মোবাইলে জরুরি বিপদ সংকেত পাঠানো শুরু করছে ব্রিটেন
২০ মার্চ ২০২৩, ১১:৫৬ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:২৩ পিএম

ব্রিটেনে জনসাধারণকে জরুরি বিপদ সংকেত পাঠাতে সরকার আগামী মাসে একটি নতুন পদ্ধতির ওপর পরীক্ষা চালাবে। এতে প্রত্যেকের মোবাইল ডিভাইসে সাইরেন বাজার মতো সতর্কতামূলক বার্তা পাঠানো হবে। আগামী ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় ব্রিটেনজুড়ে এই পরীক্ষা চালানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বন্যা কিংবা আগুনের মতো জীবনের প্রতি হুমকির পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে সতর্ক করে এই জরুরি বার্তা পাঠানো হবে। যেসব পরিস্থিতিতে এই বার্তা পাঠানো হবে সেই তালিকায় পরে সন্ত্রাসবাদের মতো ঘটনাকেও যুক্ত করা হবে বলে কর্মকর্তারা বলছেন। তবে ডিভাইস ব্যবহারকারীদের এই সতর্কবাণী পাওয়ার জন্য তাদের ডিভাইসকে আগে প্রস্তুত করতে হবে।
পরীক্ষা চলার সময় ব্যবহারকারীদের ডিভাইসের হোম স্ক্রিনে একটি বার্তা উপস্থিত হবে, ডিভাইসটি ভাইব্রেট করবে এবং ১০ সেকেন্ড সাইরেনের মতো তীব্র শব্দ শোনা যাবে। এমনকি ফোনটি সাইলেন্টে সেট করা থাকলেও গ্রাহকরা এই বার্তা পাবেন। এই জরুরি সংকেত পাঠানোর সিস্টেমটি কার্যকর হয়েছে রোববার থেকে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান এবং নেদারল্যান্ডে একই ধরনের ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে ব্রিটেনের এই জরুরি সংকেতের মডেল তৈরি করা হয়েছে।
জরুরি বার্তাগুলি পাঠাবে শুধুমাত্র সরকার কিংবা জরুরি পরিষেবাগুলি। প্রাথমিকভাবে আবহাওয়া-সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সময় এ বার্তা পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকার মধ্যে ৯০% মোবাইল ব্যবহারকারীদের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে যাবে। এসব বার্তায় ঐ এলাকায় ঝুঁকির বিশদ বিবরণ থাকবে এবং কীভাবে এর থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে নির্দেশাবলী থাকবে। বার্তাগুলো শুধুমাত্র সেখানেই পাঠানো হবে যেখানে মানুষের জীবনের তাৎক্ষণিক ঝুঁকি থাকবে। তবে অনেকই বহু মাস বা বছর ধরেও এধরনের সতর্কতা নাও পেতে পারেন।
ব্রিটেনের কেবিনেট সচিব অলিভার ডাউডেন বিবিসিকে বলেছেন, জরুরি বার্তাগুলি মানুষকে সুনির্দিষ্টভাবে মানুষকে "টার্গেট করে" পাঠানো হবে। এবং তিনি আশা করেন এই পরীক্ষা ছাড়া অনেক লোককে হয়তো আর কখনই সতর্কবার্তা দেখতে হবে না। ব্রিটেনের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ জানাচ্ছে, এই পরিষেবাটি হবে নিরাপদ, এটা পাওয়া যাবে বিনামূল্যে এবং এজন্য কারও টেলিফোন নম্বর, পরিচয় বা অবস্থানের মতো ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করবে না।
এ জরুরি পরিষেবায় ‘সেল ব্রডকাস্টিং’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং বার্তাগুলি পাঠানো জনসাধারণের বর্তমান অবস্থানের উপর ভিত্তি করে। এর জন্য ফোনের লোকেশন সার্ভিস চালু করার প্রয়োজন হবে না। যখন একটি জরুরি সতর্ক বার্তা প্রচার করা হবে তখন একটি নির্দিষ্ট এলাকার সবগুলো সেল টাওয়ার সেটি সম্প্রচার করবে, এবং নির্বাচনী ওয়ার্ডের আকারের সমান এলাকায় বার্তাটি পৌঁছে যাবে। সূত্র: বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

লামায় বালু নিলাম কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর দরখাস্ত

রোনালদোর ছেলে পর্তুগাল অ-১৫ দলে

ইরানি নারী উদ্ভাবক পেল ডব্লিউআইপিও পুরস্কার

ভারতে প্রবেশের সময় মহেশপুর সীমান্তে ১৯ বাংলাদেশি আটক

কীভাবে অপতথ্য রোধ করা যায়

নিরাপত্তাহীনতা ও বিচারহীনতার দুষ্টচক্র থেকে জাতি মুক্তি চায়

অর্থনীতি সচলে সরকারের যথাযথ পদক্ষেপের অভাব
কবে ফিরবেন তাসকিন

পাকিস্তানে নিহত ৯

আত্মপ্রকাশ করেছে ‘জুলাই ঐক্য’ নামের নতুন জোট

যুক্তরাষ্ট্রে নিহত ৩

হার্ভার্ডে বাতিল

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে : গুতেরেস

চীনে বিশ্বের প্রথম এআই হাসপাতাল

চেনাব প্রবাহ বন্ধ রাখায় শুকাচ্ছে ভাটি অঞ্চল

'যুগান্তকারী' বাণিজ্য চুক্তি করছে ব্রিটেন ও ভারত

ফিলিস্তিনিদের তাড়াতে ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা

আর্সেনালের বিপক্ষে দেম্বেলেকে পাচ্ছে পিএসজি

পাকিস্তানের পক্ষে ৫৭ মুসলিম দেশ, চিন্তায় ঘুম নেই ভারতের