ইউনেস্কো স্বীকৃতির দাবি রাখে ইরানের গোলাপজল উৎসব
৩১ মে ২০২৩, ০৯:৪১ পিএম | আপডেট: ০১ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
বিশ্বের গোলাপজল উৎপাদনের জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত ইরান। আর এই উৎপাদন প্রক্রিয়া জাঁকজমকপূর্ণভাবে উৎসবের মতো পালিত হয় দেশটিতে। তাই অনন্য এই সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি ইউনেস্কোর বিশ্বের অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় থাকার জন্য যথেষ্ট দাবি রাখে।
গোলাপজল উৎসব ফার্সি ভাষায় ‘গোলাব-গিরি’ নামে পরিচিত। প্রাচীন অনুষ্ঠানটি প্রতি বছর ইরানে পালিত হয়। রন্ধনপ্রণালী, প্রসাধনী, ওষুধ এবং বিভিন্ন ঐতিহ্যে গোলাপের নানাবিধ ভূমিকা তুলে ধরার জন্য উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়।
মূল্যবান উৎসবটি প্রতি বছর বসন্তে অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুনের শেষ পর্যন্ত এই উৎসব চলে।
গোলাপজল ঐতিহ্যগতভাবে দামেস্ক গোলাপ থেকে উৎপাদিত হয়। খুব মিষ্টি-গন্ধযুক্ত ফুলটিকে স্থানীয়ভাবে ইরানি সংস্কৃতিতে গোল-ই মোহাম্মদী বা গোল-ই সোরখ বলা হয়।
ইরানে বসন্তকালে দেশের প্রতিটি কোণায় গোলাপ ফুল ফোটে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানকে বিশ্বে দামাস্ক গোলাপের শীর্ষস্থানীয় উৎপাদক দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বৈশ্বিক উৎপাদনে দেশটির অবদান ৭০ শতাংশ।
মোহাম্মদী গোলাপ প্রধানত ফার্স, কেরমান ও ইসফাহান প্রদেশে জন্মায়। এছাড়া পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশের কিছু অংশ যেমন খয় এবং উর্মিয়ায় উৎপাদন হয়। তবে কাশান এবং কামসার ইরানের গোলাপজলের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র।
এক নজরে ঐতিহ্যগত পাতন প্রক্রিয়া: গোলাপজল তৈরির প্রাচীন পদ্ধতি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়েছে। তবে এটি তার মৌলিকত্ব ধরে রেখেছে। ফুল বাছাইকারীরা ভোরে সূর্যোদয়ের আগে কাজ শুরু করে এবং দুপুরের আগে তাদের কাজ শেষ করতে হয়। পুরানো কৃষকদের পৌরাণিক কাহিনীর উপর ভিত্তি করে জানা যায়, সূর্যোদয়ের আগে বাছাই করা ফুলগুলি আরও সমৃদ্ধ এবং শক্তিশালী গন্ধ ছড়াবে।
পাপড়িগুলোকে তামার পাত্রে রেখে সিদ্ধ করা হয়। প্রতিটি পাত্র ৮০ লিটার পানি এবং প্রায় ৩০ কিলোগ্রাম গোলাপের পাপড়ি দিয়ে ভরা হয় এবং এটি ধাতব পাইপের সাথে সংযুক্ত থাকে যাতে বাষ্প হাইড্রোসল তৈরি করতে পারে।
এরপর তোলা পানি বিশেষ বোতলে রাখা হয়। পাতন যত দীর্ঘ হবে, ঘরে তৈরি গোলাপজলের গুণমান তত ভালো হবে।
গোলাপজল এবং গোলাপ তেলের থেরাপিউটিক সুবিধা আছে বলে মনে করা হয়। কেউ কেউ দাবি করেন, গোলাপের তেল মনকে প্রশান্তি দেয় এবং উদ্বেগ, চাপ এবং বিষণ্নতা কমায়। পণ্যটি ত্বকের স্বাস্থ্য বাড়াতে সাহায্য করে বলে জানা গেছে।
প্রতিটি ইরানি পরিবারের রান্নাঘরে টনিক লিকুইডের বোতল পাওয়া যায়। কারণ এটি এশিয়ান দেশের রন্ধনপ্রণালীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও গোলাপজল সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মক্কায় অবস্থিত মুসলমানদের কিবলা কাবা পরিষ্কার করতে জমজম কূপের পানির সাথে গোলাপজল মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও সুগন্ধি তরলটি পারফিউম এবং স্প্রে তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়।
সূত্র: মেহর নিউজ
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সচিবালয়ে অস্থায়ী প্রবেশ পাসের জন্য বিশেষ সেল গঠন
বিএনপির দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হলে কাউকে ছাড় নয়: শাহ সুলতান খোকন
দেশে এলো ভিভোর নতুন ফ্ল্যাগশিপ এক্স২০০
পাবনার আমিনপুরে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে আগুন, শঙ্কিত পরিবার
টোল প্লাজায় দুর্ঘটনা: বাসের ব্রেকে সমস্যা ছিল, চালক নেশা করতেন
দেশের বিরাজমান সংকট উত্তরণে জাতির আস্থা তারেক রহমান : মীর হেলাল
বিরক্তিকর সময়কে গুডবাই বলুন! এন্টি ডোট হিসেবে সেরা অ্যাপ (পর্ব-১)
পিরোজপুর প্রেসক্লাব নির্বাচন শামীম সভাপতি ও তানভীর সম্পাদক
৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামোর বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে: আমিনুল হক
আখাউড়ায় বাসের ধাক্কায় অটোচালক নিহত
২০২৬ সালের এসএসসির সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও মানবণ্টন প্রকাশ
ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ১৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন
বিপিএলে অনিশ্চিত মাশরাফি
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাই বিপিএল তারকা: আফ্রিদি
মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়
হেলিকপ্টার বিলাস নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও উপদেষ্টা আসিফের কৈফিয়ত
উত্তরার তুরাগে নোহা গাড়ির ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
ট্রাম্প-মাস্কের বন্ধুত্বে চিড়! অভিবাসন নীতি নিয়ে দ্বন্দ্ব তুঙ্গে
নুরানী বোর্ডের ফলাফল প্রকাশ পাসের হার ৮৫.২৫ শতাংশ
ভারতে বড়দিন উদযাপন করায় ২ নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে যৌন নিপীড়ন-মারধর