এবার বদলে যাচ্ছে ভারতের বিতর্কিত রাষ্ট্রদ্রোহ আইন!
১১ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৩১ পিএম | আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৩৩ পিএম
বদলে যাচ্ছে ভারতের বিতর্কিত রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বা ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(ক) ধারা। পরিবর্তে বেশকিছু সংযোজন করা হবে ১৫০ ধারায়। এর আওতায় দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা তথা একতাকে বিপন্ন করে তোলার অপরাধে মামলা রুজু করা যাবে। শুক্রবার এই মর্মে লোকসভায় একটি বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ভারতীয় সংবিধানের ১২৪(ক) ধারায় ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা’ বা ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ বলতে এমন অপরাধ বোঝায়, যেখানে কেউ কথা, লেখা, বা আচরণের মাধ্যমে ঘৃণা ছড়ালে, আইন অমান্য করলে বা হিংসায় উস্কানি দিলে বা করার চেষ্টা করলে, যা রাষ্ট্র বা আইন মেনে প্রতিষ্ঠিত সরকারের বিরুদ্ধে যেতে পারে। তা হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা যায়। সাম্প্রতিক অতীতে ব্রিটিশ জমানার এই আইন ঘিরে কিছু কম বিতর্ক হয়নি।
এ আইন প্রবর্তনের উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সভা-সমাবেশ দমন করা, বিপ্লবীদের কার্যধারা কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে স্বাধীনতা আন্দোলনের গতিকে শ্লথ করে দেয়া। কিন্তু ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা’র অভিযোগ এনে বিরোধী স্বর দমনের অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। বিতর্কিত আইনটির সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে ২০২২ সালে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। এসন পরিস্তিতিতে শুক্রবার বাদল অধিবেশনের শেষদিনে ১২৪(ক) ধারায় পরিবর্তন আনতে সংসদের নিম্নকক্ষে বিল পেশ করেন শাহ। সেটিকে পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানো হবে বলে খবর।
সূত্রের খবর, নতুন বিলে ১২৪(ক) ধারার পরিবর্ত হিসেবে ব্যবহৃত হবে সংযোজন, সহকারে ১৫০ ধারা। সেখানে বলা হয়েছে, ‘কেউ কথা, লেখা, বা আচরণের মাধ্যমে ঘৃণা ছড়ালে, আইন অমান্য করলে বা হিংসায় উস্কানি দিলে বা করার চেষ্টা করলে, যা রাষ্ট্র বা আইন মেনে প্রতিষ্ঠিত সরকারের বিরুদ্ধে যেতে পারে। কেউ বিচ্ছিন্নতাবাদ, সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা তথা একতাকে বিপন্ন করে তুললে যাবজ্জীবন জেল এবং জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে।’
বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই বিল হচ্ছে ‘গুয়ান্তানামো বে’ তৈরির প্রথম ধাপ। তর্কের খাতিরে ঔপনিবেশিক ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা’ আইন সরলেও তার জায়গায় যে ধারা আসছে তার প্রয়োগ অত্যন্ত ভয়াবহ হতে পারে। কোনও বিচার বা নাগরিক অধিকার ছাড়াই অভিযুক্তকে গারদে পোড়া যেতে পারে। জঙ্গি বা জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে যে কোনও অভিযুক্তেরই ন্যূনতম সাংবিধানিক অধিকারটুকু কেড়ে নিতে পারবে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। উল্লেখ্য, সন্ত্রাসদমনের নামে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমার্থক কিউবায় আমেরিকার গুয়ান্তানামো বে কারাগার। জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে সেখানে নির্বিচারে সিআইএ-র থার্ড ডিগ্রির মুখে পড়েছে বহু নিরীহ মানুষ বলে অভিযোগ। এনিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে কম সমালোচনা হয়নি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সুরেক্স’র কমিটি পরিচিতি ও বার্ষিক বনভোজন ৭ ফেব্রুয়ারি
বকেয়া বেতনের দাবিতে নবীনগর- চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ
বিএনপি চাঁদাবাজের দল নয়: দিপু হায়দার
তারকা হওয়ার সব গুনাবলী আছে নাহিদ রানার মধ্যে: আর্থার
গুমের তদন্ত করে বিচারের প্রতিশ্রুতি: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করল হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
বাংলাদেশের একটি আইসিসি ট্রফি দরকার: আর্থার
নেপালি মেয়েকে ব্ল্যাকমেইল, যুবককে গ্রেফতার করলো সিআইডি
ওমরাহ পালন করতে গিয়ে মতলবের বৃদ্ধের মৃত্যু
বৈষম্যহীন দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ কায়েম না হওয়া পর্যন্ত থামবো না: ডা. শফিকুর রহমান
ফজর ও আসরের নামাজের পর জানাযার নামাজ পড়া প্রসঙ্গে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে দু-একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত
মেহেরপুরে উদীচীর দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন পণ্ড
ডিমলায় ‘স্বপ্ন পূরণের প্রত্যয়ে আমরা, সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ’র ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
কুয়েটে ‘ওবিই কারিকুলাম ডিজাইন টিচিং লার্নিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ
দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি নির্বাচন দিয়ে দেশটাকে স্থিতিশীলতায় নিয়ে আসুন : এ্যানি
ভোট ডাকাতি করে ওবায়দুল কাদের চারবার এমপি হয়েছিল: ফখরুল ইসলাম
কুড়িগ্রামের উলিপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু
মতলবে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
চবি ছাত্রদলের প্রীতিভোজে হামলার অভিযোগে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
ব্রাহ্মণপাড়ায় এইচএমপিভি সচেতনতায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রচারণা