উচ্চ সুপারসনিক গতির ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পথে ইরান

অনলাইন ডেস্ক

১০ আগস্ট ২০২৩, ০৯:০৮ এএম | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২৩, ০৯:০৮ এএম

অত্যাধুনিক ক্রুজ মিসাইলের ডিজাইন এবং উৎপাদন করার প্রযুক্তি অর্জন করেছে ইরান। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামরিক বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তিবিদরা এ ক্ষেত্রে বেশ অগ্রগতি দেখিয়েছে বলে নিউজ নেটওয়ার্ক তাসনিম জানিয়েছে।

এতে জানানো হয়, অভ্যন্তরীণভাবে ডিজাইন করা ওই মিসাইলটি উচ্চ সুপারসনিক গতিতে ভ্রমণ করতে সক্ষম।

বার্তা সংস্থাটি গতকাল (বুধবার) জানিয়েছে, স্থানীয়ভাবে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রটি ইরানের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের একটি নতুন প্রজন্ম।

বর্তমানে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। নয়া প্রজন্মের ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ইরানের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে বলে জানানো হয়েছে। কারণ সুপারসনিক গতিতে উড়ে যাওয়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে আটকানো অত্যন্ত কঠিন।

এখন পর্যন্ত ইরানী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উৎক্ষেপণের জন্য একটি রকেট-সহায়ক টেকঅফ বা রাটো ইঞ্জিনের ওপর নির্ভরশীল ছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য 'তুলু' বা সানরাইজ নামে একটি টার্বোজেট ইঞ্জিন ডিজাইন করা হয়েছে বলে নিউজ নেটওয়ার্ক তাসনিমের প্রতিবেদনে বলা হয়।

ইরানের সামরিক বিশেষজ্ঞ এবং প্রকৌশলীরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিজস্ব সামরিক সরঞ্জাম তৈরিতে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে। তাদের এইসব অর্জন সশস্ত্র বাহিনীকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলেছে।

শব্দের গতির পাঁচ গুণের বেশি গতিতে চলমান প্রজেক্টাইলগুলোকে হাইপারসনিক হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। জুন মাসে ইরান তার প্রথম হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে - যা বায়ুমণ্ডলের ভেতরে এবং বাইরে কৌশলে চালতে সক্ষম। -এটি রাডার এড়াতে এবং যে কোনও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লঙ্ঘন করতেও সক্ষম।

আঞ্চলিক জলসীমায় সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনাকালে সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে বুধবারের ঘোষণা দিল ইরান।
সূত্র : নিউজ নেটওয়ার্ক তাসনিম

বিভাগ : আন্তর্জাতিক