সৈয়দপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে রেশম চাষ
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৩ পিএম | আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:২৯ পিএম
নীলফামারীর সৈয়দপুরে কোনো প্রকার পুঁজি ছাড়াই লাভবান হওয়ার কারণে হতদরিদ্র নারী-পুরুষের মাঝে রেশম গুটি চাষ ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দারিদ্র বিমোচনে ভূমিহীন, গৃহহীন নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টির লক্ষ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের রেশম সম্প্রসারণ কেন্দ্রের মাধ্যমে এই প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে। ফলে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে কয়েক হাজার হতদরিদ্র নারী-পুরুষের। সৈয়দপুর রেশম সম্প্রসারণ কেন্দ্রের ম্যানেজার রেজাউল করিম বলেন, দারোয়ানির একটি গ্রাম থেকে শুরু করে এখন এর বিস্তৃতি ঘটেছে নীলফামারীর ৬ উপজেলা এবং রংপুরের দুই উপজেলা তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ। নীলফামারীর সৈয়দপুরে কৃষি শ্রমিক ও দিনমজুরের সংখ্যা বেশি। প্রান্তিক জনপদে এখনো রয়েছে প্রচুর বেকার নারী-পুরুষ। এদের অনেকের মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকলেও নাই কর্মসংস্থানের কোনো ব্যবস্থা। এসব মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে রেশম সম্প্রসারণ কেন্দ্র নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১৯৮৯ সালে মাত্র ৩ জন চাষি নিয়ে শুরু করেন রেশম গুটি চাষ। পোঁকা দিয়ে রেশম গুটি চাষ, প্রথম দিকে ঘিন্নায় আগ্রহ দেখাত না মানুষ। কিন্তু বর্তমানে চিত্র ভিন্ন। কয়েক হাজার নারী-পুরুষ গুটি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। প্রথম দিকে মানুষের অনাগ্রহে প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মীরা নিরুৎসাহিত না হয়ে চেষ্ঠা অব্যাহত রাখেন। বাড়ি বাড়ি যেয়ে নারী-পুরুষদের নিয়ে এসে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। পুরো প্রক্রিয়াটি তিনটি ধাপে-তুতগাছ লাগানো,পলু পালন ও গুটি তৈরির মাধ্যমে শেষ হয়। এই তিনটি প্রক্রিয়া পর্যন্ত সবধরনের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা করেন রেশম সম্প্রসারন প্রকল্প। বলা যায়, বিপণনসহ শ্রম ও সামান্য জমি ছাড়া প্রায় সব সহযোগীতা পান চাষিরা। শুরুর ৬০০ কেজি গুটির জায়গায় এখন ২০ থেকে ২৫ হাজার কেজি গুটি উৎপাদন হচ্ছে। এ ছাড়া পোকার খাবারের জন্য মোট ১২০ বিঘা জমিতে ২ লাখ ৬০ হাজার তুত গাছ লাগানো গয়েছে। খাতামধুপুর ইউনিয়নের চাষি জসিম উদ্দিন জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে রেশম চাষ করেছেন। এখান থেকে তিনি আয় করবেন ৮০ হাজার টাকা। যা অন্য কোনো ফসল চাষ করে পাওয়া যেত না। একই কথা বলেন, কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাষি আনিছুর রহমান। তিনিও এক বিঘা জমিতে রেশম চাষ করেছেন। তারাগঞ্জ উপজেলার চাষি কৃষ্ণা রানী ও সুবল দাস বলেন, প্রথমে রেশম চাষে তারা আগ্রহী ছিলেন না। পরে প্রশিক্ষণে এসে তাদের মনমানসিকতা পরিবর্তন হয়, শুরু করেন চাষ। অভাবের সংসারে এখন সচ্ছলতা এসেছে বলে জানান তারা। রেশম সম্প্রসারন প্রকল্পের কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, এটা চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করছি এই প্রকল্পের পরিধি ক্রমেই বৃদ্ধি পাবে। এর বিস্তৃতিতে এলাকায় দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক হবে।
খাতামধুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ রানা পাইলট বাবু জানান, পরিত্যক্ত জমি, নদীর পাড়, পুকুরের পাড়, রাস্তার ধারে রেশম চাষ করা যায়। এটি অত্যন্ত লাভজনক চাষ। আমার ইউনিয়নে এ চাষ হওয়ায় চাষিদের ধন্যবাদ জানান তিনি। কোনো ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন হলে তিনি করবেন বলে জানান।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল
মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোরে নিহত ৯৪
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
রাফালের আগমনে ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি
উত্তর প্রদেশে নিহত ৩ খলিস্তানি নেতা
ভারতে বাল্যবিবাহবিরোধী অভিযানে আটক ৫০০০
মুজিবল্যান্ড বানিয়ে হিন্দুস্তানে থাকুক আ.লীগ : রাশেদ প্রধান
গ্রেফতার ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
পানামা খাল দখলের হুমকিকে ভর্ৎসনা পানামা প্রেসিডেন্টের
স্বৈরাচারের দোসর শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী-সন্তানসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা