চাদের ঘোষণায় ফ্রান্সের সামরিক অবস্থান সংকটে!
০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১২ পিএম | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১২ পিএম
আফ্রিকা মহাদেশের চাদ সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, তারা ফ্রান্সের সাথে সামরিক সহযোগিতা শেষ করবে।এই ঘোষণা ফ্রান্সকে চমকে দিয়ে,তাদের আফ্রিকায় দীর্ঘকালীন উপস্থিতির ওপর বড় ধাক্কা দিলো। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ফ্রান্সের আফ্রিকা নীতি এবং তাদের সামরিক সম্পর্কের জন্য একটি বড় ব্যর্থতা।
গত বৃহস্পতিবার (২৮নভেম্বর) চাদের সরকার তাদের সামরিক সহযোগিতা ফ্রান্সের সাথে শেষ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।এই ঘোষণার কিছু সময় আগে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-নোয়েল ব্যারোট চাদ সফর করেন,কিন্তু তার দলের কাছে এ বিষয়ে কোনও পূর্বসূচনা ছিল না।একে “মুখের উপর তালি” হিসেবে উল্লেখ করেছেন, জার্মান আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা গবেষক উলফ্রাম লাচার।
এটি চাদের মধ্যে ফ্রান্সের সামরিক উপস্থিতির জন্য একটি বড় পরিবর্তন। এর আগে, চাদ ছিল সেহেল অঞ্চলের একমাত্র দেশ যেখানে ফরাসি সেনারা থাকতেন। কিছু সময় আগে সেনেগালের প্রেসিডেন্ট বাসিরু দিওমায়ে ফায়ে এএফপি(AFP)-কে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে,ফ্রান্সের পশ্চিম আফ্রিকার সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করা উচিত।
এদিকে,ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রিস্টোফে লেমোইন বলেছেন, "আমরা আফ্রিকায় আমাদের সামরিক উপস্থিতি পুনর্গঠনের জন্য দুই বছর ধরে আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি।"এর আগে ফ্রান্স মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নিঝের থেকে তাদের সেনাদের সরিয়ে নিয়েছে,যেখানে নতুন সরকারগুলি ফ্রান্স বিরোধী মনোভাব নিয়ে আসছে।
তবে, চাদ এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় নিজেদের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এর ফলে, তাদের সম্পর্কের মধ্যে একটি বড় ফাটল দেখা দিয়েছে।এদিকে, রাশিয়া আফ্রিকায় তাদের প্রভাব বিস্তার করতে চলেছে।চাদ ও সেনেগাল উভয়ই রাশিয়ার সঙ্গে সম্প্রতি সম্পর্ক শক্তিশালী করেছে, যা ফ্রান্সের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।
এই পরিস্থিতি ফ্রান্সের জন্য এক বিপজ্জনক সময়ের সূচনা হতে পারে, কারণ তাদের সামরিক উপস্থিতি এখন আফ্রিকায় নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ফ্রান্সের জন্য এই পরিবর্তন অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এবং তাদের আফ্রিকা নীতির পুনঃমূল্যায়ন করতে হতে পারে। তথ্যসূত্র : খালিজ টাইমস
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সউদী আরবকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৩৬
যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রফতানিতে চীনের নিষেধাজ্ঞা
বিক্ষোভের মুখে প্রত্যাহার দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক আইন
সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করে যা বললেন এরদোগান
নভেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৫.৬৩ শতাংশ
সৈয়দপুরে পিকআপের ধাক্কায় এক শ্রমিক নিহত
শিক্ষার্থীদের মারধর ও শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে শ্রমিকদের সঙ্গে খুবি শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা হবে না : বিক্ষোভ মিছিলে খেলাফত আন্দোলন
আগরতলায় সহকারি হাইকমিশনে উগ্রবাদীদের হামলার প্রতিবাদে চাঁদপুরে খেলাফত মজলিস বিক্ষোভ
বগুড়ায় ম্যাজিষ্ট্রেটের সিল-স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে ৩ প্রতারক গ্রেফতার
পিলখানা হত্যা, শাপলা চত্বরে গণহত্যা ও ২৪'র গণহত্যার বিচারের জন্য ছাত্র ঐক্যের প্রয়োজন: শিবির সভাপতি
‘কুটনীতিকদের উপর আক্রমণ করে ভারত নিজেদের অসভ্য জাতি হিসেবে পরিচয় দিয়েছে’
ষড়যন্ত্র রুখতে সরকারের পাশে থাকবে বিএনপি
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে ব্যাপক মিথ্যা ও অপতথ্য ছড়ানোয় বিএফইউজে ও ডিইউজের উদ্বেগ
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য
ইনকিলাব সাংবাদিকের বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি
পঞ্চগড়ে বিএনপির আনন্দ মিছিল
অব্যবহৃত মসজিদ বা তার জায়গা সংরক্ষণ করা প্রসঙ্গে?
চা শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করুন