যশোর শহরজুড়ে রাস্তার পাশে ময়লার ভাগাড়
০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ এএম
যশোর শহরের রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পৌরসভার বিশেষ উদ্যোগ কাজে আসছে না। শহরবাসী ময়লা আবর্জনা যত্রযত্র ফেলছেন। ফলে অনেক জায়গা ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হচ্ছে। এতে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে পথচারীরা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন, ডাস্টবিন থাকার পরও ময়লা-আবর্জনা রাস্তায় ফেলা বিবেচনাপ্রসূত কাজ নয়। শহরবাসীর সহযোগিতা ছাড়া ময়লা-আবর্জনামুক্ত শহর গড়া অসম্ভব। তবে অনেকে অভিযোগ করেছেন, শহরের অধিকাংশ জায়গায় ডাস্টবিন না থাকার কারণে ড্রেনের ওপর বা আশপাশে ময়লা ফেলতে বাধ্য হচ্ছে।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোপ জেল রোডের বিএড কলেজের পৌরসভার পক্ষ থেকে তিনটি ডাস্টবিন দেয়া হয়েছে ময়লা ফেলার জন্য। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা নির্ধারিত সময়ে ডাস্টবিনগুলো পরিস্কার করবে। কিন্ত এলাকাবাসী ময়লা-আবর্জনা ডাস্টবিনে না রেখে নিয়মিত রাস্তার পাশে ফেলেন। ফলে সেখানে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে রেলগেট, বেজপাড়া চিরুনি কলমোড়, কাজীপাড়া, মনিহার এলাকা, ঘোপ ধানপট্টি, আরবপুর এলজিইডি অফিসের সামনে, ঢাকা রোড, পুরাতন কসবা এলাকার রাস্তাঘাটে। ময়লার ভাগাড়ের পাশ দিয়ে চলাচল করা মানুষ দুর্গন্ধে নাকমুখ চেপে রাখেন। দীর্ঘদিন ধরে মানুষ এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
যশোর শহরের জেল রোডে অবস্থিত আশিক সিমেন্টে দোকানের কর্মচারী আসিফ জানান, ডাস্টবিনের পাশে ময়লার স্তুপ জমে আছে। অথচ গত দুই দিন ধরে পৌরসভার পক্ষ থেকে ময়লা পরিষ্কার করা হয়নি। যে কারণে বিকট দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে থাকা এখন কষ্টকর হয়ে পড়েছে। চা দোকানি আব্দুল মজিদসহ অনেকেই একই কথা জানিয়েছেন।
কয়েকজন পথচারী জানান, শহরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গা যেন ময়লার ভাগাড়। সাধারণ মানুষকে নাকে-মুখে হাত চেয়ে অথবা নিশ্বাস বন্ধ করে চলাচল করতে হচ্ছে। দুর্গন্ধ বাতাসের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে পথচারীদের সাথে আশপাশে বসবাস করা মানুষও অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন।
বেজপাড়া এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, এ এলাকায় এনজিওর পক্ষ থেকে প্রতিদিন সকালে ময়লা সংগ্রহের জন্য একটি ভ্যান যায়। ভ্যানের চালক বাঁশি দিয়ে ময়লা সংগ্রহ করে। মাসে তাকে ১৫০ টাকা করে দেয়া লাগে। তবে সঠিকভাবে সময়মত ময়লা দিতে না পারায় অনেকে বাইরে ফেলতে বাধ্য হয়।
যশোর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা জায়েদ হোসেন জানিয়েছেন, ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য নির্ধারিত ডাস্টবিন রয়েছে। কিছু অসচেতন মানুষ সেখানে ময়লা না রেখে সড়কের পাশে ফেলে। এতে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের যেভাবে সমস্যা হয়। ফলে শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। যত্রতত্র ময়লা না ফেলার আহবান জানিয়ে গত মাসে শহরে একাধিকবার মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়াও নির্ধারিত স্থানে ময়লা ফেলার জন্য ডাস্টবিনে স্টিকার লাগিয়ে দেয়া হয়। এরপরও মানুষকে সচেতন করা সম্ভব হয়নি। যত্রতত্র ময়লা ফেলা বিবেচনাপ্রসূত কাজ নয়।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মার্কিন নির্বাচন বুঝতে যে ১২টি বিষয় আপনাকে সাহায্য করতে পারে
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ছয় প্রার্থী লড়ছেন মার্কিন নির্বাচনে
নির্বাচনে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের ফলাফল জানা যাবে কখন?
রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ চেকপোস্ট কার্যক্রম শুরু
নিরাপত্তা তথ্য ফাঁসের দায়ে নেতানিয়াহু’র শীর্ষ চার কর্মকর্তা গ্রেফতার
ডাস্টবিনে মিলল মানুষের খণ্ডিত পা
যশোরে স্কুল ছাত্রীর হাত পা ও মুখ বাধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার
জাল ফেললেই ওঠছে প্রচুর ইলিশ
ট্রাম্প না কমলা, কে পাবেন মুসলিম ভোট?
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বি-৫২ বোমারু বিমান মোতায়েন ‘অস্থিতিশীল উপস্থিতি’: ইরান
‘গণপিটুনিতে’ সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রীর ভাগনে নিহত
বিকেলে সিদ্ধান্ত এলপি গ্যাসের দাম কমবে না বাড়বে
ইসলামি মহাসম্মেলনে যোগ দিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনতার ঢল
বেরোবিতে ফের ছয় যুগল আটক
রাত পোহালে ৫ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
ফের গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত
পঞ্চগড়ে যুবদলের কর্মীসভায় ককটেল বিস্ফোরণ
যশোরে আলাদা অভিযানে মাদক দ্রব্যসহ ৪ জন আটক
শাকিব-পূজার প্রেমের গুঞ্জনে মুখ খুললো পূজা চেরি
নেইমার ছিটকে গেলেন আবারও