রাঙ্গুনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরই চিকিৎসা জরুরি
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৫১ পিএম | আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। খসে পড়ছে দেওয়ালের আস্তর। হাসপাতালে প্রবেশ করতেই তীব্র গন্ধে মুহূর্তে বমি আসার উপক্রম। ওখানকার কর্মকর্তারা কাউকে কেয়ার করে না। শৌচাগার একদম নোংরা, ওই পরিবেশে রোগীদের নাকে-মুখে কোনো রকমে কাপড় বা রোমাল দিয়ে যাওয়া-আসা চলছে। এই অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে সেবা নিতে হয় রোগীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের যত্রতত্র পড়ে আছে রোগীদের শয্যা। প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের অবস্থা বেহাল। এমন হাসপাতালে এসে উল্টো রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। আবার সেবা না নিয়েই অনেকে ফিরে যান। উপজেলার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪-৫টা বাথরুমের মধ্যে সবগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী। প্রায় টয়লেটের কমোড ভাঙা ও নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না।
তাছাড়া অনেক টয়লেটে নেই লাইট ও দরজার ছিটকিনি। ফলে রোগীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। কোনোটির আবার কপাট নেই। ময়লা নোংরা-দুর্গন্ধ পরিবেশ। এতে রোগীদের আসা-যাওয়ার পথে বেগ পেতে হচ্ছে। দেয়ালে ফাটল দেখা যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালের আয়াদের নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। আয়াদের থেকে প্রয়োজনীয় সেবা মিলে না বলে অভিযোগ করছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালটির মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডে প্রতিদিন রোগী ভর্তি থাকেন। সেই সঙ্গে রোগীদের স্বজন মিলে হাসপাতালে মোট লোকের সংখ্যা দাঁড়ায় দিগুণ। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মানুষ এখানে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ছুটে আসেন। হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে দেখা যায় পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে ২টি করে ৪টি গোসলখানা ও ৪টি শৌচাগার রয়েছে। সংস্কারের অভাবে ও নিয়মিত পরিষ্কার না করায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা জেসমিন বেগম বলেন, বাথরুমে প্রবেশের মেঝেগুলো নোংরা-অপরিষ্কার। সেখানে হাঁটাচলাই কষ্টকর। টিপে টিপে সাবধানে চলাচল করতে হয়। একজনকে বাইরে পাহারাদার হিসেবে রেখে বাথরুমে প্রবেশ করতে হয়। পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া একজন রোগীর স্বজন রহিম উদ্দিন বলেন, শৌচাগারে গেলে দরজায় আরেকজনকে পাহারা দিতে হয়। পুরুষ ওয়ার্ডের একজন রোগীকে স্যালাইন লাগানো অবস্থায় সাবধানে শৌচাগারে নিয়ে যাচ্ছিলেন তার দু’জন স্বজন। দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থেকে আসা ওই রোগীর এক স্বজন বলেন, খুব কষ্টে বাথরুম যাওয়া-আসা করতে হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেব প্রসাদ বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় লোকবল সংকটের কারণে হাসপাতালের নিত্যদিনের কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। আমাদের যতটুকু জনবল আছে, যতটুকু সম্পদ আছে, ততটুকু দিয়েই আমাদের সামলাতে হয়।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রাতের আধারে অসহায় ব্যাক্তিদের বাড়ির দরজায় গিয়ে কম্বল দিলেন ইউএনও
ভাঙ্গায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ আহত- ১০
কবি জসীমউদ্দিনের মেজ ছেলে ড. জামাল আনোয়ার আর নেই
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যা জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার
কারখানায় আগুন, পরিদর্শনে হাতেম
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে মোটর থেকে বৈদ্যুতিক তার খুলতে প্রাণ গেল যুবকের
৫ জানুয়ারি থেকে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু
নাচোলে পিয়ারাবাগানে এক গৃহবধূ খুন
সিদ্দিরগঞ্জে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু
দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ
বগুড়ার ধুনট পল্লীতে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ব্যবসায়ীর ৩৫ হাজার টাকা ছিনতাই
গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন উপদেষ্টা
আসছে ভিভোর নতুন ফ্ল্যাগশিপ, থাকছে জাইস টেলিফটো প্রযুক্তি
শেরপুরে নানা আয়োজনে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন উদযাপিত
ধোবাউড়ায় নেতাই নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে
সাংবাদিক শাহ আলম চৌধুরী আর নেই
ক্ষমতায় গেলে রাজনৈতিক দলগুলো মানুষের কথা ভুলে গিয়ে লুটপাট করে: ডা. শফিকুর রহমান
দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে: প্রিন্স
জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীর পিএর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী খোরশেদ আলমের যত অভিযোগ
মির্জাপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান দুই ব্যবসায়ীর জরিমানা