নেশার নীল ছোবলে আসক্ত হচ্ছে কলারোয়ার যুব সমাজ
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৩ পিএম | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ এএম
কলারোয়া সীমান্তে বিশেষ কায়দায় তৈরি ‘দড়িকল’ এর সাহায্যে নদী পথে ভারতীয় ফেনসিডিলসহ মাদক দ্রব্য পাচার করে আনা হচ্ছে। ফলে সীমান্তবর্তী এলাকায় যত্রতত্র ফেনসিডিলের ছড়াছড়ি। প্রতক্ষ্যদর্শীর উদ্ধৃতি দিয়ে একাধিক সীমান্ত সূত্র জানায়, বর্ষাকলে সীমান্তে সোনাই ও ইছামতী নদী পানিতে ভরপুর। নব্যতা না থাকায় উত্তর বড়ালী থেকে কেড়াগাছি পর্যন্ত সোনাই নদী কচুরিপানায় ভরা। কচুরিপানার নিচ দিয়ে এপার ওপার দড়ি বাধা আছে। টানা দেয়া দড়িতে সময় সুযোগ মত মোবাইলে সংকেত দিয়ে ঝুলিয়ে দেয়া হয় পলিপ্যাক মোড়ক করা ফেনসিডিলের পোটলা বা কার্টুন। অপর একটা দড়ি টেনে ফেনসিডিল বা মাদকের পোটলা বা কার্টুন ভারত থেকে বাংলাদেশ কিনারে আনা হচ্ছে। এরপর নদী থেকে ফেনসিডিল তুলে এনে দেশের অভ্যন্তরে পাঠানো হচ্ছে এবং এলাকায় বিপনন হচ্ছে। ভাদিয়ালী থেকে কেড়াগাছি পর্যন্ত সোনাই নদীতে কয়েকটি পয়েন্টে ‘দড়িকল’ দিয়ে ফেনসিডিলসহ মাদক পাচারের কাজ চলছে। এছাড়া উপজেলার চান্দুড়িয়া (গাড়ালবাড়ি) ইছামতী নদী পথে আসছে ফেনসিডিল। বিজিবি টহল বদলের সময় এবং বিজিবিকে ভুল ইনফরমেশনে ব্যাস্ত রেখে বা কিছু খাওয়ায় ব্যাস্ত রেখে নদী থেকে ফেনসিডিল তুলে আনা হয়। সীমান্তে ফেনসিডিল পাচারের নেতৃত্বে রয়েছে জনৈক ইয়ারালী, জনৈক আশরাফুল, জনৈক নাসির ও ইশারুল। এরা সীমান্তে প্রভাবশালী নেতা হিসাবে পরিচিত। এই প্রভাবশালী নেতাদের আয়ের উৎসের সংগে অতীত ও বর্তমান সম্পদের পরিমাণ দেখলে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হয়ে আসবে বলে সূত্র জানায়।
এদিকে উত্তর ভাদিয়ালী ফুলতলা থেকে কালিবাড়ি পর্যন্ত জনৈক শাহিনের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশতাধিক যুবক বিকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ফেনসিডিলসহ মাদক বেচাকেনায় নিয়োজিত থাকে। বিকাল হলে মোটরসাইকেলে এবং মাঝে মাঝে প্রাইভেট, মাইক্রো ভদ্রবেশী মাদক সেবীদের আগমণ ঘটে এই মাদক হাটে। ক্রেতাদের একটি নির্ধারিত স্থানে যেতে বলা হয়। আর পথিমধ্যে ক্রেতার হাতে ফেনসিডিল বা মাদক পৌছে দেয়া হয়। একই কায়দায় জনৈক রেজার নেতৃত্বে সোনাবাড়িয়া-বালিয়াডাঙ্গা সড়কের পূর্বপাশে দক্ষিণ সোনাবাড়িয়ার শেষ প্রান্তে বিল পাড়ে গড়ে উঠেছে অপর মাদক স্পট। সীমান্ত থেকে আনা ও ক্রেতার চাহিদার মাদক পৌছানোর জন্য রেজা ১৮ কিশোরকে নিয়োজিত রেখেছে বলে সুত্র জানায়। এভাবে কলারোয়ার লাঙ্গলঝাড়া, কাকডাঙ্গা, কেড়াগাছি, গয়ড়া, গদখালী, কোটা, বেলতলাসহ অর্ধ শতাধিক মাদক স্পট গড়ে উঠেছে। এতে করে কলারোয়ার গ্রাম-গঞ্জ, পাড়া-মহলার অলি-গলিতে ফেনসিডিলসহ মাদক দ্রব্য পৌছে গেছে। আর মাদক এভাবে সহজলভ্য হওয়ার কারণে কিশোর ও যুবসমাজ বেপরোয়াভাবে নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। এলাকাবাসী যুব ও কিশোরদের নেশার কবল থেকে বাঁচাতে অবিলম্বে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল
মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোরে নিহত ৯৪
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
রাফালের আগমনে ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি
উত্তর প্রদেশে নিহত ৩ খলিস্তানি নেতা
ভারতে বাল্যবিবাহবিরোধী অভিযানে আটক ৫০০০
মুজিবল্যান্ড বানিয়ে হিন্দুস্তানে থাকুক আ.লীগ : রাশেদ প্রধান
গ্রেফতার ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
পানামা খাল দখলের হুমকিকে ভর্ৎসনা পানামা প্রেসিডেন্টের
স্বৈরাচারের দোসর শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী-সন্তানসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা