আইএমএফের সঙ্গে চুক্তির খুব নিকটে পাকিস্তান
১১ মার্চ ২০২৩, ০৮:২০ পিএম | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:২৩ পিএম
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে কর্মকর্তা পর্যায়ে চুক্তি স্বাক্ষরের ‘খুব নিকটে’ রয়েছে পাকিস্তান। এমন মন্তব্য করেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ লাইফলাইন হিসেবে কাজ করবে আইএমএফের ঋণ। ইসলামাবাদে এক সেমিনারে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রতিনিধি পর্যায়ে চুক্তি স্বাক্ষরের খুব নিকটে রয়েছি। কয়েকদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত পর্যায়ের চুক্তিটি স্বাক্ষর হবে বলে আশা করছি।’ আইএমএফের সঙ্গে পাকিস্তানের এবার চুক্তিটি ১১০ কোটি ডলারের। ইসহাক দার আরো বলেন, ‘আমি ও আমার দলের সদস্যরা চুক্তিটি সম্পন্ন করতে সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বিভিন্ন পর্যালোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এজন্য আমরা যথেষ্ট সময়ও নিয়েছি।’ বিশ্লেষকরা মনে করেন পাকিস্তান যদি বহিরাগত ঋণের বাধ্যবাধকতা থেকে খেলাপি হওয়া এড়াতে হয়, তবে চুক্তিটি গুরুত্বপূর্ণ। ইশহাক দার মনে করেন, তিনি আগের দুই মেয়াদে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় যে ধরনের সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন, এবারের সমস্যাটি অনেক বেশি গভীর ও আরো জটিল। তবে তিনি আত্মবিশ্বাসী যে পাকিস্তানের অর্থনীতিকে এ সংকট থেকে বের করে আনা সম্ভব। ইসহাক দার বলেন, ‘অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল জ্বালানি খাতের সংস্কার। এছাড়া বিদ্যুৎ খাতকে কাঠামোগতভাবে সংস্কার করতে হবে।’ পাকিস্তানের অর্থনীতি এ মুহূর্তে বড় ধরনের সংকটে। দেশটির মুদ্রার ক্রমেই পতনের পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতি জনগণের জন্য দিনযাপনকে কঠিন করে তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, সব মিলিয়ে আবারো দেউলিয়াত্বের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে পাকিস্তান। যদি এমনটা হয়, তাহলে তা সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় ভোগা পাকিস্তানকে শ্রীলংকার চেয়েও খারাপ পরিস্থিতিতে ফেলবে। তাই এ মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সহযোগিতা ছাড়া পাকিস্তানের পক্ষে এ পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ভাষ্যমতে, পাকিস্তানের নীতিনির্ধারকরা এখন সউদী আরবসহ বেশ কয়েকটি দেশের কাছে ঋণের জন্য আবেদন দিচ্ছেন। তাই আইএমএফ চুক্তিটি পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় অর্থায়নের উৎসগুলোকে উন্মুক্ত করবে। এদিকে ঋণের কিস্তি ছাড় করার জন্য পাকিস্তানের ওপর কঠোর শর্ত আরোপ করেছে আইএমএফ। ইসলামাবাদ অবশ্য ঋণদাতা সংস্থাটির বেশির ভাগ শর্তই মেনে নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি কিংবা বিনিময় হারের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ তুলে নেয়া। এদিকে পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের মিত্র চীন একমাত্র দেশ হিসেবে ২০০ কোটি ডলার ঋণ পুনঃঅর্থায়নের ঘোষণা করেছে। এরই মধ্যে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার থেকে ১২০ কোটি ডলার হাতে পেয়েছে। আগেও বহুবার আইএমএফের ঋণে ভর করে সংকট কাটাতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। গত কয়েক মাসে দফায় দফায় আলোচনার পরও ঋণের অর্থ ছাড় করতে পারেনি দেশটি। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারও সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশ্যেই আইএমএফের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। তার ভাষ্যমতে, পাকিস্তানের সঙ্গে ‘অস্বাভাবিক’ আচরণ করছে সংস্থাটি। রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক
জমকালো আয়োজনে পালিত হলো বান্দরবান সেনাবাহিনীর ৬৯ ব্রিগেডের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ