বিপজ্জনক হিমালয় অঞ্চল : তুষার কম, বাড়ছে বৃষ্টি
১৯ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৫০ পিএম | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম
হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে মুষলধারে বৃষ্টি এবং অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণযজ্ঞ প্রায়ই বিপর্যয় ঘটাচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাত অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে ওই অঞ্চল আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। গবেষকরা হিমালয় অঞ্চলের জলবায়ুর পরিবর্তনকে এ জন্য দায়ী বলে মনে করছেন। চলতি মাসে ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যায় এরই মধ্যে উত্তর ভারতের হিমালয় পাদদেশের অঞ্চলগুলোতে বেশ কিছু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। সেখানে অনেক বাড়িঘরসহ বহু ভবন কাদার নিচে চাপা পড়েছে। নেপাল ও পাকিস্তানের কিছু অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গবেষকদের নতুন এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, হিমালয়সহ বিশ্বের পর্বতগুলোতে এখন এমন উচ্চতায় অনেক বৃষ্টিপাত হচ্ছে যেখানে আগে মূলত তুষারপাত হতো। এই পরিবর্তন পাহাড়গুলোকে আরো বিপজ্জনক করে তুলছে। কারণ, তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে শুধু বৃষ্টিপাতই বেশি হচ্ছে এমন নয়; তুষার ও বরফ গলে যাওয়াও ত্বরান্বিত হচ্ছে। বৃষ্টির পানি মাটি আলগা করে দিচ্ছে। এর ফলে ভূমিধস, শিলাখ- ধসে পড়া ও বন্যার ঘটনা ঘটছে। এবারের বর্ষাকাল শুরু হওয়ার পর থেকে ৫৫ দিনে হিমাচল প্রদেশে ১১৩টি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এসব ভূমিধসে রাজ্যটির গণপূর্ত বিভাগের (পিডাব্লিউডি) বিভিন্ন অবকাঠামো বিধ্বস্ত হয়ে ক্ষতির পরিমাণ দুই হাজার ৪৯১ কোটি রুপি। ভারতের জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষের ক্ষতি হয়েছে এক হাজার কোটি রুপি। সিমলার সামার হিলে রেললাইনের নিচের মাটি পাহাড়ের ওপর থেকে নেমে আসা ঢল ও কাদাপানির স্রোতে ভেসে গেছে। শুধু রেললাইনটি শূন্যে ঝুলে আছে। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বলেছেন, এসব ভূমিধসে অবকাঠামোর যে ক্ষতি হয়েছে তার পুনর্র্নিমাণ ‘পর্বতসম চ্যালেঞ্জ।’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবেশগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হিমালয়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে নির্মাণযজ্ঞ চালানো হচ্ছে বলেই বারবার ভূমিধস হচ্ছে। নির্মাণকাজের জন্য পাহাড়ের বনের আচ্ছাদন ধ্বংস করা হচ্ছে। ঝরনাধারার কাছে অবকাঠামো তৈরি করে পানির স্বাভাবিক প্রবাহকে আটকে দেওয়া হচ্ছে। ২৪ জুন থেকে হিমাচলে বর্ষাকাল শুরু হওয়ার পর থেকে প্রবল বৃষ্টিজনিত আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের মতো বিভিন্ন ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত অন্তত ২১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ধ্বংসাত্মক বৃষ্টিপাতে হিমাচলে শুধু অবকাঠামোই ধ্বংস হয়নি, কোথাও কোথাও পুরো পরিবার শেষ হয়ে গেছে। সিমলার এক মন্দির ধসে পড়ার ঘটনায় একটি পরিবারের সাত সদস্যের সবাই নিহত হয়েছে। বহু হতাহত হওয়ার পাশাপাশি রাজ্যটির হাজারো মানুষ তাদের জীবিকা হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে। সরকারি হিসাবে মোট ক্ষয়ক্ষতির অঙ্ক ১০ হাজার কোটি রুপির মতো হবে বলা হয়েছে। কিন্তু এতে বিপর্যয়ের প্রকৃত ক্ষতি প্রতিফলিত হয়নি বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে হিমাচলের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি পর্যটন ও আপেল বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান
ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল
অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের
গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা
রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি
বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান
২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭
প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু
কী আছে তৌফিকার লকারে?
ঘটনার তিনদিন পর থানায় মামলা
অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের পাঁয়তারা
শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুরবস্থা
৯৬টি সিএনজি ভাঙ্গাড়ি হিসাবে সাড়ে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি
৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ