দাস ব্যবসার অতীত ইতিহাসের জন্য মাফ চাইলেন ডাচ রাজা
০২ জুলাই ২০২৩, ০৮:৫৪ পিএম | আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
দাস ব্যবসার মতো হীন কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার ‘অতীত ইতিহাসের’ জন্য ক্ষমা চেয়েছেন নেদারল্যান্ডসের রাজা উইলেম-আলেক্সান্ডার। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি ‘ব্যক্তিগত ও তীব্রভাবে’ তাকে মর্মাহত করেছে। ১৭ শতকের পর নেদারল্যান্ডস বিশ্বের অন্যতম বড় ঔপনিবেশিকে পরিণত হয়। এ সময় বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের সাম্রাজ্য বিস্তার করে ডাচরা। আর দেশটির দাস ব্যবসায়ীরা ৬ লাখ মানুষকে দাস হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে। আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার পর রাজা উইলেম-আলেক্সান্ডার দাস ব্যবসাকে ‘ভয়ানক’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, এমন জঘন্য কাজ বন্ধ করতে ওই সময় রাজ পরিবার কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। নেদারল্যান্ডসে দাস ব্যবসা রহিতকরণের ১৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার (১ জুলাই) একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। ওই সময় অতীত কালো ইতিহাসের জন্য ক্ষমা চান রাজা আলেক্সান্ডার। গত জুনে নতুন একটি গবেষণায় ওঠে আসে, ঔপনিবেশিক অঞ্চলগুলোর যেখানে বাধ্যতামূলক দাসত্ব চালু করা হয়েছিল সেখান থেকে ডাচ শাসকরা— ১৬৭৫ সাল থেকে ১৭৭০ সাল পর্যন্ত— বর্তমান সময়ের তুলনায় ৫৪৫ মিলিয়ন ইউরো অর্থ পেয়েছিলেন। রাজধানী আমস্টারডামের হওয়া ওই অনুষ্ঠানে রাজা উইলেম-আলেক্সান্ডার উপস্থিত সবার সামনে ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘আজ আমি এখানে আপনাদের রাজা হিসেবে এবং সরকারের অংশ হিসেবে দাঁড়িয়েছি। আমি নিজে ক্ষমা চাইছি।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আজ আমি আপনাদের সামনে ক্ষমা চাইছি (তৎকালীন সময়ে) দাস ব্যবসা বন্ধ করার জন্য কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায়।’ ডাচ রাজা আরও বলেছেন, ‘অতীত অপরাধ স্বীকার করে নেওয়া এবং ক্ষমা চাওয়ার পর, আমরা নিরাময়, সমন্বয়সাধন এবং প্রত্যয়পর্ণের ওপর কাজ করতে পারি।’ এদিকে ১৭ শতকে নেদারল্যান্ডস অবৈধভাবে বর্তমান ইন্দোনেশিয়ার বৃহৎ অংশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, কুরাকাও এবং পূর্ব পাপুয়ায় তাদের ঔপনিবেশিবাদ প্রতিষ্ঠা করে এবং ট্রান্সআটলান্টিকের দাস ব্যবসায় বড় অবস্থান তৈরি করে। এই সময় দাস ব্যবসায়ীরা আফ্রিকা থেকে অসংখ্য মানুষকে নেদারল্যান্ডসের দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ানের উপনিবেশে পাচার করে। তবে ১৮৮৩ সালে এই ব্যবসা নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু এরমধ্যেই ধ্বংস হয়ে যায় হাজার হাজার মানুষের জীবন। এই দাস ব্যবসা থেকে নেদারল্যান্ডস প্রচুর ধন সম্পত্তি আয় করে। এমনকি ১৭৩৮ সাল থেকে ১৭৮০ সাল পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলের হল্যান্ড প্রদেশের যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল তার ৪০ শতাংশই এসেছিল দাস ব্যবসা থেকে। তবে নিজেদের এই অতীত হীনকর্ম স্বীকার করতে অনেক সময় নেয় দেশটি। বর্তমানে ডাচ স্কুলগুলোতে দাস ব্যবসা ও এর ভয়াবহতা নিয়ে পড়ানো হয়। তবে স্কুলের পাঠ্যসূচিতে এটি যুক্ত করা হয় ২০০৬ সালে। বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বার্মিংহামের সিরাজাম মুনিরায় ১৪ জানুয়ারি ফুলতলী ছাহেব (রহ.) এর ঈসালে সাওয়াব মাহফিল
নিকলীতে ভুট্টা চাষে আশার স্বপ্ন বুনেছে কৃষক
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবিতে লক্ষ্মীপুরে লিফলেট বিতরণ
মেঘনা নদীতে দুই স্পিডবোটের সংঘর্ষে নিহত ৩, নিখোঁজ ১
হবিগঞ্জের সড়কে প্রাণ গেল তিন নারী পোশাক শ্রমিকের
বরিশালে জাতীয় মহাসড়কের ওপর নির্মিত পাক অপসারণে নগর ভবনকে সড়ক অধিদপ্তরের চিঠি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাতাহাতি, আহত ৩
দুইবার আবেদন করেও দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় মাল্টার নাগরিকত্ব পায়নি তারিক সিদ্দিকের পরিবার
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
এবি পার্টির জাতীয় কাউন্সিল শুরু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
মায়ের জন্য রান্না করা খাবার নিয়ে হাসপাতালে তারেক রহমান
রাজশাহীতে এবেলা ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
লোহিত সাগরে হুথিদের হামলায় পিছু হটল মার্কিন যুদ্ধজাহাজ
আশুলিয়ায় মেরামতের নাম করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে
'বিয়ের গন্ডগোল' নিয়ে জোভান–তটিনী আত্মপ্রকাশ
ভারতে বসে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছেন ফ্যাসিস্টের দোসর আলাউদ্দিন নাসিম
রুশ জ্বালানিখাতে আবারও যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা
সিরিয়ার দামেস্কের মসজিদে পদদলিত হয়ে নিহত ৪ জন
কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসছে লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল
খাদ্য পরিস্থিতির ওপর নিয়মিত নজর রাখতে পুনর্গঠন হলো এফপিএমসি