দলের কোষাগারে জমা পড়া হাজার কোটির উৎস জানেন না মোদি-শাহরা!
১৪ মার্চ ২০২৩, ০২:২৬ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৪৮ পিএম
টাকার পাহাড়ে ভারতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। অথচ তার সিংহভাগ অঙ্কের উৎস নাকি অজানা নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ বা জেপি নাড্ডাদের। নির্বাচন কমিশনে এমনই অকল্পনীয় যুক্তি সাজিয়েছে কেন্দ্রের শাসকদল। অথচ টাকার পরিমাণ নেহাত কম নয়।
কমিশনে দেয়া হিসাব অনুযায়ী অজানা অর্থের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ১৬১ কোটি রুপি। বিপুল পরিমাণ এ অর্থের উৎস সম্পর্কে কমিশন জানতে চাইলে কার্যত নীরব থেকেছেন মোদি, শাহরা। কমিশনের জবাবে বলা হয়েছে ‘আননোন সোর্স।’ কেন্দের শাসকদলের এমন যুক্তিতে হতবাক কমিশনের একাংশ। সেইসঙ্গে এ অস্বাভাবিক বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে বিষয়টি নিয়ে মুখ বন্ধ রেখেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা।
সম্প্রতি, একটি বেসরকারি সংস্থার রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ কেন্দ্রের শাসক ও বিরোধী শিবিরের নেতাদের। সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী গত অর্থবর্ষে বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম, বিএসপির মতো সাতটি জাতীয় দল মোট ৩ হাজার ২৮৯ কোটি রুপি অনুদান পেয়েছে। যদিও এর সিংহভাগ অর্থই নাকি দলের কোষাগারে জমা পড়েছে অজানা উৎস থেকে। সেই অঙ্কের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৭০ কোটি রুপি।
কমিশনের কাছে রাজনৈতিক দলগুলোর তরফে যে হিসাব জমা দেয়া হয়েছে তার অধিকাংশ অনুদানই পেয়েছে গেরুয়া শিবির। এ অঙ্কের পরিমান ১ হাজার ৯১৭ কোটি রুপি। শুধুমাত্র ৯১৭ কোটির রুপির উৎস কমিশনকে জানাতে পেরেছে পদ্মপক্ষ। কিন্তু সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো বিজেপির কোষাগারে অনুদান বাবদ জমা পড়া অর্থের সিংহভাগই অজানা উৎস থেকে এসেছে বলে কমিশনকে জানিয়েছেন জেপি নাড্ডা ও বিএল সন্তোষরা।
এ বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস অজানা থাকায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। দলের একাংশের মতে চলতি বছরে এখনও ছ’টি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। বিষয়টি প্রকাশ্যে আশায় বিরোধীরা ভোটের প্রচারে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করবে। এমনিতে আদানি ইস্যুতে ল্যাজেগোবরে হতে হচ্ছে দলকে। তারপর ফের দলের কোষাগার নিয়ে মানুষের সামনে প্রশ্ন তুলে দেয়ার সুযোগ পেয়ে গেল বিরোধীরা। স্বাভাবিকভাবেই অস্তস্তি বাড়বে নেতৃত্বের। কারণ কুপন কেটে টাকা তোলার রেওয়াজ গেরুয়া শিবিরে নেই। পুরোটাই এসেছে ইলেক্টোরাল বন্ড ও স্বেচ্ছা অনুদান মারফত।
এমনিতে ইলেক্টোরাল বন্ড মারফত উৎস জানাতে বাধ্য নয় রাজনৈতিক দলগুলো। তবে যেহেতু স্টেট ব্যাংক একমাত্র ইলেক্টোরাল বন্ড বিক্রি করে তাই ইচ্ছা করলেই কমিশন ব্যাংক থেকে অর্থের উৎস জানতে পারে। কিন্তু ব্যাঙ্ক বা কমিশন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহদের বিরুদ্ধে গিয়ে কতখানি খোঁজখবর করবে তা নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক মহল। ফলে বিপুল পরিমাণ এ অর্থের উৎস অজানাই থেকে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্র: টাইমস নাউ।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কুষ্টিয়ায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ উপলক্ষ্যে সমন্বয় কমিটির সভা
কুষ্টিয়ায় বাবার উপর অভিমান করে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে- বিভাগীয় কমিশনার
লালমোহন পৌরসভার ছয় দিন ব্যাপী করমেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন পৌর প্রশাসক মো. শাহ আজিজ
ইবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ ২৭ অভিযোগ, বাধ্যতামূলক ছুটি ও ইনক্রিমেন্ট বাতিল
খুলনায় ক্লাব দখল করে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়
শিক্ষার্থীদের ভিসা দ্রুত দিতে কানাডাকে ঢাকার অনুরোধ
অবৈধ বালু উত্তোলন বিরুদ্ধে অভিযানে ৪০ মিনি ড্রেজার, টাওয়ার ও পাইপ ধ্বংস
২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বহাল রাখার নির্দেশ
ইবিতে বাস ভাঙচুর ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি
সাইবার আদালত থেকে খালাস পেলেন নূরুল করীম আকরাম ও ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন
‘টাকা থাকলে দল নেবে, না থাকলে নেবে না’
লামায় অস্ত্রসহ ১ জন পাহাড়ি সন্ত্রাসী আটক
বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার বুমরাহ
আটকেপড়া বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর দিলো মালয়েশিয়া
৩৫৬টি কেন্দ্র, কল সেন্টার এবং অনলাইনে বিকাশের নিরবচ্ছিন্ন গ্রাহক সেবা
পায়ে হেঁটে দুই ঘণ্টায় দুই লাখ ফিলিস্তিনির উত্তর গাজায় প্রবেশ
ঢাবি থেকে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলে সাদা দলের অভিনন্দন
৩ মাসে অ্যাপেক্সের মুনাফা ৩ কোটি টাকা
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সেইভ ইয়ুথের নেতৃত্বে রুম্পা-বাপ্পি