গাদ্দাফি হত্যা ছিল বড় ভুল : ইতালি
১৭ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৪৮ পিএম | আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৮ এএম
লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যা করা বড় ধরনের ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি। বুধবার তাসকানিতে একটি ইভেন্টের ফাঁকে কথা বলার সময় এমনটাই উল্লেখ করেন তাজানি। তার মতে, পরে যারা লিবিয়ায় ক্ষমতায় এসেছেন তাদের চেয়ে গাদ্দাফি ভালো। তিনি বলেন, ‘গাদ্দাফিকে হত্যা করা খুবই গুরুতর ভুল ছিল। তিনি গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন নাও হতে পারেন, কিন্তু তিনি শেষ হয়ে যাওয়ার পরই লিবিয়া ও আফ্রিকায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা দেখা দেয়।’ তাজানি আরও দাবি করেন, গাদ্দাফির সময় (ইউরোপমুখী) অভিবাসনপ্রবাহও বন্ধ ছিল এবং পরিস্থিতি ছিল অনেক বেশি স্থিতিশীল। গাদ্দাফি একজন স্বৈরশাসক হলেও তিনি তার দেশের জনগণের মৌলিক চাহিদাসংক্রান্ত উপাদানগুলো নিশ্চিত করতে পেরেছিলেন। একসময় দেশটিতে তিনি জনপ্রিয়ও ছিলেন। কিন্তু আরব বসন্তের সময় তার জনপ্রিয়তায় নাটকীয়ভাবে ভাটা পড়ে। লিবিয়ায় ২০১১ সালের গৃহযুদ্ধের সময় নো-ফ্লাই জোন আরোপ করার অজুহাতে বোমা হামলা চালায় পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। তাদের পদক্ষেপের কারণেই বিদ্রোহীরা সহজে গাদ্দাফির বাহিনীকে কাবু করে ফেলে এবং বিদ্রোহীদের হাতে গাদ্দাফি নিহত হন। গাদ্দাফি-পরবর্তী লিবিয়া পরে নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে গেছে। এ সময় লিবিয়া বহু পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। সব পক্ষই নিজেকে শাসন করার বৈধতা দাবি করে। এ উপদলগুলো বছরের পর বছর লড়াই চালিয়ে যেতে থাকে। সে সময় দেশটিতে আইএসের উত্থান হয়। এ ছাড়া গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচতে বহু লিবীয় নাগরিক সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে চলে যায়। লিবীয় উপকূল আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার হাবে পরিণত হয়। বর্তমানে লিবিয়ার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল। জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার জাতীয় চুক্তির আলোকে জেনারেল খলিফা হাফতার ও লিবিয়ান হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের অনুগত বাহিনীর অধীনে একত্র হয়েছে। রাশিয়া টুডে এ খবর জানায়। তাসের খবরে বলা হয়, সংঘর্ষে উত্তাল লিবিয়া। সেদেশের ত্রিপোলিতে দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষে দুই দলের মধ্যে সংঘাতে ব্যাপক হিংসা ছড়িয়েছে। এপর্যন্ত এই সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫৫ জনের। আহতের সংখ্যা শতাধিক। গোটা ঘটনার সূত্রপাত মেহমুদ হামজার আটক ঘিরে। ত্রিপোলির মিতিগা বিমানবন্দর দিয়ে সফর করার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল লিবিয়ার সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম ‘৪৪৪ ব্রিগেডে’র মাহমুদ হামজা। সেই সময়ই হামজাকে আটক করে নেয়া হয়। তারপর থেকে শুরু হয়েছে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র গুলির লড়াই। যদিও পরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সমঝোতা হয়। আর এই সমঝোতার মধ্যস্থতা করে জাতিসংঘের স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার। লিবিয়ার গর্ভনমেন্ট অফ ন্যাশনাল ইউনিটির সরকারের মধ্যস্থতায় এই সমঝোতা হয়। আর সেই সমঝোতার পর ছেড়ে দেয়া হয় হামজাকে। মাহমুদ হামজাকে এই মুহূর্তে একটি নিরপেক্ষ গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। যদিও এই সমঝোতার পর মঙ্গলবারের পর থেকে লিবিয়ায় খানিকটা কমেছে সংঘাত। আরটি,তাস।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কমলনগরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ আহত ৩
কুড়িগ্রামে জেলা বিএনপির ১২টি ইউনিট বিলুপ্ত ঘোষণা
তারাকান্দায় বাসের ধাক্কায় আহত-৪
কুয়েটে অনুষ্ঠিত হলো ন্যাশনাল আইডিয়া কেস কম্পিটিশন ‘বিজব্যাটেল’
ভারতের ড্রেসিংরুম চ্যাপেল যুগের মতো বিধ্বস্ত: হরভজন
জুনে জাফর-২ ও পায়া উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করবে ইরান
আন্দোলনের ইমেজ বিশ্বকে জানাতে হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে বাঁশ ও বেত শিল্প প্রায় বিলুপ্ত
দুই যাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ৪ সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে- গ্রেপ্তার- ১
হবিগঞ্জে সাড়ে ৭ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি
ছাত্রদলের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি শুরু
শুরু হয়েছে 'শার্ক ট্যাঙ্ক বাংলাদেশ সিজন–২ এর রেজিষ্ট্রেশন; কি থাকবে এবারের পর্বে?
২০বছরের অধিক সাজাখাটা বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দিন প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ
বাংলাদেশে ঢুকে গাছের ডাল কাটল বিএসএফ, সীমান্তে উত্তেজনা
নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় ৬ জন গ্রেফতার, ড্রেজার জব্দ
ইরানের সুপ্রিম কোর্টের সামনে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত দুই বিচারক
কলাপাড়ায় প্রধান উপদেস্টার কায্যালয়ের সচিব, প্রকল্প পরিচালকের গাড়ী বহর আটকে দিল বিক্ষোভকারীরা
সাজিদ-নোমানের ঘূর্ণিতে ১৩৭ রানেই শেষ উইন্ডিজ
কেন মেলোনির সামনে হাঁটু গেড়ে বসলেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী?
ট্রাম্পের অভিষেকে যোগ দিচ্ছেন মুকেশ ও নীতা আম্বানি