সিরিয়ার আলেপ্পো থেকে সেনা প্রত্যাহার, বিদ্রোহীদের অগ্রগতি
০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৭ এএম | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৭ এএম
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সংঘাতের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। বিদ্রোহীদের অগ্রগতির মুখে আলেপ্পো শহর ছেড়ে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। এই ঘটনাটি সিরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ লড়াই হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
চলতি ২০২৪-এর নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে বিদ্রোহীরা সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নিতে অভিযান শুরু করে। বিদ্রোহীদের এই অগ্রগতি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনের বিরুদ্ধে তাদের দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের একটি নতুন ধাপ।এই আক্রমণের নেতৃত্বে রয়েছে ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং তুরস্ক সমর্থিত মিত্র বাহিনী।
এই লড়াইয়ের পেছনে রয়েছে সিরিয়ার উত্তরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য। ২০২০ সালে সংঘাতবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে সংঘর্ষ কিছুটা কমে গেলেও বিদ্রোহীরা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব শহর এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে।
বিদ্রোহীরা গত বুধবার(২৭ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া আক্রমণে আলেপ্পোর বিমানবন্দর এবং আশেপাশের বেশ কয়েকটি শহর দখল করে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে, এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত ২০ জন বেসামরিক নাগরিক।
শনিবার(৩০নভেম্বর) সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এক বিবৃতিতে বলেন, “সিরিয়ার স্থিতিশীলতা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় আমরা সকল সন্ত্রাসী এবং তাদের সমর্থকদের পরাজিত করব।” তিনি তার মিত্রদের সহায়তায় যেকোনো আক্রমণ প্রতিহত করার অঙ্গীকার করেন।
সরকারি বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, বিদ্রোহীরা "আলেপ্পো ও ইদলিবের বিভিন্ন ফ্রন্ট থেকে একটি বড় আক্রমণ চালিয়েছে"। সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে সিরিয়ার রাস্তাগুলোয় জনস্রোত দেখা গেছে। হাজার হাজার মানুষ আলেপ্পো ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
এই বিদ্রোহী অভিযান এবং আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষ ইঙ্গিত দেয় যে সিরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত আবার নতুন মোড় নিতে চলেছে।গৃহযুদ্ধের এই নতুন অধ্যায় কি শান্তি নিয়ে আসবে, নাকি আরও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে, তা সময়ই বলে দেবে। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সউদী আরবকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৩৬
যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রফতানিতে চীনের নিষেধাজ্ঞা
বিক্ষোভের মুখে প্রত্যাহার দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক আইন
সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করে যা বললেন এরদোগান
নভেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৫.৬৩ শতাংশ
সৈয়দপুরে পিকআপের ধাক্কায় এক শ্রমিক নিহত
শিক্ষার্থীদের মারধর ও শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে শ্রমিকদের সঙ্গে খুবি শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা হবে না : বিক্ষোভ মিছিলে খেলাফত আন্দোলন
আগরতলায় সহকারি হাইকমিশনে উগ্রবাদীদের হামলার প্রতিবাদে চাঁদপুরে খেলাফত মজলিস বিক্ষোভ
বগুড়ায় ম্যাজিষ্ট্রেটের সিল-স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে ৩ প্রতারক গ্রেফতার
পিলখানা হত্যা, শাপলা চত্বরে গণহত্যা ও ২৪'র গণহত্যার বিচারের জন্য ছাত্র ঐক্যের প্রয়োজন: শিবির সভাপতি
‘কুটনীতিকদের উপর আক্রমণ করে ভারত নিজেদের অসভ্য জাতি হিসেবে পরিচয় দিয়েছে’
ষড়যন্ত্র রুখতে সরকারের পাশে থাকবে বিএনপি
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে ব্যাপক মিথ্যা ও অপতথ্য ছড়ানোয় বিএফইউজে ও ডিইউজের উদ্বেগ
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য
ইনকিলাব সাংবাদিকের বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি
পঞ্চগড়ে বিএনপির আনন্দ মিছিল
অব্যবহৃত মসজিদ বা তার জায়গা সংরক্ষণ করা প্রসঙ্গে?
চা শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করুন