সামুদ্রিক কচ্ছপের মাংস খেয়ে ৩ জনের মৃত্যু, হাস্পাতালে ভর্তি ৩২
০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০২ পিএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০২ পিএম
ফিলিপাইনে দুর্লভ সামুদ্রিক কচ্ছপের মাংস খাওয়ার পর তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে এবং অন্তত ৩২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঘটনাটি ফিলিপাইনের মাগুইন্দানাও দেল নর্তে প্রদেশের একটি উপকূলীয় গ্রামে ঘটেছে।
গত সপ্তাহে টেডুরে সম্প্রদায়ের মানুষজন ঐতিহ্যবাহী খাবারে সামুদ্রিক কচ্ছপ রান্না করেন। এরপর থেকেই তাঁদের অনেকের মধ্যে ডায়রিয়া, বমি এবং পেটের ব্যথার মতো লক্ষণ দেখা যায়। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুসারে ফিলিপাইনে সামুদ্রিক কচ্ছপ শিকার বা খাওয়া নিষিদ্ধ, তবে কিছু সম্প্রদায়ে এটি ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে বিবেচিত।
সামুদ্রিক কচ্ছপ বিশেষত দূষিত শৈবালের মাধ্যমে বিষাক্ত পদার্থ গ্রহণ করে, সেই কচ্ছপের মাংস রান্না করার পর বিষাক্ত হতে পারে। স্থানীয় কর্মকর্তা ইরিন ডিলো জানান, একই কচ্ছপের মাংস খেয়ে কিছু কুকুর, বিড়াল এবং মুরগিও মারা গেছে। কচ্ছপ জনপ্রিয় ফিলিপাইনি রান্না আদবোর মতোভাবে রান্না করা হয়েছিল, যেখানে ভিনেগার এবং সয়াসস দিয়ে মাংস বা শাকসবজি রান্না করা হয়।
দাতু ব্লাহ সিনসুয়াত নামক সমুদ্রতীরবর্তী গ্রামটি সাদা বালির সমুদ্রতট এবং স্বচ্ছ জলের জন্য পরিচিত। এখানকার মানুষের খাবারের উৎস মূলত সাগর থেকে আসে। তবে, স্থানীয় কর্মকর্তা ডিলো বলেছেন, "এটা দুর্ভাগ্যজনক, কারণ গ্রামে অন্য অনেক ধরনের সামুদ্রিক খাবার ছিল, যেমন লবস্টার ও মাছ।"
হাসপাতালে ভর্তি অধিকাংশ মানুষ ইতোমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে। তবে যাঁরা মারা গেছেন তাঁদের দ্রুত দাফন করা হয়েছে, যা ওই অঞ্চলের প্রথা। স্থানীয় কাউন্সিলর দাতু মোহাম্মদ সিনসুয়াত জুনিয়র শিকার নিষিদ্ধ আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করার জন্য বলেছেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, "এই ধরনের খাদ্য বিষক্রিয়া আর কখনো ঘটতে দেওয়া হবে না।"
ফিলিপাইনে বেশিরভাগ সামুদ্রিক কচ্ছপ বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত এবং এগুলোর শিকার বা হত্যা করা আইনত নিষিদ্ধ। তবে কিছু সম্প্রদায়ের মধ্যে কচ্ছপের মাংস এবং ডিমের ঔষধি গুণের ধারণা থেকে এগুলো শিকার করা হয়। ২০১৩ সালে ফিলিপাইনের পূর্ব সামার প্রদেশে এমনই আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল, যেখানে ৬৮ জন অসুস্থ এবং চারজনের মৃত্যু হয়েছিল। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সউদী আরবকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৩৬
যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রফতানিতে চীনের নিষেধাজ্ঞা
বিক্ষোভের মুখে প্রত্যাহার দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক আইন
সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করে যা বললেন এরদোগান
নভেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৫.৬৩ শতাংশ
সৈয়দপুরে পিকআপের ধাক্কায় এক শ্রমিক নিহত
শিক্ষার্থীদের মারধর ও শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে শ্রমিকদের সঙ্গে খুবি শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা হবে না : বিক্ষোভ মিছিলে খেলাফত আন্দোলন
আগরতলায় সহকারি হাইকমিশনে উগ্রবাদীদের হামলার প্রতিবাদে চাঁদপুরে খেলাফত মজলিস বিক্ষোভ
বগুড়ায় ম্যাজিষ্ট্রেটের সিল-স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে ৩ প্রতারক গ্রেফতার
পিলখানা হত্যা, শাপলা চত্বরে গণহত্যা ও ২৪'র গণহত্যার বিচারের জন্য ছাত্র ঐক্যের প্রয়োজন: শিবির সভাপতি
‘কুটনীতিকদের উপর আক্রমণ করে ভারত নিজেদের অসভ্য জাতি হিসেবে পরিচয় দিয়েছে’
ষড়যন্ত্র রুখতে সরকারের পাশে থাকবে বিএনপি
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে ব্যাপক মিথ্যা ও অপতথ্য ছড়ানোয় বিএফইউজে ও ডিইউজের উদ্বেগ
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য
ইনকিলাব সাংবাদিকের বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি
পঞ্চগড়ে বিএনপির আনন্দ মিছিল
অব্যবহৃত মসজিদ বা তার জায়গা সংরক্ষণ করা প্রসঙ্গে?
চা শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করুন