ঢাকা   রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭ আশ্বিন ১৪৩১
ইসরাইলে হিজবুল্লাহর নয়া অভিযান, বাড়ছে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা

ফিলিস্তিনের জন্য ন্যায়বিচারের আহ্বান নিয়ে জাতিসংঘে এরদোগান

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ এএম

 তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। যেখানে তিনি ফিলিস্তিনি, বিশেষ করে গাজার জন্য ন্যায়বিচারের আহ্বান জানাবেন। শুক্রবার দেশটির সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এরদোগানের বক্তব্যে ইসরাইলের বিরুদ্ধে তার কঠোর সমালোচনা এবং গাজার ওপর ইসরাইলের যুদ্ধ ও সম্প্রসারণবাদী নীতির বিরোধিতা বারবার উঠে এসেছে। বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানদের এ অধিবেশনে এরদোগান ১৪তম বারের মতো উপস্থিত থাকবেন এবং প্রথম দিনেই তিনি ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ এবং আরও বেশি দেশের স্বীকৃতি পাওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরবেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরাইলের ওপর চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানাবেন, বিশেষ করে যখন গাজায় ইসরাইলের আক্রমণের প্রায় এক বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এরদোগান পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার গুরুত্বকেও তুলে ধরবেন। তুরস্ক ইতোমধ্যেই ইসরাইলের প্রতি তার কঠোর মনোভাব জানিয়েছে এবং এরদোগান ইসরাইলের নেতৃত্বকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তুরস্ক ইতোমধ্যেই ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রচেষ্টায় যোগ দিয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট এরদোগান অন্যান্য দেশকেও এ প্রচেষ্টায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাবেন। এরদোগান ২০১৯ সালে, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে একইভাবে একটি ফিলিস্তিনের মানচিত্র তুলে ধরে বলেছিলেন, ইসরাইল ফিলিস্তিনের অবশিষ্ট অঞ্চলগুলোও দখল করতে চাইছে। তিনি সে সময় বিশ্ব সংস্থাটির অকার্যকারিতার কঠোর সমালোচনা করেন এবং প্রশ্ন তোলেন, ‘যদি আমরা জাতিসংঘের অধীনে ন্যায়বিচার আনতে না পারি, তবে ন্যায়বিচার কোথায় প্রতিষ্ঠিত হবে?’ এরদোগান এছাড়াও সাইপ্রাসের উত্তরাঞ্চলীয় তুর্কি প্রজাতন্ত্রের স্বাধীনতার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য আহ্বান জানাবেন। তুরস্ক এবং দীর্ঘদিন ধরে দ্বীপটির বিভক্তির জন্য দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে রয়েছে। জাতিসংঘ অধিবেশনের পাশাপাশি, এরদোগান অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও গাজা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন। অপর এক খবরে বলা হয়, লেবাননে ইসরাইলের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী কর্মকা-ের পর উভয় পক্ষের মধ্যে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কার মধ্যেই ইসরাইল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি শুক্রবার বলেছে, তারা গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে এবং দক্ষিণ লেবাননে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলার প্রতিক্রিয়ায় নতুন অভিযান চালিয়েছে। হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা কামানের গোলা দিয়ে ইসরাইলের আল-মালকিয়া সামরিক অবস্থানকে লক্ষ্য করে সরাসরি আঘাত হেনেছে। হিজবুল্লাহর কাতিউশা রকেটগুলো হারমন ব্রিগেড ৮১০-এর কমান্ড হেডকোয়ার্টার মা›আলেহ গোলানি সামরিক ঘাঁটির পাশাপাশি শোমেরা এবং মেটাত ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। ইয়ারা ব্যারাকে ইসরাইলের পশ্চিম ব্রিগেডের কমান্ড হেডকোয়ার্টারও রকেট দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, তারা বৃহস্পতিবার অধিকৃত গোলান মালভূমিতর গালিলিতে এবং অধিকৃত কাফারচৌবা পাহাড়ে ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তুতে ১৭টি হামলা চালিয়েছে। উত্তর ইসরাইলে হিজবুল্লাহর একটি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলায় দুই ইসরাইলি সেনা নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছে বলে ইসরাইলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে। লেবাননে ইসরাইল তার বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর কয়েক ডজন রকেট লাঞ্চারপ্যাডসহ অন্যান্য অবকাঠামোতে আঘাত হানার দাবি করার পর, নতুন করে এ অভিযান শুরু হয়। ডেইলি সাবাহ, আল-মায়াদিন।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত

প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত

দেশে সংস্কার  ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান

দেশে সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান

ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই

উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই

বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪

বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪

পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা

পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা

মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি

মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি

জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী

জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী

মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান

মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান

বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির

বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির

একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু

সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক

সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক

‘শুধু সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে’ : তারেক রহমান

‘শুধু সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে’ : তারেক রহমান

যে কোনো ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত: বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ

যে কোনো ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত: বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ

ভোলায় ঝড়ের কবলে পড়ে ১০ ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১

ভোলায় ঝড়ের কবলে পড়ে ১০ ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১

ছাত্ররাজনীতিতে গুণগত সংস্কার প্রয়োজন : শিবির সেক্রেটারী

ছাত্ররাজনীতিতে গুণগত সংস্কার প্রয়োজন : শিবির সেক্রেটারী

মতলবে ছেলের ইটের আঘাতে মায়ের মৃত্যু : আটক ছেলে

মতলবে ছেলের ইটের আঘাতে মায়ের মৃত্যু : আটক ছেলে

মব জাস্টিসের প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন

মব জাস্টিসের প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন

গুলিবিদ্ধ ইলহামের জন্য তারেক রহমানের অনন্য উদ্যোগ

গুলিবিদ্ধ ইলহামের জন্য তারেক রহমানের অনন্য উদ্যোগ