কানাডায় সহায়ক মৃত্যুর হার বৃদ্ধি, প্রতি ২০ জনের মধ্যে ১ জন
১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ এএম | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ এএম
কানাডায় সহায়ক(euthanasia) মৃত্যুর প্রবণতা ক্রমাগত বাড়ছে। ২০১৬ সালে এটি বৈধ হওয়ার পর থেকে, প্রতিবছরই মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ সম্প্রতি তাদের পঞ্চম বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে প্রথমবারের মতো সহায়ক মৃত্যুর আবেদনকারীদের জাতিগত পরিসংখ্যান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
২০২৩ সালে প্রায় ১৫,৩০০ জন সহায়ক মৃত্যুর মাধ্যমে তাদের জীবন শেষ করেছেন, যা দেশের মোট মৃত্যুর প্রায় ৪.৭%। এ হার ২০২২ সালের তুলনায় ১৬% বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও পূর্ববর্তী বছরগুলোর ৩১% গড় বৃদ্ধির তুলনায় এই হার কম। ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি, এবং তাদের গড় বয়স ছিল ৭৭ বছর।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৯৬% আবেদনকারী তাদের স্বাভাবিক মৃত্যুর পূর্বাভাসিত সময়ের মধ্যে সহায়ক মৃত্যুর আবেদন করেছেন। তবে, ৪% ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্তদের জন্যও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যাদের স্বাভাবিক মৃত্যু নিকটবর্তী ছিল না।
প্রথমবারের মতো সহায়ক মৃত্যুর জাতিগত বিশ্লেষণ প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে আবেদনকারীদের ৯৬% শ্বেতাঙ্গ, যদিও কানাডার জনসংখ্যার ৭০% শ্বেতাঙ্গ। এই পার্থক্যের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। পূর্ব এশীয়রা দ্বিতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী (১.৮%), যারা কানাডার জনসংখ্যার ৫.৭%।
সহায়ক মৃত্যুর সর্বোচ্চ হার কুইবেকে দেখা গেছে, যেখানে মোট মৃত্যুর ৩৭% এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটেছে। কুইবেকের সরকার ইতোমধ্যে এই উচ্চ হারের কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি গবেষণা শুরু করেছে।
কানাডার সহায়ক মৃত্যুর আইন শুরুতে শুধুমাত্র "যথেষ্ট পূর্বাভাসিত মৃত্যু"-র ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে, ২০২১ সালে এটি দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের জন্যও প্রসারিত করা হয়। মানসিক অসুস্থতার জন্য সহায়ক মৃত্যুর প্রস্তাবিত সম্প্রসারণ ২০২৪ সালের জন্য বিলম্বিত হয়েছে।
বিতর্কিত কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, কিছু মানুষ আবাসন সমস্যা বা পর্যাপ্ত সুবিধার অভাবে সহায়ক মৃত্যুর আবেদন করেছেন। একটি ঘটনা অন্তর্ভুক্ত ছিল যেখানে একজন মহিলা তার মেডিক্যাল চাহিদা অনুযায়ী বাসস্থান না পেয়ে মৃত্যুর অনুমোদন পান।
কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ "কঠোর যোগ্যতার মানদণ্ড" বজায় রাখার কথা বললেও, সমালোচকরা এটিকে "আশঙ্কাজনক" বলে উল্লেখ করেছেন। বিশ্বের অন্যতম দ্রুতবর্ধনশীল ইউথেনেশিয়া প্রোগ্রাম হওয়ায় কানাডা একটি বিতর্কিত উদাহরণে পরিণত হয়েছে।
কানাডার এই পরিস্থিতি সহায়ক মৃত্যুর নীতিমালা নিয়ে বিশ্বজুড়ে নতুন বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। এটি মানবিক সিদ্ধান্ত না প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
যৌথসভা ডেকেছে বিএনপি
‘শেখ হাসিনার বক্তব্য সমর্থন করে না ভারত’
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ
কলাপাড়ায় ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া, কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন
কালীগঞ্জে সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া
ট্রাম্প ভয়েস অফ আমেরিকা প্রধান হিসেবে ক্যারি লেককে নিয়োগ দিয়েছেন
ঝিনাইদহে দাফনের ৬১ দিন পর কিশোর স্কুল ছাত্রের লাশ উত্তোলন
জমি এখন আর এজমালি থাকবেনা, জমি হবে একক মালিকানায়- মহাপরিচালক ভূমি রেকর্ড ও জরিপ
গাজীপুরে ধাওয়া দিয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু ইসরায়েলের
চুয়েটে নলেজ এক্সচেঞ্জ এন্ড শেয়ারিং ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত
ভারতে ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থান রক্ষার আইন নিয়ে বিতর্ক
কুষ্টিয়ায় দুজনকে কুপিয়ে পিকআপ থেকে ৭ গরু লুট
আগামীকাল দেশব্যাপী মুক্তি পাচ্ছে ৮৪০' ওরফে Democracy Pvt. Ltd.
মতিঝিলে হোটেল পারাবতের কক্ষ থেকে লাশ উদ্ধার
তুরস্কের মধ্যস্থতায় সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ার উত্তেজনা নিরসনে চুক্তি
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি কষ্ট দেয়
আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ৭ ঘন্টা পর ফেরি সার্ভিস চালু হয়েছে
জাতির শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ
র্যালী ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে নরসিংদী হানাদার মুক্ত দিবস পালন