ঢাকা   রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্র ফের ভেটো দিলো গাজার যুদ্ধবিরতি খসড়া প্রস্তাবে

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬ এএম | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬ এএম

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ওঠা প্রস্তাবে ফের ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।স্থানীয় সময় বুধবার (২০ নভেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রস্তাবটি নিয়ে ভোটাভুটি হয়।এতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া নিরাপত্তা পরিষদের অন্য ১৪ দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়।

 

 

প্রস্তাবটি পরিষদের ১০টি অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছিল এবং এতে অবিলম্বে,নিঃশর্ত এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়।নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪টি সদস্য রাষ্ট্র এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও,বুধবার যুক্তরাষ্ট্র এটি আটকে দেয়।

 

 

গত বছরের ৭ অক্টোবর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির পর থেকে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অবরুদ্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র।খসড়া প্রস্তাবে ৯টি ধারা ছিল।যার প্রথমটি সব পক্ষের দ্বারা অবিলম্বে এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়।প্রস্তাবে গাজায় সব বন্দিদের মুক্তি,আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা এবং বেসামরিক জনগণের কাছে মানবিক সহায়তা প্রদানের কথা বলা হয়।

 

 

এতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, প্রস্তাব গ্রহণের পর তিন সপ্তাহের মধ্যে জাতিসংঘের মহাসচিবকে এর বাস্তবায়ন নিয়ে একটি লিখিত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস গাজা থেকে ইসরাইলে আকস্মিক আক্রমণ চালিয়ে ইসরাইলি সেনাসহ প্রায় ১২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫০ জনের বেশি মানুষকে বন্দি করে।

 

 

হামাস তাদের এই আক্রমণকে জেরুজালেমের পুরোনো শহরের আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের আগ্রাসী কার্যক্রমের প্রতিশোধ হিসেবে উল্লেখ করেছে।এর জবাবে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় পূর্ণ অবরোধ ঘোষণা করে এবং বিমান হামলা চালানো শুরু করে,যা লেবানন এবং সিরিয়ার কিছু অংশেও বিস্তৃত হয়। পরবর্তীতে গাজার ভেতরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী।

 

 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী,গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে উত্তেজনা বৃদ্ধির পর গাজায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৪,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,০৪,০০০ আহত হয়েছে।যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।তথ্যসূত্র সূত্র: আল-জাজিরা


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত
সংক্ষিপ্ত বিশ্বসংবাদ
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে সংলাপে আগ্রহী চীন
আলু-পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সরব মমতা
আদানির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ যে প্রভাব পড়বে ভারতে
আরও

আরও পড়ুন

নাটকীয় শেষ দশ মিনিটে দুই গোল শোধ করে বার্সাকে রুখে দিল সেল্তা

নাটকীয় শেষ দশ মিনিটে দুই গোল শোধ করে বার্সাকে রুখে দিল সেল্তা

বিবর্ণ সিটিকে ইতিহাদেই বিধ্বস্ত করলো টটেনহ্যাম

বিবর্ণ সিটিকে ইতিহাদেই বিধ্বস্ত করলো টটেনহ্যাম

নটিংহ্যামকে হারিয়ে চার ম্যাচের জয়খরা কাটালো আর্সেনাল

নটিংহ্যামকে হারিয়ে চার ম্যাচের জয়খরা কাটালো আর্সেনাল

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক

পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা

পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা

দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত

দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত

জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে

জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে

আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি

বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি

ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা

ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা

বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!

বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা

সিলেটে মাজিদের ফিফটি

সিলেটে মাজিদের ফিফটি

অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন

অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন

মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে

মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে

সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স

সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স

ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না

ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না

দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম

সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম

বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু

বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু