সিরিয়া যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো সউদী আরবে বাশার আল-আসাদ

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

১৯ মে ২০২৩, ০৯:০০ এএম | আপডেট: ১৯ মে ২০২৩, ০৯:০০ এএম

আরব লিগের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সউদী বন্দরনগরী জেদ্দায় পৌঁছেছেন। আজ শুক্রবার আঞ্চলিক এই সম্মেলন শুরু হচ্ছে। প্রায় এক যুগ সংগঠনটি থেকে সাসপেন্ড থাকার পর এতে ফিরে এলো সিরিয়া।
আরব বসন্তের প্রেক্ষাপটে বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন অভিযান পরিচালনা করায় আরব লিগ আল-আসাদ এবং তার সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তবে বর্তমানে বেশির ভাগ আরব দেশ সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় রাজি হওয়ার প্রেক্ষাপটে আসাদ আরব লিগের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সউদী আরব গেলেন।

সউদী আরব সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় আল-আসাদকে উৎখাত করতে সশস্ত্র বিরোধীদের সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু এখন রিয়াদ সংলাপের মাধ্যমে সঙ্ঘাতের অবসানের আহ্বান জানাচ্ছে। রাশিয়া ও ইরানের সহায়তায় আল-আসাদের সৈন্যরা সিরিয়ার বেশির ভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। ফলে ক্ষমতার ভারসাম্য এখন তাদের হাতে।

আল-আসাদের বাবা হাফিস আল-আসাদের মৃত্যুর পর ২০০০ সালে বাশার আল-আসাদ ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকেই সিরিয়া ও সউদী আরবের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। তারপর ২০১২ সালে সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে সউদী আরব। তবে গত সপ্তাহে দুই দেশ তাদের দূতাবাস আবার খুলতে সম্মত হয়।

সউদী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এই অঞ্চলে শান্তির প্রতি জোর দিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে চীনের মধ্যস্ততায় ইরানের সাথে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে সউদী আরব। তাছাড়া ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ অবসানেও উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সূত্র : আল জাজিরা


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

পাকিস্তানে সামরিক আদালতে ২৫ বেসামরিক ব্যক্তির সাজায় উদ্বিগ্ন ইইউ
মার্কিন বিমানবাহী রণতরী হামলা হুথিদের, যুদ্ধবিমান ভূপাতিত
বাসার আল-আসাদ ও আসমা’র ডিভোর্সের সংবাদ প্রত্যাখ্যান রাশিয়ার
সাধারণ ক্ষমার বিনিময়ে দোষ স্বীকার করছেন আসাদের সৈন্যরা
অস্তিত্ব সংকটে ট্রাম্প টাওয়ারসহ ৩৫ বিলাসবহুল ভবন
আরও

আরও পড়ুন

বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশনে আছেন যারা

বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশনে আছেন যারা

‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন’-এ বারের অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রস্তাব

‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন’-এ বারের অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রস্তাব

সোনারগাঁওয়ে বাস-অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০

সোনারগাঁওয়ে বাস-অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০

মামলা রেকর্ড করতে ঘুষ গ্রহণ, কুষ্টিয়ায় ওসি ও এসআই ক্লোজ

মামলা রেকর্ড করতে ঘুষ গ্রহণ, কুষ্টিয়ায় ওসি ও এসআই ক্লোজ

কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জামায়াতের ২ কর্মী বহিষ্কার

কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জামায়াতের ২ কর্মী বহিষ্কার

পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের গত ১৭ বছরের নির্যাতন ভুলে যাবার সুযোগ নেই: আমিনুল হক

পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের গত ১৭ বছরের নির্যাতন ভুলে যাবার সুযোগ নেই: আমিনুল হক

পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চে প্রাক বড়দিন উৎসব অনুষ্ঠিত

পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চে প্রাক বড়দিন উৎসব অনুষ্ঠিত

পূর্বধলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে ইসলামী যুব আন্দোলনের কম্বল বিতরণ

পূর্বধলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে ইসলামী যুব আন্দোলনের কম্বল বিতরণ

ধর্ম-বর্ণ নয়, সমান মর্যাদায় হোক নাগরিক পরিচয়: জোনায়েদ সাকি

ধর্ম-বর্ণ নয়, সমান মর্যাদায় হোক নাগরিক পরিচয়: জোনায়েদ সাকি

এসবিএসি ব্যাংকের শরিয়াহ্ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

এসবিএসি ব্যাংকের শরিয়াহ্ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

আ.লীগের হাতেও নির্যাতিত হয়েছিলেন সেই মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু তুলে ধরেনি গণমাধ্যম!

আ.লীগের হাতেও নির্যাতিত হয়েছিলেন সেই মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু তুলে ধরেনি গণমাধ্যম!

ভারত বাংলাদেশ থেকে বস্তা বস্তা টাকা লুট করেছে : দুদু

ভারত বাংলাদেশ থেকে বস্তা বস্তা টাকা লুট করেছে : দুদু

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে সিটিজেন’স চার্টার অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে সিটিজেন’স চার্টার অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

মতিঝিলে বিশ্বমানের ডায়াগনস্টিক সেবা প্রদান শুরু আইসিডিডিআর,বি’র

মতিঝিলে বিশ্বমানের ডায়াগনস্টিক সেবা প্রদান শুরু আইসিডিডিআর,বি’র

স্বামীর অগোচরে স্ত্রী অন্য কারও সাথে কথা বলা প্রসঙ্গে?

স্বামীর অগোচরে স্ত্রী অন্য কারও সাথে কথা বলা প্রসঙ্গে?

চাঁদপুর মেঘনায় মালবাহী জাহাজে ৭ জনকে কুপিয়ে হত্যা, গুরুতর আহত ১

চাঁদপুর মেঘনায় মালবাহী জাহাজে ৭ জনকে কুপিয়ে হত্যা, গুরুতর আহত ১

পতিত স্বৈরাচার হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি

পতিত স্বৈরাচার হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি

যাকাত বোর্ডের ১১ কোটি টাকা বিতরণের প্রস্তাব অনুমোদিত

যাকাত বোর্ডের ১১ কোটি টাকা বিতরণের প্রস্তাব অনুমোদিত

১৬ বছরে নির্বাচন ব্যবস্থা নির্বাসনে চলে গিয়েছিল : সংস্কার কমিশন প্রধান

১৬ বছরে নির্বাচন ব্যবস্থা নির্বাসনে চলে গিয়েছিল : সংস্কার কমিশন প্রধান

জিনিসের দাম একবার বাড়লে কমানো কঠিন: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

জিনিসের দাম একবার বাড়লে কমানো কঠিন: পরিকল্পনা উপদেষ্টা