সিরিয়ার অস্ত্রে সয়লাব লেবানন, ২৫ ডলারেও বিক্রি হচ্ছে একে-৪৭ রাইফেল
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪ এএম | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ এএম
সিরিয়ার সেনাবাহিনীর পতনের পর দেশটির বিপুল অস্ত্র এখন লেবাননে পাচার হচ্ছে। আসাদের পতন তাই লেবাননের অস্ত্র ব্যবসায়ীদের জন্য বড় লাভের সুযোগ তৈরি করেছে। বুধবার বৈরুতের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক সূত্রগুলো এমনটাই জানিয়েছে।
লেবাননের নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার আমিরাত-ভিত্তিক দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, বর্তমানে সিরিয়ায় অস্ত্র অনেক সহজলভ্য হয়ে গেছে এবং সেগুলো কালোবাজারে খুবই কম দামে বিক্রি হচ্ছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, একটি একে-৪৭ রাইফেল মাত্র ২৫ ডলারেও বিক্রি হচ্ছে।
নিরাপত্তা সূত্রটি বলেছে- লেবাননের বাজার সিরিয়ার অস্ত্রে সয়লাব হয়ে গেছে। অনেক ডিলার সিরিয়ায় গিয়ে কম দামে অস্ত্র কিনে লেবাননে পাচার করছেন। বিশেষ করে দেশটির উত্তরাঞ্চল এখন সিরিয়ার অস্ত্রের গুদামে পরিণত হয়েছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সিরিয়া থেকে প্রায় ৩ হাজার অস্ত্র চোরাই সীমান্তপথ দিয়ে পাচার হয়েছে। এসব অস্ত্রের বেশির ভাগই চীনে তৈরি। অস্ত্রগুলোতে সিরিয়ার পতাকা আঁকা রয়েছে। তবে ডিলাররা এই চিহ্ন ঘষে ঘষে মুছে ফেলছেন এবং লেবাননের বাজারে একেকটি অস্ত্র ৫০০ ডলারেও বিক্রি করছেন।
লেবাননের একটি রাজনৈতিক সূত্রও নিশ্চিত করেছে, সিরিয়া থেকে অস্ত্রের হঠাৎ প্রবাহ লেবাননে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্রটি জানায়, রাষ্ট্র এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।
সিরিয়ার সেনাবাহিনীর পতন অপ্রত্যাশিতভাবে দ্রুত হয়েছে। কয়েক বছরের গৃহযুদ্ধ শেষে বিগত বছরগুলোতে দেশটি স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরলেও মাত্র ১২ দিনের মধ্যে বিদ্রোহীরা আসাদ সরকারের পতন ঘটায়।
বিদ্রোহীরা দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আগে, সিরিয়ার সঙ্গে অধিকাংশ সীমান্তই বন্ধ করে দিয়েছিল লেবানন। তবে দেশটির উত্তরাঞ্চলের অনেক অবৈধ সীমান্ত পথ চালু থেকেই যায়।
লেবানন দীর্ঘদিন ধরেই অস্ত্রের সমস্যা মোকাবিলা করছে। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সালের গৃহযুদ্ধের সময় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীগুলো বিপুল অস্ত্র সংগ্রহ করেছিল এবং এখনো তা ব্যবহার করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী গোষ্ঠী হলো হিজবুল্লাহ, যারা ২০২৩ সালের নভেম্বরে ইসরায়েলের সঙ্গে একটি বিধ্বংসী যুদ্ধে জড়িয়েছে।
লেবাননের নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, দেশটির প্রায় প্রতিটি সশস্ত্র দলই সিরিয়া থেকে পাচার হওয়া অস্ত্র কিনছে। ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ এবং হিজবুল্লাহর ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে দেশটিতে অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের আশঙ্কা বাড়ছে। এ অবস্থায় লেবাননে গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারাও।
লেবাননের রাজনীতিবিদেরা সিরিয়ার সরকারের পতনকে উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছেন। সিরিয়া একসময় লেবাননের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বড় প্রভাব রাখত এবং ৩০ বছর ধরে লেবাননের ওপর সামরিক ও রাজনৈতিক দখলদারি বজায় রেখেছিল।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে মেহজাবীন, প্রকাশ্যে ছিঁড়লেন নিজ পোস্টার, চাইলেন ক্ষমা
ইয়েমেনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র, তেল স্থাপনা ও বন্দরে হামলা ইসরায়েলের
প্রশংসায় ভাসছে বিএনপি নেতা ইশরাক
তাপমাত্রা বৃদ্ধি, দেশজুড়ে ভারি বৃষ্টির আভাস
রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে নরসিংদীতে বিএনপির প্রশিক্ষণ কর্মশালা চলছে
দৌলতপুর উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ন আহবায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান জাকির গ্রেফতার
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও প্রেস সচিবের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী : মির্জা ফখরুল
ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলো সাবেক পুলিশপ্রধান মামুন ও জিয়াউলকে
সর্বকালের সর্বনিম্নে নেমেছে ভারতীয় রুপির মূল্য
অস্ত্র’ হাতে বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল, আসল ঘটনা কী?
মুখে ভয়ানক আঘাত পেয়েছেন দোন্নারুম্মা
বগুড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য রিপু নেত্রকোনায় গ্রেফতার
রাশিয়ার তেলবাহী জাহাজ ডুবে কৃষ্ণ সাগরের ৫০ কিলোমিটার সৈকত দূষিত
অনুমতি ছাড়াই বাংলাদেশে ডাক্তারি করে যাচ্ছেন ভারতীয়রা: ডা. রফিকুল
সিরিয়াকে সন্ত্রাসীদের আখড়া বানাতে দেব না : এরদোগান
ডাম্প ট্রাক-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫
শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরে আবারো ভিড়বে পাকিস্তানি জাহাজ
পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
পাকিস্তানের বিপক্ষে মহারাজ ও মুল্ডারকে নিয়ে ‘বাজি’ ধরল দ. আফ্রিকা
বাংলাদেশের নির্বাচন পরিকল্পনাকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র