যৌবন ধরে রাখতে প্রতি বছর ‘খুন’ হচ্ছে ৬০ লাখ গাধা!

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০১ এএম | আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০১ এএম

গাধার গুরুত্ব কী? আপাত নিরীহ এই প্রাণী কিন্তু জীবজগতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল হোক বা প্রত্যন্ত এলাকা, মালপত্র পরিবহনের জন্য বহু যুগ ধরেই ব্যবহার করা হয় গাধা। এছাড়াও চাষের কাজে হোক বা পশুপালন-সর্বত্রই গাধাকে ব্যবহার করা হয়। গাধার দুধও অত্যন্ত দামি, এতে নানা উপকারি উপাদান রয়েছে। তবে বিশ্বে ধীরে ধীরে কমছে গাধার সংখ্যা। এর কারণ মানুষই। নিজেদের যৌবন ধরে রাখতেই প্রতি বছর প্রায় ৬০ লাখ গাধা হত্যা করা হচ্ছে।

 

সম্প্রতিই গাধাদের অভয়ারণ্যের তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, প্রতি বছর কমপক্ষে ৫.৯ মিলিয়ন বা ৫৯ লাখ গাধাকে হত্যা করা হচ্ছে। কেন জানেন? মানুষদের রূপচর্চার জন্য। ত্বক টানটান রাখতেই গাধার চামড়া নিয়ে বাণিজ্য করা হচ্ছে। ‘এজিয়াও’ হল এক প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যা মূলত চীনে অনুসরণ করা হত। বর্তমানে তা গোটা বিশ্বেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই পদ্ধতিতে গাধার চামড়া থেকে বের করা হয় কোলাজন, যা ত্বক টানটান রাখতে ও মুখে বয়সের ছাপ রুখতে কার্যকর। এই কোলাজন বের করতেই নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে গাধা।

 

২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে এজিয়াও-র বার্ষিক উৎপাদন ৩২০০ টন থেকে ৫৬০০ টনে বেড়েছে। অর্থাৎ তিন বছরেই ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এজিয়াও-র উৎপাদন। আর এজিয়াও-র উৎপাদন বাড়াতে গাধা হত্যার হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে গাধার মৃত্যু বছরে ৬৭ লক্ষ পার করবে। চীনে গাধার সংখ্যা এমনিতেই তলানিতে ঠেকেছে। বর্তমানে অন্য়ান্য দেশগুলি থেকে গাধার চামড়া আমদানি করা হচ্ছে চীনে। মূলত আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকেই গাধার চামড়া আমদানি করা হচ্ছে।

 

যদি এই হারেই গাধার হত্যা চলতে থাকে, তবে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে বিশ্ব থেকে গাধা উধাও হয়ে যাবে। এই বিরূপ পরিস্থিতি রুখতেই বিভিন্ন দেশের সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। গাধার হত্যা ঠেকাতে কড়া আইন আনা হচ্ছে। ব্রাজিলেও চলতি বছরেই ন্যাশনাল কংগ্রেসে গাধার হত্যা ঠেকাতে প্রস্তাবনা আনা হবে।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

ভারতের 'উস্কানি' সত্ত্বেও শান্তি চুক্তি অক্ষুণ্ণ রাখবে পাকিস্তান
ভারত-পাকিস্তান সরাসরি আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানি এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করল ভারত
মারা গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে ‘গরিব প্রেসিডেন্ট’ হোসে মুজিকা
‘মুসলিমদের সঙ্গে শত্রুতা বন্ধ করুন’— ভারতের প্রতি ওমানের গ্র্যান্ড মুফতির আহ্বান
আরও
X
  

আরও পড়ুন

রাজশাহীতে আমবাগান থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

রাজশাহীতে আমবাগান থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

মতলবের ঘিলাতলী কামিল মাদরাসার ২০২৩ সালের ফাজিল (স্নাতক) পরীক্ষায় শতভাগ পাশ

মতলবের ঘিলাতলী কামিল মাদরাসার ২০২৩ সালের ফাজিল (স্নাতক) পরীক্ষায় শতভাগ পাশ

জনগণ নির্বাচন চায় তাদের ভাষা বুঝুন সরকারকে: ফারুক

জনগণ নির্বাচন চায় তাদের ভাষা বুঝুন সরকারকে: ফারুক

ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্যের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্যের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

শেষবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাম্য

শেষবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাম্য

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিজ দায়িত্বে নিরাপদ করব: আসিফ মাহমুদ

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিজ দায়িত্বে নিরাপদ করব: আসিফ মাহমুদ

সাউণ্ড গ্রেনেড ও টিয়ারগ্যাসে ছত্রভঙ্গ জবি শিক্ষার্থীদের লংমার্চ

সাউণ্ড গ্রেনেড ও টিয়ারগ্যাসে ছত্রভঙ্গ জবি শিক্ষার্থীদের লংমার্চ

যমুনার সামনে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেডের হামলা

যমুনার সামনে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেডের হামলা

কলমবিরতিতে অচল এনবিআর, বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি

কলমবিরতিতে অচল এনবিআর, বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি

কলাপাড়ায় যাত্রিবাহী বাস থেকে সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির ৩০মন মাছ জব্দ

কলাপাড়ায় যাত্রিবাহী বাস থেকে সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির ৩০মন মাছ জব্দ

লালপুরে পূজা মন্ডপে উচ্চ স্বরে গান বাজানো নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২, আটক ১

লালপুরে পূজা মন্ডপে উচ্চ স্বরে গান বাজানো নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২, আটক ১

চট্টগ্রাম বন্দরে সংযুক্ত হলে নেপাল, ভুটান, সেভেন সিস্টার্স লাভবান হবে- ড. মুহাম্মদ ইউনূস

চট্টগ্রাম বন্দরে সংযুক্ত হলে নেপাল, ভুটান, সেভেন সিস্টার্স লাভবান হবে- ড. মুহাম্মদ ইউনূস

আমিরের সিনেমা বয়কটের ডাক ভারতীয়দের

আমিরের সিনেমা বয়কটের ডাক ভারতীয়দের

খাদ্য সংকট নেই, আশ্বস্ত করলেন খাদ্য উপদেষ্টা

খাদ্য সংকট নেই, আশ্বস্ত করলেন খাদ্য উপদেষ্টা

জবি শিক্ষার্থীদের লংমার্চে পুলিশের বাধা, হাইকোর্টের সামনে অবস্থান

জবি শিক্ষার্থীদের লংমার্চে পুলিশের বাধা, হাইকোর্টের সামনে অবস্থান

চট্টগ্রাম শহরের পানিবদ্ধতা চলতি মৌসুমে অর্ধেকে নামিয়ে আনতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা

চট্টগ্রাম শহরের পানিবদ্ধতা চলতি মৌসুমে অর্ধেকে নামিয়ে আনতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা

ভারতের 'উস্কানি' সত্ত্বেও শান্তি চুক্তি অক্ষুণ্ণ রাখবে পাকিস্তান

ভারতের 'উস্কানি' সত্ত্বেও শান্তি চুক্তি অক্ষুণ্ণ রাখবে পাকিস্তান

হাটহাজারী-কর্ণফুলীতে দুটি হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে

হাটহাজারী-কর্ণফুলীতে দুটি হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে

নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে জামায়াতের আপিলের রায় ১ জুন

নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে জামায়াতের আপিলের রায় ১ জুন

চট্টগ্রামে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, স্বাগত জানালেন মেয়র

চট্টগ্রামে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, স্বাগত জানালেন মেয়র