চীনা বিমান কিনে ডুবছে নেপাল এয়ারলাইন্স করপোরেশন
২৫ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম | আপডেট: ০১ মে ২০২৩, ১২:১১ এএম
সরকারি পতাকাবাহী সংস্থা নেপাল এয়ারলাইন্স করপোরেশন প্রতিষ্ঠার ৬০ বছরে এসেও দীর্ঘদিন ধরে ঋণের মধ্যে পড়ে আছে। সংস্থাটি বর্তমানে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ঋণের সম্মুখীন। বিশেষ করে চীনা বিমানের কারণে আরও ডুবছে নেপাল এয়ারলাইন্স করপোরেশন। চীন থেকে ছয়টি বিমান কিনে বিরাট লোকসানের মুখে পড়েছে সংস্থাটি।
সরকারি এয়ারলাইন্স করপোরেশনকে লাভজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রায় আট বছর আগে বিমানগুলো কেনা হয়েছিল। চীন সরকারের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে সহজ ঋণে এবং ভর্তুকি দিয়ে চারটি ওয়াই-১২ এবং দুটি এমএ-৬০ বিমান কিনেছিল নেপাল সরকার।
ছয়টি বিমানই এখন অকেজো ও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। নেপালের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে সেবা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে বিমানগুলো কেনা হয়। তার মধ্যে একটি বিমান ধ্বংস হয়ে গেছে। বাকি পাঁচটির মধ্যে দুটি ১৭ আসনের ওয়াই-১২-ই এবং তিনটি ৫৬ আসনের এমএ-৬০ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে নেপালের ভুবনেশ্বর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
এসব বিমানের জন্য ২০১২ সালের নভেম্বরে নেপালের সরকারি বিমান সংস্থা নেপাল এয়ারলাইন্স করপোরেশন চীনের সরকারি প্রতিষ্ঠান অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন অব চায়নার সঙ্গে একটি বাণিজ্যিক চুক্তি সই করে। সে সময় এগুলো কেনার জন্য নেপালকে ৪০৮ মিলিয়ন চায়নিজ ইউয়ান বা ৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন নেপালি রুপি ঋণও দেয় চীন।
চুক্তি অনুযায়ী এমএ-৬০ এবং ওয়াই-১২ বিমানগুলো ভর্তুকিতে নেওয়ার কথা ছিল এবং এমএ-৬০ এবং তিনটি ওয়াই-১২ বিমান নেওয়া হয়েছিল ঋণের অধীনে। তবে কেনার তিন বছরের মধ্যেই সেগুলো অকেজো হয়ে পড়ে। এই বিমানগুলোর কারণে করপোরেশনকে প্রতিদিন লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে।
বিমানগুলো নেপালে পৌঁছানোর কিছুদিনের মধ্যেই এনএসি কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে যে এই বিমানগুলো কেনার থেকেও বেশি ব্যয়বহুল এগুলোর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা। ফলে ২০২০ সালের জুলাইয়ে এই বিমানগুলো চালানো বন্ধ করে দেয় নেপাল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
করপোরেশনের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, এই বিমানগুলো যখন থেকে উড্ডয়ন শুরু করে তখন থেকে প্রতি বছর গড়ে ৩৮ মিলিয়ন করে নেপালি রুপি ক্ষতি হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, চার দশক ধরে অভ্যন্তরীণ পরিষেবায় থাকা টুইন আউটার ডিএইচসি ৬ মডেলের বিমানগুলোকে প্রতিস্থাপন করতে নেপাল এয়ারলাইন্স করপোরেশন চীনা এই বিমানগুলো কিনেছিল।
তবে কিছু দিন আগে বিমানগুলো বিক্রির ঘোষণা দেয় নেপাল। কারণ উড্ডয়নের অযোগ্য বিমানগুলো বিমানবন্দরে ফেলে রেখে লোকসান গোনার চেয়ে বিক্রি করে দিলে কিছুটা হলেও অর্থ উঠে আসবে। সূত্র : এএনআই।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত
দেশে সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান
ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই
বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪
পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা
মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি
জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী
মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান
বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির
একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১
কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু
সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক
‘শুধু সংস্কারে থেমে থাকলেই চলবে না, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে’ : তারেক রহমান
যে কোনো ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত: বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ
ভোলায় ঝড়ের কবলে পড়ে ১০ ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১
ছাত্ররাজনীতিতে গুণগত সংস্কার প্রয়োজন : শিবির সেক্রেটারী
মতলবে ছেলের ইটের আঘাতে মায়ের মৃত্যু : আটক ছেলে
মব জাস্টিসের প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন
গুলিবিদ্ধ ইলহামের জন্য তারেক রহমানের অনন্য উদ্যোগ