বড়খালে রাতারাতি যমুনা নদীতে বিলীন বসতভিটা
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:২৫ পিএম | আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার যমুনা নদীতে শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন। দুশ্চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে নদী পাড়ের মানুষ। সকালের তন্দ্রা ঘুম ভাঙছে বসতভিটার ভাঙন কম্পনে।
চলতি বছর চতুর্থবারের মতো দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার যমুনা নদীতে পানি বেড়েছে। সর্বশেষ বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ১৭ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে শতাধিক একর ফসলি জমি ও বসতভিটা আবারও পানিবন্দি হয়ে আছে। সাথে পূর্বের তুলনায় এবার ভাঙন ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে ।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চিকাজানি ইউনিয়নের বড়খাল এলাকার হলকারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেলোয়ার হোসেন হাই স্কুল, দেলোয়ার হোসেন এবতেদায়ী মাদ্রাসাসহ বড়খাল জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠান চারটি যেকোন সময় নদীতে চলে যাবে এবং ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সদ্য নির্মাণ করা হরিণ ধরা বাঁধটিও রয়েছে হুমকির মুখে। বাঁধের সুইচ গেটসহ বিভিন্ন জায়গা ঢলে গিয়েছে। নদী থেকে স্থাপনাগুলো ও বাঁধটির দূরত্ব মাত্র ৩০-৪০ মিটার ।
আরো জানা যায়, ফসলি জমির পাশাপাশি ইতোমধ্যে বড়খাল এলাকার ৫০টি এবং মাঝি পাড়ার এলাকার ১০টি বসতভিটা সম্পূর্ণরূপে যমুনার গর্ভে। এছাড়াও ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে এই ইউনিয়নের পলাশ পুর, খাঁন পাড়া এলাকার বাসিন্দারা ।
যমুনায় বসতভিটা হারানো তোতা মিয়া বলেন, আমার বাড়ি থেকে নদী দূরেই ছিল। গত বৃহস্পতিবার ভোর বেলা ঘুমের ভেতর বুঝতে পারি আমার ঘর দেবে যাচ্ছে। চিৎকার দিয়ে ঘরের বাইরে আসি। দেখি ভিটার অর্ধেক নদীতে চলে গেছে। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এসে আমার স্ত্রী, ছেলে মেয়েসহ সবাইকে উদ্ধার করে। একই সময়ে আমার আপন ভাই এরশাদের বসতভিটাও নদীতে যায়।
এই এলাকার আরেক বাসিন্দা বারেক সেও কয়েকদিন আগে ভোর বেলা বিছানা থেকে বুঝতে পারে থাকার ঘর দেবে যাচ্ছে। চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এসে পরিবারের লোকজনকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করে।
বড়খাল বাসিন্দা আলী হায়দার বাবুল, শফিকুল ইসলাম, রসূল, সাদিকুল, সুমন ও ওয়ার্ড মেম্বার শেখ আতিকুল ইসলাম আনম বলেন, ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছে হলকারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-কাম-বন্যাআশ্রয় কেন্দ্রে। আবার অনেকে ঠাঁই গুজেছে আতœীয়ের বাড়িতে। প্রতি বছর বসতভিটাসহ ফসলি জমি নদী গর্ভে যাচ্ছে। স্থায়ী নদীশাসন ব্যাবস্থা ছাড়া এই ভাঙন রোধ সম্ভব হবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার শেফা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বড়খাল এলাকায় যমুনার ভাঙন রোধে জিও ডাম্পিং কাজ চলমান আছে। গত কয়েকদিন থেকে ভাঙন বেড়ে গেছে। খবর পেয়ে সরেজমিন তদন্ত করেছি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ হয়েছে সেখানে ভাঙন রোধের বাজেট বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে ।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
যশোরে আদালত চত্বরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের বিক্ষোভ
ফাইনালে মুখোমুখি মেট্রো-রংপুর
চুয়াডাঙ্গার গোয়ালপাড়া থেকে ১ কেজি ১৯৪ দশমিক ৩২ গ্রাম ওজনের ৪টি অবৈধ স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বিজিবি
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নিরপেক্ষ ভেন্যু দুবাই
কুয়াকাটা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম’র সভাপতি কাজী সাঈদ, সম্পাদক মিজান
শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর চিঠি নিয়ে যা জানাল ভারত
বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশনে আছেন যারা
‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন’-এ বারের অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রস্তাব
সোনারগাঁওয়ে বাস-অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০
মামলা রেকর্ড করতে ঘুষ গ্রহণ, কুষ্টিয়ায় ওসি ও এসআই ক্লোজ
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জামায়াতের ২ কর্মী বহিষ্কার
পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের গত ১৭ বছরের নির্যাতন ভুলে যাবার সুযোগ নেই: আমিনুল হক
পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চে প্রাক বড়দিন উৎসব অনুষ্ঠিত
পূর্বধলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে ইসলামী যুব আন্দোলনের কম্বল বিতরণ
ধর্ম-বর্ণ নয়, সমান মর্যাদায় হোক নাগরিক পরিচয়: জোনায়েদ সাকি
এসবিএসি ব্যাংকের শরিয়াহ্ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
আ.লীগের হাতেও নির্যাতিত হয়েছিলেন সেই মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু তুলে ধরেনি গণমাধ্যম!
ভারত বাংলাদেশ থেকে বস্তা বস্তা টাকা লুট করেছে : দুদু
আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে সিটিজেন’স চার্টার অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
মতিঝিলে বিশ্বমানের ডায়াগনস্টিক সেবা প্রদান শুরু আইসিডিডিআর,বি’র