আমেরিকা-চীন দ্বন্দ্বে তাইওয়ান মূখ্য কেন?
১৯ জুন ২০২৩, ০৬:০২ পিএম | আপডেট: ১৯ জুন ২০২৩, ০৬:১৯ পিএম
ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের মূলে রয়েছে তাইওয়ান ইস্যু। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং রোববার বলেন, এই দ্বীপটি চীনের 'মূল স্বার্থ সংশ্লিষ্ট' এবং মার্কিন-চীন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি 'অতি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু'।
চীন গণতান্ত্রিক স্বায়ত্ব-শাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ মনে করে এবং এর নিয়ন্ত্রণ নিতে শক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেয় না। আর এখন যেখানে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে সমর্থন দিচ্ছে, তখন চীন একে তাদের দীর্ঘদিনের 'এক চীন নীতি'র বিরোধী হিসেবে দেখছে। এই নীতিটি হচ্ছে চীনের অবস্থানকে কূটনীতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া যে, চীনের সরকার শুধুমাত্র একটি-আর সেটি বেইজিংয়ে অবস্থিত। এ নীতির আওতায়, চীন তাইওয়ান ইস্যুতে অন্য দেশ বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ বা সম্পর্ক রাখা একেবারেই সমর্থন করে না।
চীন আরো চায় আমেরিকা তাইওয়ানের পরিবর্তে সরাসরি বেইজিংয়ের সাথে আনুষ্ঠানিক কূটনীতিক সম্পর্ক বজায় রাখে, এবং তাইওয়ানকে চীনের একটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া প্রদেশ হিসেবে দেখে - যা একদিন চীনের সাথে একীভূত হবে বলে চীন বিশ্বাস করে। এদিকে, মার্কিন নীতি বেইজিংয়ের ওই অবস্থানকে সমর্থন করে না এবং এর আওতায় ওয়াশিংটন তাইওয়ানের সাথে একটি 'শক্তিশালী অনানুষ্ঠানিক' সম্পর্ক বজার রাখে। এর মধ্যে রয়েছে দ্বীপটির কাছে অস্ত্র বিক্রি যাতে তারা নিজের প্রতিরক্ষায় সেসব ব্যবহার করতে পারে। তাইওয়ান যুক্তরাষ্ট্রের কথিত 'প্রথম দ্বীপ শৃঙ্খল' বা 'ফার্স্ট আইল্যান্ড চেইন' এর তালিকাভূক্ত দেশ, যাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বিবিসির চীন সংবাদদাতা স্টিফেন ম্যাকডোনেল বলেন, দুই দেশের সরকারের মধ্যে বৈঠকগুলো সাধারণত অনেক বেশি আনুষ্ঠানিক, দ্বাররুদ্ধ এবং একঘেয়ে হয়ে থাকে- কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় অ্যাঙ্কোরেজ শহরে যে বৈঠকটি হয়েছিল সেটি একটি ভিন্ন ছিল। বাইডেনের শাসনামলে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে প্রথম এ ধরণের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে, শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক কথাবার্তা হয়েছে।
আলাস্কায় ওই বৈঠকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির উপস্থিতিও অবশ্য ছিল: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান, চীনের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা ও পলিটব্যুরো সদস্য ইয়াং জিয়েচি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। সেখানে “আমাদের দুই মহান জাতি এক সাথে কাজ করছে” এরকম কোন কথাবার্তা ছিল না। বরং শুরুতেই সাইবার হামলা, অর্থনৈতিক দ্বন্দ্ব, হংকংয়ের অভিযান এবং শি জিন পিংয়ের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের মতো অভিযোগ এসেছে। ইয়াং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে যে, তারা ‘আমেরিকা সামরিক শক্তি ও অর্থনৈতিক আধিপত্য ব্যবহার করে দীর্ঘ দিন ধরে এখতিয়ার চালিয়েছে এবং অন্য দেশগুলোকে দম করেছে।’ সূত্র: বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কেরানীগঞ্জে অপহরণকারী চক্রের ৬ সদস্য র্যাবের হাতে গ্রেফতার
শিবালয়ে খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে গৃহকর্তার সর্বস্থ লুটে নেয়া চক্রের এক সদস্য আটক
ইমরানের খানের বিচার পর্যবেক্ষণ করবে আন্তর্জাতিক সংসদীয় সংস্থা
কুড়িগ্রামে যুবদল নেতার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ
নাঙ্গলকোটে দুর্ঘটনায় পৌর স্বাস্থ্য সহকারীর মৃত্যু
ইউক্রেনে সংঘাতের দ্রুত অবসান চান ট্রাম্প
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসন
নোয়াখালীতে বাসচাপায় শ্রমিকের মৃত্যু,আহত ২
মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে নওগাঁ
নির্বাচনের রোড ম্যাপ দেন অতিসত্বর : আবুল কালাম আজাদ
উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ করা হল ‘হট ডগ’
সিংগাইরে ১ সপ্তাহে আত্মহত্যা-৬
মির্জাপুরের অবৈধ সেই ৭ ইটভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে
সীমান্তে সাহসী বাংলাদেশিরা, অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে পুরো দেশকে
দাবানলে পুড়ছে প্যারিস হিলটন, অ্যান্টনি হপকিন্সের কোটি টাকার বাড়ি
‘অতিথি দেবতার মতো’, এই নীতিতে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ালো ভারত
ভূরুঙ্গামারী মহিলা কলেজের গভর্ণিং বডির সদস্য নির্বাচনে মনোনয়ন পত্রের মূল্য ১০ হাজার টাকা
গোয়ালন্দে পাখিদের নিরাপদ আবাসনে গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি বসাচ্ছেন একদল যুবক
নভোএয়ার এর ১২ বছরের সাফল্য উদযাপন
ফরিদপুরে বিল্ডিংয়ের দরজার পাশে পড়েছিল কেয়ারটেকারের হাত-পা বাঁধা মরদেহ