খাদিজা বিবি : যে নার্সের হাতে জন্ম নিয়েছে ১০ হাজার শিশু
০৩ জুলাই ২০২৩, ০৮:০১ পিএম | আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৩, ১২:০১ এএম
তেত্রিশ বছরের পেশাজীবনে ১০ হাজার সুস্থ ও সবল শিশু প্রসব করিয়েছেন ভারতের তামিলনাড়ুর নার্স খাদিজা বিবি; আর সেজন্য তিনি পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মান। সম্প্রতি অবসরে যাওয়া এই নারী এখন অতীতে তাকালে দেখতে পান, নারীস্বাস্থ্যের প্রতি মানুষের মনোভাবের কীভাবে সময়ের সাথে সাথে বদলেছে। দীর্ঘ কর্মজীবনে খাদিজা বিবির অভিজ্ঞতার কথা এক প্রতিবেদনে তুলে এনেছে বিবিসি। ৬০ বছর বয়সী এই নারী বলেন, “ভাবতে খুব ভালো লাগে, এই ১০ হাজার শিশু, যাদের আমি প্রসব করিয়েছি, তাদের কাউকে চোখের সামনে মরতে দেখতে হয়নি।” আর সেজন্যই তাকে রাষ্ট্রীয় পদকে ভূষিত করা হয়েছে বলে জানান তামিলনাড়ু রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মা সুব্রামনিয়াম। তামিলনাড়ুর দক্ষিণে একটি সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তিন দশক কাজ করেছেন খাদিজা বিবি। এই সময়ে ভারতের মাতৃমৃত্যুর হার উচ্চ থেকে বৈশ্বিক গড়ের কাছাকাছি নেমে এসেছে। নার্স খাদিজা বিবি বলেন, কন্যা শিশুর জন্ম হলে অনেক অভিভাবকের যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হত, সেই মনোভাব ধীরে ধীরে বদলে যেতে দেখেছেন তিনি। সেইসাথে তিনি দেখেছেন, মানুষ কীভাবে ধীরে ধীরে কম সন্তান নেওয়ার দিকে ঝুঁকেছে। ১৯৯০ সালে নার্স হিসেবে পেশাজীবন শুরুর সময়টায় খাদিজা নিজেই অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ‘‘আমার তখন সাত মাস... তার পরও আমি অন্য নারীদের জন্য কাজ করছিলাম। আমি আবার কাজে ফিরি মোটে দুই মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে।” পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করে খাদিজা বিবি বলেন, “আমি জানি, প্রসব বেদনার সময় মেয়েরা কতটা অস্থির হয়ে ওঠে। তাই ওই সময় তাদের স্বস্তি ও সাহস জোগানোতে গুরুত্ব দিয়েছিলাম আমি।” বিবিসি লিখেছে, এ বছর জুনে দীর্ঘ কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়েছেন খাদিজা। এখনও যেন চারপাশে স্নিগ্ধতার দ্যুতি ছড়ান তিনি। চেন্নাই শহর থেকে ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ভিল্লুপুরম গ্রামে তার ক্লিনিকে সি-সেকশন করার মত প্রয়োজনীয় উপকরণ নেই। গর্ভবতী নারীর কোনো স্বাস্থ্য জটিলতা দেখা দিলে তৎক্ষণাত তাকে জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন খাদিজা বিবি। এ কাজে খাদিজার অনুপ্রেরণা হলেন তার মা জুলাইকা, যিনি নিজেও একজন ধাত্রী ছিলেন। খাদিজা বলেন, “আমি তো ছোটবেলায় সিরিঞ্জ নিয়ে খেলেছি। হাসপাতালের গন্ধের সাথে আমি মানিয়ে নিয়েছিলাম তখন থেকেই।” দরিদ্র ও অর্ধ শিক্ষিত গ্রামীণ নারীদের স্বাস্থ্যসেবা দিতেন খাদিজার মা। অল্প বয়সেই মায়ের এই কাজের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন খাদিজা। ওই সময় বেসরকারি হাসপাতাল ছিল না বললেই চলে। যে কোনো বয়স এবং শ্রেণি থেকে আসা নারীকে তখন সরকারি মাতৃসদনের ওপর ভরসা করতে হত। এই মাতৃসদনগুলোকে এখন সবাই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নামে চেনে। কর্মজীবনের শুরুতে অনেক প্রতিকূলতার কথা উঠে আসে খাদিজার কথায়। বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য- মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী
চট্টগ্রামে ম্যারাথন অনুষ্ঠিত
নির্দিষ্ট সময়েও শেষ হয়নি রাস্তার কাজ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার
কেরানীগঞ্জে বন্ধুকে হত্যার ঘটনায় ঘাতক বন্ধু আল আমিন গ্রেফতার
সস্ত্রীক লন্ডনে গেলেন মির্জা আব্বাস
চট্টগ্রাম ইপিজেডে শ্রমিক সংঘর্ষে আহত অর্ধশত
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার: রিজভী
পটুয়াখালীতে ইমামের উপর সাদপন্থিদের হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
দেশ গড়ার কাজে অন্তর্বর্তী সরকার অভিজ্ঞ নয় : মান্না
ভৈরবে ট্রেনের টিকেটসহ দুই কালোবাজারিকে আটক
গণিতের জগতে মেয়েদের জায়গা তৈরিতে ড. অ্যাঞ্জেলার মিশন
জাতীয় ঐক্যে অনেকেই ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে : মির্জা ফখরুল
মাভাবিপ্রবিতে লাইফ সায়েন্স বিষয়ক ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
নিউজিল্যান্ডকে গুড়িয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো শ্রীলঙ্কা
শ্রীনগর থানা থেকে যুবদল নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে মহাসড়কে বৈষম্য বিরোধীদের ব্লকেড কর্মসূচি পালন
‘মিছিল-স্লোগান কিংবা ডিম ছোড়ার মতো ঘটনা দেশের ব্র্যান্ডিংয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে’
আওয়ামী লীগ কর্মীর চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
রাশিয়া বিরোধী নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আ. লীগের পলাতক নেতার নৈশভোজ
এবি পার্টির চেয়ারম্যান হলেন মঞ্জু ও সা. সম্পাদক ব্যারিস্টার ফুয়াদ