১৪ বছরে ভারতে কার্বন নিঃসরণ কমেছে ৩৩ শতাংশ : ইউএনএফসিসিসি

অনলাইন ডেস্ক

১১ আগস্ট ২০২৩, ০৫:০৬ পিএম | আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২৩, ০৫:০৬ পিএম

আশার চেয়ে অনেক দ্রুত হারে ভারতে কার্বন নিঃসরণ কমেছে। গত ১৪ বছরে দেশটিতে ৩৩ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ কমেছে। পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধি এবং বনভূমি বৃদ্ধির ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। জাতিসংঘে জমা দিতে কার্বণ নিঃসরণ নিয়ে তৈরি করা প্রতিবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তা এমনটাই জানিয়েছেন। খবর এনডিটিভির।

জাতিসংঘের কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জে (ইউএনএফসিসিসি) জমা দিতে ওই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সংস্থাটির প্রতি করা প্রতিশ্রুতির পথে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। দেশটি ২০০৫ সালের কার্বণ নিঃসরণ স্তর থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশ কমানোর প্রতিশ্রতি দিয়েছিল।

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে ২০০৫ সাল থেকে ২০১৯ সালে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ কমেছে ৩৩ শতাংশ। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছিল ৩ শতাংশ। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালে এই পরিমাণ ছিল ১.৫ শতাংশ। এর আগে এত দ্রুত কার্বন নিঃসরণ এভাবে নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কার্বন নির্গমন কমার নেপথ্যে রয়েছে সরকারি নীতি। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার না কমলেও সরকার পুনর্ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ভারত অর্থনৈতিক উন্নয়নের থেকে কার্বন নিঃসরণের বিষয়টি আলাদা করে দেখিয়ে দিয়েছে। উন্নত দেশ মানেই প্রচুর কার্বন নিঃসরণ হবে, এমনটা নয়, বুঝিয়ে দিয়েছে ভারত। আর এই কার্বন নিঃসরণ কমার অন্যতম কারণ বনভূমির প্রসার।

২০১৯ সালে ভারতের ২৪.৫৬ শতাংশ এলাকা বনভূমিতে ঢাকা ছিল। অর্থাৎ ভারতের প্রায় ৮.০৭৩ কোটি হেক্টর জমি সবুজে ঢাকা। তা ছাড়া গ্রিন হাইড্রোজেনের উপরও জোর দিয়েছে সরকার। জলের অণু বিয়োজন করে এই শক্তি উৎপাদন করা হচ্ছে। সে সব কারণেও কমেছে কার্বন নিঃসরণ।

এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই রিপোর্ট ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এখনো অনুমোদন দেয়নি। আর কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রীও এই প্রতিবেদনের ব্যাপারে রয়টার্সের প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি।
গত মাসে জি ২০-র অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি বৈঠকে বসেছিল। তবে সেই বৈঠকে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার এবং কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে তারা একমত হতে পারেনি।

বিভাগ : আন্তর্জাতিক