তীব্র গরম ও লোডশেডিংয়ে কদর বেড়েছে হাতপাখার
০৪ মে ২০২৪, ১২:৩০ এএম | আপডেট: ০৪ মে ২০২৪, ১২:৩০ এএম
নীলফামারী সৈয়দপুর তীব্র গরম আর ঘনঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তীব্র তাপদাহের সঙ্গে দিনরাত লোডশেডিংয়ে কষ্টে সময় কাটাচ্ছে মানুষ। এমন হাঁসফাঁস করা গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এ পরিস্থিতিতে গরমের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে কদর বেড়েছে হাতপাখার। বাড়িঘর, দোকানপাট, চলতি পথে হাত পাখা চালিয়ে শরীরটাকে শীতল করছেন অনেকেই।
চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ঘুমও হারাম হয়ে গেছে পাখা তৈরির কারিগরদের। কারিগররা এখন দিনরাত সমান তালে পাখা তৈরির কাজে ব্যস্ত। প্রতিটি হাতপাখা খুচরা বাজারে ৮০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে বাসযাত্রী, হাটবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী ও দরিদ্র মানুষের কাছে এই পাখার চাহিদা বেশি।
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের পাঠানপাড়া এলাকার গৃহবধূ সাফিয়া বেগম বলেন, বাড়িতে বসে না থেকে তালপাতার হাতপাখা তৈরি করছি। অন্য বছরের চেয়ে এ বছর দাম বেশি। তার মতো এলাকার অনেকেই এ কাজ করে ভালো টাকা আয় করছেন।
সৈয়দপুর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী বাবলু বলেন, তীব্র গরমে জীবন অতিষ্ঠ। তাই একটি হাতপাখা কিনেছি। গরম থেকে কিছুটা স্বস্তিতো পাওয়া যাবে। বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় এই পাখা কাজে দিচ্ছে।
সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের মুনিপাড়ার আমু হোসেন (৫৬) বলেন, প্রচ- গরমে বাইরে বেরুতে পারছি না। ফলে বার বার মাথা পানিতে ধুয়ে নিচ্ছি। আর ঘরে বসে হাত পাখা চালিয়ে সময় কাটাচ্ছি। হাতপাখা বিক্রেতা রবিউল ইসলাম জানান, প্রতি বছর গরম মৌসুমে বিভিন্ন হাট-বাজারে হাতপাখা বিক্রি করেন তিনি।
এ বছর বেশি বিক্রি হচ্ছে। দু’বেলা খেয়ে এবার এনজিও থেকে নেওয়া ঋণও শোধ করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি। কারণ প্রচ- রোদে পাখার চাহিদা বেড়েছে কয়েক গুণ।
লোডশেডিং আর প্রচ- গরমের কারণে শহর-গ্রাম সর্বত্রই হাতপাখার কদর বেড়েছে। তবে শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের লোডশেডিং বেশি হওয়ায় গ্রাম-গঞ্জে হাতপাখার কদর সবচেয়ে বেশি। সহনীয় তাপমাত্রায় বেড়েছে হাতপাখার চহিদা। বাজারে নানা ধরনের হাতপাখার বিক্রি বেড়েছে। যেমন- তাল পাতার পাখা, রঙিন সুতার পাখা, রঙিন কাপড়ের পাখা মিলছে ৫০-২০০ টাকায়।
সৈয়দপুরের খাতামধুপুর ইউনিয়নের খালিশা গ্রামের গৃহবধূ রাশিদা জানান, আমাদের মতো গরিব মানুষের কোনো উপায় নেই। তবে একটু বেশি সময়ে হাতপাখা নাড়াতে গেলে হাত ব্যথা হয়ে যায়। তারপরও কিছু করার নেই।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সমীকরণ মেলানোর রুদ্ধশ্বাস নাটকীয়তা শেষে চেন্নাইকে বিদায় করে প্লে-অফে বেঙ্গালুরু
ইসরাইলি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে
প্রোটিন উদ্ভাবনে নতুন উদ্যোক্তাদের সুযোগ দিচ্ছে ইউএসএসইসি-এর পিচ-টু-ফর্ক
স্যানিটেশন কর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিতে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশন সমঝোতা
বড় পরিসরে আর. কে. মিশন রোডে ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন
বিএনপি ভোট বর্জন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে : শামসুজ্জামান দুদু
ভালুকার সেই শিশু দত্তক নিতে ৪ আবেদন, সিদ্ধান্ত রোববার
যক্ষা রোগ প্রতিরোধে ওয়ার্ডভিত্তিক প্রচারণা
সুনামগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন
পানির সংকট
নীতি ও দুর্নীতির লড়াই
শিক্ষা ব্যবস্থার ভয়াল দশা
মামলাজট কমাতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে
ইসলামী আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক বেলায়েত হোসেনের দাফন সম্পন্ন
দালালীকে পেশা হিসাবে নেওয়া প্রসঙ্গে।
দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হামাস ভয়াবহ আঘাতের মুখে ইসরাইল
পথ হারিয়েছে বিশ্ব : জাতিসংঘ
তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন জাহাজের অনুপ্রবেশ
যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধি না করা
গাজা ইস্যুতে বন্ধু হারাচ্ছে ইসরাইল নানামুখী চাপে নেতানিয়াহু