুঝে পাচ্ছিলাম না। তাই খালের অংশে এসে বাড়ি নির্মাণ করেছি। তাছাড়া আমরা বিবেকবান মানুষ বলেই পানি চলাচলের ব্যবস্থা রেখেছি। এখানে কোনো সরকারি জায়গা নেই। তাছাড়া বাড়ি নির্মাণ করার সময়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগাযোগ করে বাড়ি নির্মাণ করেছি। দখলদার আক্তার হোসেন বলেন, আমি বাড়িতে যাওয়ার জন্য কালভার্ট নির্মাণ করেছি। এখানে সরকারি জায়গার পাশাপাশি আমাদের মালিকানা জায়গায় আছে। সরকারি খালের অংশে যদি আমাদের কোনো স্থাপনা থেকে থাকে তাহলে সরকার চাইলে দিয়ে দেব।
নবিপুর পশ্চিম ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকতা শফিকুল ইসলাম বলেন, খাল দখলের বিষয়টি আমি জানার পর আমি সরজমিনে গিয়ে জায়গাটি পরিদর্শন করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল হুদা বলেন, সরকারি খাল দখল করার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের সরকারি সার্ভেয়ার ও দখলকারীদের পক্ষ থেকে একজন সার্ভেয়ার নিয়ে অচিরেই খালের সীমানা নির্ধারণ করা হবে। সরকারি খাল দখল করে থাকলে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
প্রভাবমুক্ত নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর নতুন জ্বালানি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের দাবি : টিআইবি’র
হেপাটোলজি সোসাইটির নতুন সভাপতি প্রফেসর শাহিনুল আলম, মহাসচিব মো. গোলাম আযম
এনসিটিবি চেয়ারম্যান ওএসডি
জামিন পেলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম
নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো সুযোগ নেই : আমীর খসরু
দুই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরখাস্ত
মানসম্মত ও জীবনমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে শিক্ষক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে -বাউবি ভিসি
চিত্রনায়িকা নিঝুমকে অপহরণ চেষ্টা
দেশে মানসম্মত শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে
ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ
সালথায় চলছে মাটিকাটা ও বালু উত্তোলনের মহোৎসব, নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক
ডিআরইউকে ৫ লাখ টাকা অনুদান দিলো দৈনিক ভোরের আকাশ
ভোগাই নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের অভিযোগে ৩ জনের জেল, সরঞ্জাম ধ্বংস
চাঁদপুরে মেঘনায় ভেসে উঠছে মরা মাছ ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে
সিলেটে ইউনিমার্টের প্রথম বর্ষপূর্তি, বিজয়ীরা পেলেন পুরস্কার
ইসলামী আন্দোলনের আমিরের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বৈঠক কাল
দিনাজপুরে অনুর্ধ্ব-১৭ বালক-বালিকাদের জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টে
এক অজু দিয়ে তিন ওয়াক্ত নামাজ পড়া প্রসঙ্গে?
মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিএনপির সাংবাদিক সম্মেলন
মহড়ায় যোগ দিতে পাকিস্তানের পথেবানৌজা সমুদ্র জয়’