দীর্ঘ লড়াইয়ে বাখমুত এখন ধ্বংসস্তূপ, ভূতুড়ে নগরীতে
০৫ মার্চ ২০২৩, ১০:১৮ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৩৬ পিএম
দীর্ঘস্থায়ী এ লড়াইয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দুই পক্ষেরই। হয়েছে বিপুল প্রাণহানি। কিয়েভের দাবি, চলমান যুদ্ধে বাকি ফ্রন্টলাইনে যত সৈন্য হারিয়েছে রাশিয়া বাখুমতেই মৃত্যু হয়েছে তার সাতগুণ। প্রাণ গেছে শহরটির অনেক বেসামরিক নাগরিকের।
দোনবাস অঞ্চলের শিল্পনগরী বাখমুত মূলত পরিচিত লবন ও জিপসাম খনির জন্য। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে পুরো দোনবাস দখল করা অনেকটাই সহজ হবে রাশিয়ার জন্য। আর এ কারণেই শহরটি দখলে নিতে এতটা মরিয়া পুতিন।
চলমান রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ভয়াবহতার শিকার হয়েছে বাখমুত। শহরটিতে গত বছরের আগস্টে শুরু হয় সংঘর্ষ। এরইমধ্যে গোটা নগরী পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে বেশিরভাগ মানুষ। বিপুল সৈন্য হারিয়েছে দুই দেশই। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া রাশিয়া। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলছে ইউক্রেনও। আর তাতেই শহরটিতে চলেছে তাণ্ডব। খবর রয়াটার্সের।
এ যেনো ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাচীন কোনো নগরী। যেদিকে চোখ যায় শুধুই কংক্রিটের স্তূপ। অথচ কয়েকমাস আগেও ছিলো সাজানো গোছানো ছোট্ট এক শহর। রুশ-ইউক্রেন দু’পক্ষের সৈন্য বাহিনীর তাণ্ডবে এই পরিণতি বাখমুতের।
গেলো আগস্টে পূর্ব ইউক্রেনের ছোট্ট এই শহরটিতে চারদিক থেকে হামলা চালাতে শুরু করে মস্কো। রুশ সেনাদের সাথে বাখমুত দখলের লড়াইয়ে যোগ দেয় ভাঁড়াটে ওয়াগনার যোদ্ধারা। শহরের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পাল্টা হামলা চালায় ইউক্রেনও।
মেয়রের দাবি, বাখমুতের প্রতিটি ভবনেই রয়েছে হামলার চিহ্ন। বিধ্বস্ত হয়েছে সেতু, সড়কসহ অন্যান্য স্থাপনাও। পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ। বাখমুত পরিণত হয়েছে ভূতুড়ে নগরীতে। যুদ্ধ শুরুর আগে শহরটিতে ছিলো অন্তত ৮০ হাজার ইউক্রেনীয়র বাস। আর এখন রয়েছে মাত্র হাজার তিনেক। তাদের কাটছে মানবেতর জীবন।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ঘোষিত হলো ৯৭ তম অস্কারের মনোনয়ন: দেখে নিন সম্পূর্ণ তালিকা
জুলাই বিপ্লবে আহত সাতজনকে পাঠানো হলো সিঙ্গাপুরে
জন কেনেডি, রবার্ট কেনেডি ও মার্টিন লুথার কিং হত্যার গোপন নথি প্রকাশের নির্দেশ ট্রাম্পের
শুধু হাসিনা না হাসিনার দলও চিরতরে প্যাকেট হয়ে গেছে
নাইজেরিয়ায় বোকো হারামের হামলায় ২০ জেলে নিহত
গাজায় সংঘটিত মানবিক বিপর্যয় দেখতে নিরাপত্তা পরিষদকে আমন্ত্রণ ফিলিস্তিনের
সৈয়দপুরে ঘন কুয়াশায় আলু ও বোরো বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক
মায়ের জানাজায় গিয়ে ছেলের মৃত্যু, একসঙ্গে দাফন
মিটার সংকটে মোরেলগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস, ভোগান্তিতে গ্রাহক
গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ বন্ধুর মৃত্যু
মীরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনার নিহত ১ কলেজ শিক্ষার্থীসহ আহত ৬
চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে এলজিইডি কর্মচারীর আত্মহত্যা
ভারতের জন্য ট্রাম্প ২.০ এর আশার সম্ভাবনা কি স্তিমিত ?
ব্যাংককে বায়ুদূষণের কারণে ২০০ স্কুল বন্ধ
দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে শহীদ মিনারে প্রাথমিকের শিক্ষকদের সমাবেশ
দেশের সব বিভাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বৈঠক আজ
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত
গাজীপুরে টিফিন খেয়ে অর্ধশতাধিক শ্রমিক অসুস্থ
পশ্চিমতীরে অভিযান বন্ধ না করলে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হবে : হুমকি হুতিদের
শেখ হাসিনার অর্থনীতির উচ্চ প্রবৃদ্ধির বিষয়টি ‘ভুয়া’: ড. মুহাম্মদ ইউনূস