ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে ন্যাটোতে ব্লিঙ্কেনের শেষ সফর
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম | আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তার ইউরোপপ্রীতি এবং বহুপক্ষীয় সহযোগিতার জন্য পরিচিত।তিনি সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে ন্যাটো সদর দপ্তরে তার বিদায়ী সফর করেছেন।ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এই সফরে তিনি ন্যাটোর মিত্রদের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধের গুরুত্ব এবং পশ্চিমা ঐক্যের বার্তা তুলে ধরেন।
মঙ্গলবার(৩ ডিসেম্বর)ব্রাসেলসের ন্যাটো সদর দপ্তরে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।এটি ছিল ব্লিঙ্কেনের জন্য এক আবেগপূর্ণ সফর,কারণ এই সফরের মাধ্যমে বাইডেন প্রশাসনের চার বছরের সময়সীমা প্রায় শেষ।ইউক্রেন যুদ্ধের সময় ন্যাটোর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দৃঢ় করার যে প্রচেষ্টা ব্লিঙ্কেন চালিয়ে গেছেন, তার জন্য এই সফর ছিল একটি প্রতীকী অধ্যায়।
উল্লেখ্য,ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের প্রেক্ষাপটে ব্লিঙ্কেন এবং বাইডেন প্রশাসন সবসময় কিয়েভকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগামী ছিলেন।ন্যাটো বৈঠকের ঠিক আগে ব্লিঙ্কেন নতুন ৭২৫ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ঘোষণা করেন।
এর মধ্যে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান এবং ট্যাংক সরবরাহের মতো সিদ্ধান্তেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন প্রশাসন ন্যাটো এবং ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে।ট্রাম্প তার প্রচারণায় রাশিয়ার সঙ্গে দ্রুত সমঝোতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তার বহুপক্ষীয় সম্পর্কের দৃষ্টিভঙ্গি এবং ইউক্রেনকে সমর্থনের অঙ্গীকার দিয়ে বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির পরিচয় তুলে ধরেছেন।কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের "আমেরিকা ফার্স্ট" নীতির ছায়া ইতিমধ্যেই ন্যাটো এবং ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।
ব্লিঙ্কেন তার বক্তব্যে ন্যাটোর সদস্যপদকে যুদ্ধের বিরুদ্ধে সেরা গ্যারান্টি হিসেবে তুলে ধরেন। যদিও বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে সচেতন ছিল, তারা ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়ানোর জন্য কোনো বড় পদক্ষেপ থেকে বিরত ছিল।ব্লিঙ্কেনের এই বিদায় সফর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ভবিষ্যতের রাজনীতিতে এর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। তথ্যসূত্র : খালিজ টাইমস
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সউদী আরবকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৩৬
যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রফতানিতে চীনের নিষেধাজ্ঞা
বিক্ষোভের মুখে প্রত্যাহার দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক আইন
সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করে যা বললেন এরদোগান
নভেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৫.৬৩ শতাংশ
সৈয়দপুরে পিকআপের ধাক্কায় এক শ্রমিক নিহত
শিক্ষার্থীদের মারধর ও শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে শ্রমিকদের সঙ্গে খুবি শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা হবে না : বিক্ষোভ মিছিলে খেলাফত আন্দোলন
আগরতলায় সহকারি হাইকমিশনে উগ্রবাদীদের হামলার প্রতিবাদে চাঁদপুরে খেলাফত মজলিস বিক্ষোভ
বগুড়ায় ম্যাজিষ্ট্রেটের সিল-স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে ৩ প্রতারক গ্রেফতার
পিলখানা হত্যা, শাপলা চত্বরে গণহত্যা ও ২৪'র গণহত্যার বিচারের জন্য ছাত্র ঐক্যের প্রয়োজন: শিবির সভাপতি
‘কুটনীতিকদের উপর আক্রমণ করে ভারত নিজেদের অসভ্য জাতি হিসেবে পরিচয় দিয়েছে’
ষড়যন্ত্র রুখতে সরকারের পাশে থাকবে বিএনপি
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে ব্যাপক মিথ্যা ও অপতথ্য ছড়ানোয় বিএফইউজে ও ডিইউজের উদ্বেগ
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য
ইনকিলাব সাংবাদিকের বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি
পঞ্চগড়ে বিএনপির আনন্দ মিছিল
অব্যবহৃত মসজিদ বা তার জায়গা সংরক্ষণ করা প্রসঙ্গে?
চা শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করুন