ধামরাইয়ে ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভবন আছে সেবা নেই

ধামরাই (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা

০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ এএম | আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ এএম

ঢাকার ধামরাইয়ে ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জন্য আধুনিক মানের ভবন থাকলেও সেবা পাচ্ছে না ভূমির মালিকরা। সহকারী ও উপসহকারী কর্মকর্তা না থাকায় ওই ভূমি অফিসে গতকাল পর্যন্ত ঝুলছে তালা।
এ ভাড়ারিয়া ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ডে গাজীপুর এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানি সুবিধা সম্বলিত আড়াই বছর আগে প্রায় ১ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক মানের ভবন (ইউনিয়ন ভূমি অফিস) নির্মাণ করা হয়। ভবন নির্মাণের পর অফিসের কার্যক্রমের উদ্বোধনের প্রায় আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও এখান থেকে কোন ভূমি সংক্রান্ত কোন সেবা পাচ্ছে না ইউনিয়নবাসী।
জানা গেছে, ইউনিয়ন পর্যায়ে ভূমি সংক্রান্ত সেবা পৌছে দেয়ার জন্য সমগ্র দেশ শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ধামরাই উপজেলাধীন ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জন্য গাজীপুর এলাকায় আধুনিক ভবন নির্মাণ করা হয়। এ আধুনিক মানের ভবন আড়াই বছর আগে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। পরে ২০২২ সালের ২৫ জুলাই অফিস কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তৎকালীন ডিসি মো. শহিদুল ইসলাম। ওই সময় একজন ভূমি উপ-সহকারিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। নতুন ভবনে ৭/৮দিন বসে এলাকার জনগণকে ভূমি সংক্রান্ত সেবাও দিয়ে থাকেন ভূমি উপ-সহকারি কর্মকর্তা। এরমধ্যেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)›র তদারকির অভাবে কয়েকদিন যেতে না যেতেই নানা অজুহাত দেখিয়ে ওই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা নতুন ভবনে না বসে অফিস করেন ধামরাই সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে।
ফলে ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মানুষ বাধ্য হয়েই ভূমি সংক্রান্ত সেবা নেয়ার জন্য ধামরাই সদরে চলে যেতে হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখার দিন পর্যন্ত ওই অফিসে তালা ঝুলতে দেখা গেছে।
ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা ভূমি অফিসের পাশের বাড়ির রিফাজ উদ্দিন বলেন, প্রায় আড়াই বছর আগে আমাদের এখানে প্রায় দেড় বিঘা জায়গায় বাউন্ডারীসহ একটি আধুনিক মানের ভূমি অফিস হয়। প্রায় আড়াই বছর আগে ডিসি স্যার এ ভবন উদ্বোধন করার পর ৭/৮ দিন নায়েব সাহেব বসেছে। তখন এলাকার মানুষ কিছু ভূমি সেবা ও পেয়েছে। কিন্ত কয়েকদিন পরপরই আর কোন কর্মকর্তা এখানে আসেনি। আমাদের বাধ্য হয়েই আগের মতো ধামরাই সদরে যেতে হচ্ছে ভূমি সেবা নেয়ার জন্য।
তিনি আরো বলেন, কয়েক মাস পূর্বে এ অফিসের তালা ভেঙে চোরেরা জেনারেটর নিয়ে গেছে। পরে ধামরাই ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তা অফিস দেখাশুনা করার জন্য আমার কাছে তালার চাবি দিয়ে গেছে। বর্তমানে আমি বিনা পয়সায় দেখাশোনা করছি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামনুন আহমেদ অনিক বলেন, নতুন অফিসগুলোর জন্য জনবল তৈরি হয়নি তাই অফিসের কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে অফিসের কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে ডিসি স্যারের সাথে বিস্তারিত আলাপ হয়েছে।

বিভাগ : অভ্যন্তরীণ