ঢাকা   মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ | ৩০ পৌষ ১৪৩১

লেবাননে বহু শরণার্থী আটকা পড়েছে

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০১ আগস্ট ২০২৩, ০৮:২৮ পিএম | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম

লেবাননে ফিলিস্তিনি শরণার্থী ক্যাম্পে ফাতাহ ও তার বিরোধীদের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। দুপক্ষের মুখোমুখি লড়াইয়ে কমান্ডারসহ এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত অর্ধশত। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী সিডনের কাছে ‘আইন আল হেলওয়েহ’ নামের ফিলিস্তিনের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে এ ঘটনা চলছে। ফিলিস্তিন ও লেবানিজ কর্তৃপক্ষ সংঘাত থামাতে মধ্যস্থতার চেষ্টা করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় আশপাশের এলাকায় লোকজনের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে লেবাননের সেনাবাহিনী। সেখানে থাকা আল-জাজিরার প্রতিনিধি জেনিয়া খদর জানান, ‘সংঘর্ষের তীব্রতা আরও বেড়েছে। সত্যিই মানবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অনেক পরিবার ক্যাম্প থেকে কোনও মতে পালিয়েছে। এখনও অনেকে ভেতরে আটকা পড়েছে। কারণ, বের হওয়াটা বিপজ্জনক। কেউ কেউ মসজিদে আশ্রয় নিয়েছেন।’ দুই পক্ষের লড়াইয়ে শরণার্থী ক্যাম্পে সাময়িকভাবে সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেছে জাতিসংঘ। ঘটনার সূত্রপাত, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ আন্দোলন ও প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামপন্থি দলগুলোর মধ্যে এ সংঘর্ষ। শনিবার একজন অজ্ঞাত বন্দুকধারী মাহমুদ খলিল নামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যকে হত্যা করতে আসে। তাকে না পেয়ে তার সঙ্গীকে গুলি করে মারে। পরের দিন রবিবার সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায় ক্যাম্পে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, প্রতিশোধ নিতে যোদ্ধারা ফাতাহ দলের সামরিক জেনারেল আবু আশরাফ আল-আরমুশি ও তিনজনকে গুলি করে হত্যা করে। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। লেবাননের আইনপ্রণেতা ওসামা সাদ সোমবার বিকেলে লেবাননের কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনী ও ফিলিস্তিনি দলগুলোর মধ্যে বৈঠকের পর যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। তারপরও লড়াই থামেনি। জাতিসংঘের পরিসংখ্যানে জানা গেছে, বৃহত্তর এই ক্যাম্পে ৫৫ হাজার লোকের বসবাস। ১৯৪৮ সালে নাকবা বিপর্যয়ের সময় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জায়গায় হয়েছিল এখানে। আল-জাজিরা।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

রাজশাহীর হয়ে মাঠে নামার অপেক্ষায় কামিন্স

রাজশাহীর হয়ে মাঠে নামার অপেক্ষায় কামিন্স

উখিয়ায় বেপরোয়া ডাম্পারের ধাক্কায় এক নারী এনজিওকর্মী নিহত

উখিয়ায় বেপরোয়া ডাম্পারের ধাক্কায় এক নারী এনজিওকর্মী নিহত

সরাইলে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার দায়ের একজনকে কারাদন্ড, অন্যজনের জরিমানা

সরাইলে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার দায়ের একজনকে কারাদন্ড, অন্যজনের জরিমানা

অস্ত্র মামলায় দণ্ড থেকে খালাস পেলেন মতিউর রহমান নিজামী

অস্ত্র মামলায় দণ্ড থেকে খালাস পেলেন মতিউর রহমান নিজামী

সিকৃবিতে প্রকল্প এবং ফেলোসিপ পুরস্কার অনুষ্ঠান কাল

সিকৃবিতে প্রকল্প এবং ফেলোসিপ পুরস্কার অনুষ্ঠান কাল

পর্তুগালে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৭

পর্তুগালে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৭

খুলনার কাউন্সিলর টিপু হত্যার তিন আসামি গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার

খুলনার কাউন্সিলর টিপু হত্যার তিন আসামি গ্রেফতার, অস্ত্র উদ্ধার

ইউক্রেন যুদ্ধে হারের কথা স্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের

ইউক্রেন যুদ্ধে হারের কথা স্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের

তাদের চোখের সামনে লাশগুলো থাকার কথা ছিল কিন্তু আছে শুধু ক্ষমতা

তাদের চোখের সামনে লাশগুলো থাকার কথা ছিল কিন্তু আছে শুধু ক্ষমতা

শত্রুদের অজানা অস্ত্র আছে ইরানের কাছে

শত্রুদের অজানা অস্ত্র আছে ইরানের কাছে

ডিসেম্বরের সেরা বুমরাহই

ডিসেম্বরের সেরা বুমরাহই

রাজশাহীতে বিএমডিএ সদও দপ্তরে দুদকের অভিযান  নথিপত্র তলব

রাজশাহীতে বিএমডিএ সদও দপ্তরে দুদকের অভিযান নথিপত্র তলব

২০২৪ সালে পবিত্র হজ ও ওমরাহ করেছেন ১ কোটি ৮৫ লাখ মানুষ

২০২৪ সালে পবিত্র হজ ও ওমরাহ করেছেন ১ কোটি ৮৫ লাখ মানুষ

ভেজাল টমেটো বীজে সিলেটে সর্বনাশ কৃষকদের

ভেজাল টমেটো বীজে সিলেটে সর্বনাশ কৃষকদের

উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ভবনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করলেন -ড.এম আসাদুজ্জামান

উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ভবনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করলেন -ড.এম আসাদুজ্জামান

রাগে র‌্যাকেট-ক্যামেরা ভাঙলেন মেদভেদেভ

রাগে র‌্যাকেট-ক্যামেরা ভাঙলেন মেদভেদেভ

পটুয়াখালীতে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

পটুয়াখালীতে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

ভোটার হালনাগাদ নিয়ে ইসির বিশেষ নির্দেশনা

ভোটার হালনাগাদ নিয়ে ইসির বিশেষ নির্দেশনা

তবে কি ফিলিস্তিনে গণহত্যা-ধ্বংসযজ্ঞের ফল পাচ্ছে আমেরিকা?

তবে কি ফিলিস্তিনে গণহত্যা-ধ্বংসযজ্ঞের ফল পাচ্ছে আমেরিকা?

মেসার্স ইশা ফিলিং স্টেশনকে মাপে কম দেওয়ায় জরিমানা

মেসার্স ইশা ফিলিং স্টেশনকে মাপে কম দেওয়ায় জরিমানা