৮০ লক্ষাধিক শরণার্থী বেড়েছে
২১ জুন ২০২৩, ০৮:৩০ পিএম | আপডেট: ২২ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
গত বছর শেষে বিশ্বজুড়ে শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ৫৩ লাখে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮০ লাখেরও বেশি। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) সম্প্রতি এসব তথ্য জানিয়েছেন। ইউএনএইচসিআর জানায়, তিনটি দেশ থেকে মোট শরণার্থীর ৫২ শতাংশ এসেছে, যার মধ্যে সিরিয়ার ৬৫ লাখ, ইউক্রেনের ৫৭ লাখ এবং আফগানিস্তানের ৫৭ লাখ। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, যারা হুমকি ও ঝুঁকির কারণে জীবন বাঁচাতে বসতি বা আশ্রয় ছাড়তে বাধ্য হয়েছে তারাই শরণার্থী। বিশ্বব্যাপী শরণার্থী পরিস্থিতি নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে জাতিসংঘ প্রতিবছর ২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবস হিসেবে পালন করে, যা গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বব্যাপী পালিত হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অভিঘাতের পর জাতিসংঘ ১৯৫১ সালে ইউরোপে শরণার্থী অধিকারসংক্রান্ত সনদ প্রস্তুত করে। ১৯৬৭ সালে বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুতির ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে এই সনদ গোটা বিশ্বের জন্য প্রযোজ্য হয়। ২০১১ সালে দেড় কোটি শরণার্থী এক দশকে শরণার্থী বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। শরণার্থী সনদ প্রস্তুত হওয়ার সময় বিশ্বে মাত্র ২১ লাখ শরণার্থী ছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকট তৈরি হয় ফিলিস্তিনে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত ইসরাইলি ইহুদিবাদী শক্তি সাত লাখ ৫০ হাজার ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করে। খলিল সারসৌর নামের একজন ফিলিস্তিনি শরণার্থী বলেন, ‘সম্ভবত আমি জাফফাতে (ফিলিস্তিনের একটি জায়গা) আমার বাড়ি লিডে (ফিলিস্তিনের একটি গ্রাম) ফিরে যাব। সেখানে হয়তো আমার নাতি-নাতনি ও সন্তানদের নিয়ে, কিন্তু কখন এবং কিভাবে, আল্লাহ জানেন।’১৯৮০ সালে জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে শরণার্থীর সংখ্যা প্রথম এক কোটির ঘরে পৌঁছায়। আফগানিস্তান ও ইথিওপিয়ার যুদ্ধ ১৯৯০ সালে এই সংখ্যা দুই কোটিতে নিয়ে যায়। পরবর্তী দুই দশকে শরণার্থীর সংখ্যা মোটামুটি স্থির ছিল। কিন্তু ২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযান, ২০০৩ সালে ইঙ্গ-মার্কিন বাহিনীর ইরাক অভিযান এবং দক্ষিণ সুদান ও সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শরণার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি করে। ২০২১ সালের শেষে এ সংখ্যা তিন কোটি হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে এক বছরেরও কম সময়ে ইউক্রেন থেকে যে পরিমাণ শরণার্থী এসেছে তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দ্রুততম শরণার্থী সংকট। ইউক্রেনে এক বছরে যেখানে ৫৭ লাখ শরণার্থী হয়েছে, সেখানে সিরিয়ায় এ সংখ্যায় পৌঁছতে সময় লেগেছিল চার বছর। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণভাবে আরো ৬০ লাখ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ৩৪ বছর বয়সী কাতেরিনা মিয়াকুতিকোভা কিয়েভে রুশ আক্রমণ শুরুর কয়েক দিন পরই পোল্যান্ডে চলে আসেন। এখন তিনি দুই সন্তানসহ লন্ডনে বসবাস করেন। এ মুহূর্তে তুরস্ক বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী আশ্রয়দাতা দেশ। তারা ৩৬ লাখ শরণার্থী আশ্রয় দিয়েছে। ৩৪ লাখ নিয়ে ইরান দ্বিতীয় এবং ৩০ লাখ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে জর্দান। আরো জানা যায়, মোট শরণার্থীর ৭৬ শতাংশ নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে রয়েছে। ৭০ শতাংশ প্রতিবেশী দেশে গেছে। এ নিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্প গ্রান্ডি বলেন, ‘একটি প্রচলিত কথা রয়েছে, শরণার্থীরা ধনী দেশগুলোতে যায়। কিন্তু এটি প্রকৃতপক্ষে ভুল।’ আল-জাজিরা।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
দোয়ারাবাজারে স্ত্রীর যৌতুক মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
সচিবালয়ে আগুন পরিকল্পিত: প্রকৌশলী ইকরামুল খান
সেন্ট মার্টিন থেকে ফেরার পথে আটকা পড়েছেন ৭১ পর্যটক
জকিগঞ্জে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু
বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের অগ্রগতির লক্ষে ইসিফোরজে’র প্রি-ওয়ার্কশপ
উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি গঠন, ৩ কর্মদিবসে প্রাথমিক প্রতিবেদন
ব্রাহ্মণপাড়ায় ছুরিকাঘাতে এক যুবককে হত্যা
কালীগঞ্জে পুকুর থেকে ২ শিশুর লাশ উদ্ধার
নিবন্ধন চূড়ান্ত: হজযাত্রী ৮৩ হাজার ২৪২ জন
হল্যান্ডের পেনাল্টি মিস,বিবর্ণ সিটি ফের হারাল পয়েন্ট
শরীফ থেকে শরীফার গল্প বাতিল করতে হবে: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
বিসিএ নির্বাচন সম্পন্ন: মিজান সভাপতি, মতিন সম্পাদক
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৫৩
বিএনপি মুক্ত সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী: শাহজাহান চৌধুরী
সচিবালয়ে আগুন: গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতাকে দায়ী করলো এবি পার্টি
পরকীয়া প্রেমের ঘটনায় গৌরনদীতে উপ-সহকারী ২ কৃষি কর্মকর্তা এলাকাবাসীর হাতে আটক
‘প্রতিবন্ধীদের সংগঠন ও সম্পদ দখল করে পতিত সরকারের শিল্পমন্ত্রীর কন্যা’
আশিয়ান সিটির স্টলে বুকিং দিলেই মিলছে ল্যাপটপ
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি পরিকল্পিত নাশকতা: ইসলামী আইনজীবী পরিষদ
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়