ব্রহ্মপুত্রের করাল গ্রাসে শত শত বসতভিটা
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৫২ পিএম | আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৩৬ এএম
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ গ্রাস করছে ফসলি জমিসহ শত শত বসতভিটা। তীব্র ভাঙনে হতাশ প্রায় দশ গ্রামের লাখো মানুষ।
চলতি বর্ষা মৌসুমে চতুর্থ বারের মতো ব্রহ্মপুত্র নদে পানি প্রবেশ করেছে। ইতোমধ্যে পানি কমতে শুরু করেছে। কিন্তু ভাঙন অব্যাহত। প্লাবিত পানি নিচু এলাকার মানুষদের পানিবন্দি করার পাশাপাশি আগাম চাষ করা সবজি বীজ ও রোপা আমন ধান নষ্ট করেছে। সেই সাথে গত কয়েক বছর ধরে শান্ত থাকা ব্রহ্মপুত্র আবারো দেওয়ানগঞ্জবাসীকে দেখিয়ে দিলো তার কড়াল গ্রাসের চিরচেনা রূপ।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের ঝালোরচর, নয়াগ্রাম, মুন্সিপাড়া, ভাংগার গ্রাম, সর্দারপাড়া, মধ্য পোল্যাকান্দি, পোল্যাকান্দি নয়াপাড়া ও পশ্চিমপাড়াসহ পাশের অন্যান্য এলাকাগুলো এ বছর ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙনের শিকার। কেউ হারাচ্ছে বসতভিটা, কেউ ফসলি জমি। আবার কেউ দুটোই হারিয়ে সর্বহারা। ভাঙনের শিকার পরিবারগুলোর আশ্রয় জুটেছে রাস্তার ধারে বা নিকট স্বজনের বাড়িতে।
উল্লিখিত গ্রামগুলোর মধ্য সবচেয়ে বেশি ভাঙনের শিকার পোল্যাকান্দি। এখানে ৩ কি.মি. এলাকাজুড়ে চলছে ভাঙনের তান্ডব।
পোল্যাকান্দির রহিতন বেওয়া (৭০) বলেন, আমি অন্যের বাড়ি কাম করে ভাত খাই। আমার একমাত্র সম্বল ভিটে-বাড়ি টুকু গত দু’দিন আগে ব্রহ্মপুত্র গিলেছে। আমি এখন যাবো কোথায়।
একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিম, কাক্কু, ইসরাফিল, ফজলু, হযরত, জাহাঙ্গীরসহ অনেকেই জানায়, এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ বিঘা ফসলি জমি ও ৬০-৭০টি বসতভিটা নদীতে গেছে। উপজেলা সদর এবং ইউনিয়ন থেকে এলাকাটির যোগাযোগ ব্যাবস্থা ভেতরের দিকে হওয়াই উপজেলা প্রশাসন বা স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের কোন সাহায্য সহযোগিতার হাত এখনও আমরা দেখিনি।
শিয়ালের টেক এলাকার বাসিন্দা ইনতাজ ও মুনতাজ দু’ভাই বলেন, রাতারাতি ব্রহ্মপুত্র নদে আমাদের বসতভিটা চলে গেছে। ফসলি জমি দিন দিন ভাঙছে। আমরা একেবারে নিঃশ^ হয়ে যাচ্ছি। রাস্তার ধারে ছাপরা ঘর তুলে আশ্রয় নিয়েছি। আমাদের মতো এই এলাকায় প্রায় ৫০ জনের ঘরবাড়ি নদীতে গেছে। ওদিকে কান্দির গ্রাম এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ নিরবে গ্রাস করেছে শতধিক একর ফসলি জমি।
ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দা নুর-ই-ইলাহী, সহিজল, আকাদসহ অন্যান্যরা জানায় বাহাদুরাবাদ ইউনিয়ন ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনের শিকার। আমরা পোল্যাকান্দিসহ অন্যান্য এলাকাগুলোতেও জিওব্যাগ ডাম্পিং করে সাময়িক ভাঙন রোধ ও স্থায়ী নদী শাষন ব্যাবস্থা চাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার শেফা দৈনিক ইনকিলাব’কে বলেন, এই এলাকাগুলোর ব্যাপারে ওই ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট কেউ তথ্য প্রদান করেনি। তথ্য পেলেই আমি ব্যাবস্থা নিবো।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল
মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোরে নিহত ৯৪
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
রাফালের আগমনে ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি
উত্তর প্রদেশে নিহত ৩ খলিস্তানি নেতা
ভারতে বাল্যবিবাহবিরোধী অভিযানে আটক ৫০০০
মুজিবল্যান্ড বানিয়ে হিন্দুস্তানে থাকুক আ.লীগ : রাশেদ প্রধান
গ্রেফতার ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
পানামা খাল দখলের হুমকিকে ভর্ৎসনা পানামা প্রেসিডেন্টের
স্বৈরাচারের দোসর শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী-সন্তানসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা