অর্থনীতির প্রশ্নে ট্রাম্পে হতাশ মার্কিনিরা

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক :

২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৩ এএম

বড় আশা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছিলেন মার্কিনিরা। তাদের বিশ্বাস ছিল, মূল্যস্ফীতি কমিয়ে দেশের অর্থনীতিকে চাঙা করে তুলবেন তিনি। তবে হোয়াইট হাউজের মসনদে বসার প্রথম ১০০ দিন ঘনিয়ে আসতে আসতে ট্রাম্পের জনসমর্থনে কিছুটা ভাটা পড়েছে। বুধবার প্রকাশিত রয়টার্স/ইপসোসের এক জরিপে দেখা গেছে, মার্কিন অর্থনীতি সামলানোর ক্ষেত্রে ট্রাম্পের কর্মকা-ে সন্তুষ্ট কেবল ৩৭ শতাংশ মানুষ। অথচ ক্ষমতায় আসার কয়েকঘণ্টা পর, কেবল মার্কিন অর্থনীতির সোনালি যুগ ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেই ৪২ শতাংশ মানুষের সমর্থন আদায় করেছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন চিন্তক সংস্থা, আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের একজন জ্যেষ্ঠ ফেলো জেমস পেথোকুকিস বলেছেন, আমরা একজন প্রেসিডেন্টকে পেয়েছি, যিনি সোনালি সময়ের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। অথচ যা থাকার কথা ছিল ওপর তা এখন নিম্নগামী, আর যে সূচক থাকা দরকার নিচে তা এখন ঊর্ধ্বগামী। দায়িত্ব গ্রহণের শুরু থেকেই আগ্রাসী অর্থনৈতিক অ্যাজেন্ডা গ্রহণ করেন ট্রাম্প। নতুন নীতির আওতায় গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক অংশীদারদের ওপর শুল্কের বোঝা চাপিয়ে এবং সম্প্রতি মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নিজের ক্ষমতা প্রয়োগের চেষ্টা করে দেশের শেয়ার বাজারে একটা লেজেগোবরে পরিস্থিতি তৈরি করেন তিনি। শেয়ারবাজারে সূচক এতোটা নিম্নগামী শেষ দেখা গিয়েছিল পাঁচ বছর আগে কোভিড মহামারির সময়। অবশ্য, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় শুল্কনীতিতে ট্রাম্প কিছুটা পিছু হটলেও, অর্থনীতিতে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, সেটা স্বাভাবিক হতে দীর্ঘ সময় লাগবে বলে মনে করেন পেথোকুকিস। ট্রাম্পের অভিষেকের পরই আয়োজিত এক জরিপে প্রায় ৫৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলেছিলেন, ট্রাম্পের প্রথম ১০০ দিনের প্রধান অগ্রাধিকার উচিত মুদ্রাস্ফীতি বা সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নতি। আর ট্রাম্পের নিজের পছন্দের অভিবাসন ইস্যুর স্বপক্ষে মত দিয়েছিলেন মাত্র ২৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। সাম্প্রতিক জরিপে তিন-চতুর্থাংশ অংশগ্রহণকারী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র একটি মন্দার দিকে যাচ্ছে। আর ৫৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন, ট্রাম্পের অর্থনৈতিক পদক্ষেপ অত্যন্ত এলোমেলো। অংশগ্রহণকারীদের কাছে আরও জানতে চাওয়া হয়, ট্রাম্পের কর্মকা-ের ভবিষ্যৎ কী। এটা যাচাইয়ের জন্য বক্তব্য রাখা হয়, ‘ট্রাম্পের কর্মকা-ের কারণে অবসর জীবনে আমার ভোগান্তি হবে’- এর সঙ্গে একমত হয়েছেন ৫২ শতাংশ মানুষ এবং দ্বিমত পোষণ করেছেন ৩১ শতাংশ। এদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার আমলে যে গড় সমর্থন পেয়েছেন, এখনও তার চেয়ে কিছু বেশি সমর্থন রয়েছে ট্রাম্পের। ট্রাম্পের সামগ্রিক জনসমর্থন এখন রয়েছে ৪২ শতাংশ। এই সমর্থকদের অধিকাংশই, অন্তত ৪৫ শতাংশ মানুষ, ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসী নীতির ভক্ত। রয়টার্স।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

চার খাতে এডিবির কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা
ইরান-ভারত-পাকিস্তান কূটনীতি, উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতার পথে আব্বাস আরাগচি
পুলিৎজার জিতলেন ফিলিস্তিনি লেখক মোসাব আবু তোহা, গাজার রক্তাক্ত গল্পে বিশ্বজয়
মহড়ার আগেই ডুবে গেল ঐতিহাসিক যুদ্ধজাহাজ
স্বেচ্ছায় ফেরত যেতে চাওয়া অভিবাসীদের সহায়তা দেবে ট্রাম্প প্রশাসন
আরও
X
  

আরও পড়ুন

চিকিৎসাধীন মাকে দেখতে আজই হাসপাতালে যাচ্ছেন ডা. জোবাইদা

চিকিৎসাধীন মাকে দেখতে আজই হাসপাতালে যাচ্ছেন ডা. জোবাইদা

হেঁটে ফিরোজায় ঢুকলেন খালেদা জিয়া

হেঁটে ফিরোজায় ঢুকলেন খালেদা জিয়া

বহুল আলোচিত তালার ইউএনওকে রংপুরে বদলি

বহুল আলোচিত তালার ইউএনওকে রংপুরে বদলি

সালথায় আমগাছে ঝুলছিল যুবকের ঝুলন্ত লাশ

সালথায় আমগাছে ঝুলছিল যুবকের ঝুলন্ত লাশ

পঞ্চগড়ে সাবেক ডিসি-এসপি ও এমপি-মন্ত্রীর নামে হত্যা মামলা

পঞ্চগড়ে সাবেক ডিসি-এসপি ও এমপি-মন্ত্রীর নামে হত্যা মামলা

চার খাতে এডিবির কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা

চার খাতে এডিবির কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা

ঝিনাইদহে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু

ঝিনাইদহে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু

নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১ জন নিহত, আহত-১

নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১ জন নিহত, আহত-১

ঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন : প্রেস সচিব

ঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন : প্রেস সচিব

ইরান-ভারত-পাকিস্তান কূটনীতি, উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতার পথে আব্বাস আরাগচি

ইরান-ভারত-পাকিস্তান কূটনীতি, উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতার পথে আব্বাস আরাগচি

এটিএম আজহারের আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি

এটিএম আজহারের আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

মেট গালায় কিয়ারার ঐতিহাসিক মূহুর্ত উদযাপন;গ্লো ছড়িয়েছে বেবিবাম্প

মেট গালায় কিয়ারার ঐতিহাসিক মূহুর্ত উদযাপন;গ্লো ছড়িয়েছে বেবিবাম্প

সেই বাবুর্চির হাতে খালেদা জিয়া-দুই পুত্রবধূর জন্য বিশেষ রান্না

সেই বাবুর্চির হাতে খালেদা জিয়া-দুই পুত্রবধূর জন্য বিশেষ রান্না

পুলিৎজার জিতলেন ফিলিস্তিনি লেখক মোসাব আবু তোহা, গাজার রক্তাক্ত গল্পে বিশ্বজয়

পুলিৎজার জিতলেন ফিলিস্তিনি লেখক মোসাব আবু তোহা, গাজার রক্তাক্ত গল্পে বিশ্বজয়

বাংলাদেশ হিস্ট্রি অ্যান্ড আর্কিওলজি রিসার্চ সোসাইটির আত্মপ্রকাশ

বাংলাদেশ হিস্ট্রি অ্যান্ড আর্কিওলজি রিসার্চ সোসাইটির আত্মপ্রকাশ

ফিরোজায় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া

ফিরোজায় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া

মনোহরগঞ্জে অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বিক্রির অপরাধে ২জনকে কারাদন্ড, গাড়ি জব্দ

মনোহরগঞ্জে অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বিক্রির অপরাধে ২জনকে কারাদন্ড, গাড়ি জব্দ

ঝড়ের কারণে ডুবোচরে আটকা পড়েছে ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান

ঝড়ের কারণে ডুবোচরে আটকা পড়েছে ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান

মহড়ার আগেই ডুবে গেল ঐতিহাসিক যুদ্ধজাহাজ

মহড়ার আগেই ডুবে গেল ঐতিহাসিক যুদ্ধজাহাজ