ইসরাইল ছাড়তে চাইছেন প্রতি তিনজনে একজন

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

১৬ আগস্ট ২০২৩, ০৯:১৫ পিএম | আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম

ইসরাইলে বিচার বিভাগের ক্ষমতা কমাতে সরকারের নেওয়া বিতর্কিত সংস্কার পদক্ষেপের বিরোধিতায় সপ্তাহে সপ্তাহে হাজারো মানুষের বিক্ষোভে সামিল হওয়ার মধ্যেই এক জরিপে দেখা গেছে, দেশ ছেড়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন প্রতি তিনজনে একজন ইসরাইলি। বিবিসি জানায়, দেশ ছাড়তে চান এমন একজন হলেন, ইসরাইলি অধ্যাপক চেন হফম্যান। বিশাল সরকার বিরোধী সমাবেশেও তিনি অংশ নিচ্ছেন। শনিবার রাতে রাজধানী তেল আবিবের কেন্দ্রস্থলে যে বিক্ষোভ হয়েছে তাতে অংশ নিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, “রাস্তায় গিয়ে বিক্ষোভ করা আমাদের রীতি না। কিন্তু আমরা তা করতে বাধ্য হচ্ছি; কারণ, আমরা আমাদের দেশকে হারিয়ে ফেলছি। আমাদের কাছে এখন বিষয়টি এমনই মনে হয়।” ইসরাইলে নামকরা এই রেডিওলজিস্ট এখন যুক্তরাজ্যের হাসপাতালে যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়ায় আছেন। পরিবারের অন্য সদস্যদের যাদের ইউরোপীয় পাসপোর্ট আছে তাদেরকেও দেশ ছাড়তে উৎসাহ যোগাচ্ছেন তিনি। বিদেশে যেতে চাওয়ার ব্যাখ্যায় হফম্যান বলেন, “আমি ছুটি নিয়ে লন্ডন যাচ্ছি। এর মাধ্যমে আমি মূলত দেখতে চাইছি, বিদেশে থাকতে পারব কি না। যদি দেখি ইসরাইলে পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে, তাহলে বসবাসের জন্য নতুন জায়গা খুঁজে নেব।”ইসরাইলে বিচারব্যবস্থা সংস্কারের বিতর্কিত বিল নিয়ে গণবিক্ষোভের মধ্যেই গত ২৪ জুলাই পার্লামেন্টে তা পাস হয়। এর মধ্য দিয়ে বিলটি আইনে পরিণত হয়। এতে কমেছে আদালতের ক্ষমতা। এতোদিন সরকারের নেওয়া কোনও পদক্ষেপ অযৌক্তিক মনে করলে ইসরাইলের সুপ্রিম কোর্ট তা নাকচ করতে পারত। কিন্ত নতুন আইনের আওতায় সুপ্রিম কোর্টের সে ক্ষমতা আর থাকছে না। আদালতের ক্ষমতা কমাতে সরকারের এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবসহ বড় বড় নগরীতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে। কয়েক মাস ধরে চলে আসছে এই বিক্ষোভ। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলছেন, সংস্কারের মধ্য দিয়ে আদালতের ক্ষমতা খর্ব হয়ে সরকারের বিভিন্ন শাখার মধ্যে ভারসাম্য ফিরে আসবে। সম্প্রতি কয়েক দশকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে আদালতের হস্তক্ষেপ বেড়ে গেছে বলেই ভাষ্য সরকারের। তবে বিরোধীরা বলছে, সরকারের এমন পদক্ষেপ গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। গত বছর ডিসেম্বরে ইসরাইলে নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন কট্টর ডানপন্থি জোট সরকার গঠিত হওয়ার পর এবছরের জানুয়ারিতে বিচারব্যবস্থা সংস্কার পরিকল্পনার ঘোষণা করা হয়। তখন থেকেই এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে। বিবিসি।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

পণ্যবাহী দুটি কার্গো আটক করেছে আরাকান আর্মি
পশ্চিমাদের উদ্বেগ বাড়িয়ে ২০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি সই ইরান-রাশিয়ার
রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের ২০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর
রুপির দাম তলানিতে, নিয়ন্ত্রণে যে সিদ্ধান্ত নিলো ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএফডির সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান না
আরও

আরও পড়ুন

হবিগঞ্জে সাড়ে ৭ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি

হবিগঞ্জে সাড়ে ৭ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি

পণ্যবাহী দুটি কার্গো আটক করেছে আরাকান আর্মি

পণ্যবাহী দুটি কার্গো আটক করেছে আরাকান আর্মি

আশুলিয়ায় কৃষক দলের কম্বল বিতরণ

আশুলিয়ায় কৃষক দলের কম্বল বিতরণ

পশ্চিমাদের উদ্বেগ বাড়িয়ে ২০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি সই ইরান-রাশিয়ার

পশ্চিমাদের উদ্বেগ বাড়িয়ে ২০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি সই ইরান-রাশিয়ার

আ.লীগের আমলে উন্নয়নের গালগপ্প শোনালেও ভেতরে ছিল ফাঁপা : উমামা ফাতেমা

আ.লীগের আমলে উন্নয়নের গালগপ্প শোনালেও ভেতরে ছিল ফাঁপা : উমামা ফাতেমা

লঞ্চ ব্যবসায়ী ছেলের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মায়ের সংবাদ সম্মেলন

লঞ্চ ব্যবসায়ী ছেলের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মায়ের সংবাদ সম্মেলন

কিশোরগঞ্জে ‘তারুণ্যের মেলা’র উদ্বোধন

কিশোরগঞ্জে ‘তারুণ্যের মেলা’র উদ্বোধন

সুন্দরগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

সুন্দরগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন

মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে প্রয়োজন স্থায়ী সংস্কার: এইচআরডব্লিউ'র প্রতিবেদন

মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে প্রয়োজন স্থায়ী সংস্কার: এইচআরডব্লিউ'র প্রতিবেদন

কক্সবাজারে ছাগলনাইয়া সিএনজি শো-রুম মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সংবর্ধনা

কক্সবাজারে ছাগলনাইয়া সিএনজি শো-রুম মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সংবর্ধনা

ওপারে ভালো থাকবেন ডেভিড লিঞ্চ

ওপারে ভালো থাকবেন ডেভিড লিঞ্চ

হাজারীবাগে ছাত্রী হোস্টেল থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

হাজারীবাগে ছাত্রী হোস্টেল থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

গুপ্ত হত্যা, গুম ও ক্রসফায়ার ছিলো শেখ হাসিনার অত্যন্ত প্রিয়: রিজভী

গুপ্ত হত্যা, গুম ও ক্রসফায়ার ছিলো শেখ হাসিনার অত্যন্ত প্রিয়: রিজভী

জনতার বাজার মনোপলি সিন্ডিকেটের ঊর্ধ্বে থাকবে: ঢাকা জেলা প্রশাসক

জনতার বাজার মনোপলি সিন্ডিকেটের ঊর্ধ্বে থাকবে: ঢাকা জেলা প্রশাসক

ভ্যাট না বাড়িয়ে সরকারকে খরচ কমানোর পরামর্শ বিএনপির

ভ্যাট না বাড়িয়ে সরকারকে খরচ কমানোর পরামর্শ বিএনপির

গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চলের কৃষকের স্বপ্ন এখন ইরি-বোরোয়

গারো পাহাড় সীমান্তাঞ্চলের কৃষকের স্বপ্ন এখন ইরি-বোরোয়

রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের ২০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর

রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের ২০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর

জাতীয় কবির নাতি দগ্ধ, আইসিইউতে ভর্তি

জাতীয় কবির নাতি দগ্ধ, আইসিইউতে ভর্তি

উখিয়ায় অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে ১ জনকে ১০ দিনের সাজা, ট্রাক ও এক্সেভেটর মেশিন জব্দ

উখিয়ায় অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে ১ জনকে ১০ দিনের সাজা, ট্রাক ও এক্সেভেটর মেশিন জব্দ

নগরকান্দায় ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশ সাংবাদিক নারীসহ আহত অর্ধশত

নগরকান্দায় ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশ সাংবাদিক নারীসহ আহত অর্ধশত