ঢাকা   শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, অবশেষে আত্মসমর্পণ বিলকিসের ধর্ষকদের

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৭ পিএম | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৭ পিএম

আত্মসমর্পণ করল বিলকিস বানোর ধর্ষকরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই ভারতের গোধরা জেলে আত্মসমর্পণ করেন ১১ জন। রবিবার রাতের দিকেই ১১ জন জেলে পৌঁছে যান। এদিন রাত বারোটার মধ্যে ধর্ষকদের আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। রবিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ জেলে ফিরে আসে ধর্ষকরা।

আত্মসমর্পণের জন্য বাড়তি সময় চেয়ে বিভিন্ন অজুহাত নিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে আর্জি দায়ের করেছিল বিলকিসের তিন ধর্ষক। তিন অভিযুক্ত গোবিন্দভাই, রমেশ চন্দনা এবং মিতেশ ভাট আত্মসমর্পণের জন্য বাড়তি সময় চায়। প্রথম জনের অজুহাত ছিল, তার মা-বাবা অসুস্থ। দেখাশোনা করার লোক নেই। তাই বাড়তি ৪-৬ সপ্তাহ সময় চায়। দ্বিতীয় জনের অজুহাত ছিল, তার ছেলের বিয়ে। আয়োজনের জন্য ৬ সপ্তাহ বাড়তি সময় লাগবে। তৃতীয়জনের অজুহাত ছিল, চাষের ফসল কাটতে বাড়তি ৬ সপ্তাহ সময় লাগবে।

 

 

কিন্তু সেই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়েছে, এই আবেদনগুলির মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা নেই। যে সব কারণ দেখিয়ে আত্মসমর্পণ পিছোনোর চেষ্টা করা হয়েছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। শুধু এই কারণে কারও জেলযাত্রা আটকানো যায় না। এই নির্দেশে পরেই স্পষ্ট হয়ে যায়, রবিবারের মধ্যেই আত্মসমর্পণ করতে হবে বিলকিস মামলার ১১ জন ধর্ষককে। সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনেই রবিবার রাত সাড়ে এগারোটায় গোধরা জেলে ফিরেছে তারা।

২০০২ সালে গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় একাধিক খুন এবং গণধর্ষণের অভিযোগে ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত হয়। তার পর তাদের যাবজ্জীবন জেলসাজাও হয়েছিল। কিন্তু জেলে ভাল আচরণের কথা বলে ১১ দোষীকে ২০২৩ সালে স্বাধীনতা দিবসের সময় মুক্তি দিয়েছিল গুজরাট সরকার। যা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। কিন্তু গুজরাট সরকারের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার রায় এ বছর ৮ জানুয়ারি দেয় ভারতের শীর্ষ আদালত।

 

 

সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এক্তিয়ার বহির্ভূত ভাবে বিলকিস বানো মামলার ১১ জন ধর্ষককে মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার এক্তিয়ার নেই সরকারের। সেই সঙ্গে ২১ জানুয়ারির মধ্যে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় দুই বিচারপতির বেঞ্চ। এ নির্দেশ আসার দিন কয়েক পর বানো মামলার দোষীরা ধাপে ধাপে আবেদন করে দেশের শীর্ষ আদালতে। কেউ অসুস্থ, কারণ পরিবারের সমস্যা- বিভিন্ন কারণ তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। সেই সমস্ত আবেদনের মিলিতভাবে শুনানি হয়েছে আদালতে। তা খারিজ হওয়ায় জেলযাত্রা নিশ্চিত হল বিলকিস বানোর নির্যাতনকারীদের।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস
শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে
পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া
ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব
ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল
আরও

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

বাংলাদেশের বিপক্ষে যে একাদশ দিয়ে মাঠে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার

কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার

প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ

প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ

বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত

বেইজিং সংস্কৃতি ও পর্যটন ব্যুরো ও আটাবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত

উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

উইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস

গাজায় যুদ্ধবিরতি ছাড়া বন্দী বিনিময় হবে না : হামাস

শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে

শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করতে চায় জাতিসংঘ হাইতিতে

চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক

চকরিয়ার বিএনপি নেতা আবু তাহের চৌধুরীর মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাসিনা আহমদের শোক

পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া

পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবেন না : সার্বিয়া

ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব

ক্লাইমেট অর্থায়ন ইস্যুতে দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব

লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

লালমোহনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল

ট্রাম্পের অ্যাটর্নির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন আটকে গেল

‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’

‘ফিলিস্তিনের পর ইরান, সউদী ও তুরস্ক হবে পরবর্তী টার্গেট’

প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের

প্রতি বছর ৩ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীকে বৈধতা দানের ঘোষণা স্পেনের

প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া

প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ জাপান-কোরিয়া

মুসলিম চিকিৎসক

মুসলিম চিকিৎসক

শীর্ষে দিল্লি

শীর্ষে দিল্লি

সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা

সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সংবর্ধনা

ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা

ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বোর্ড অব গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানীকে জমিয়াতুল মোদার্রেসীন ও দারুননাজাত মাদরাসা’র সম্বর্ধনা

বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান

বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান