বিদেশি ভুল তথ্য ঠেকানোর মার্কিন সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক

২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ এএম | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২ এএম

বিদেশি ভুল তথ্য শনাক্ত এবং প্রতিরোধে কাজ করা মার্কিন সরকারের গ্লোবাল এনগেজমেন্ট সেন্টার (জিইসি) বন্ধ হয়ে গেছে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, কংগ্রেস অর্থায়ন নবায়ন না করায় সংস্থাটি ২০২৪ সালের সোমবার ( ২৩ ডিসেম্বর) থেকে কার্যক্রম বন্ধ করেছে।

২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত জিইসি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুদেশগুলো, বিশেষ করে রাশিয়া এবং চীনের প্রোপাগান্ডা ও ভুল তথ্যের প্রচারণা মোকাবেলায় কাজ করত। সংস্থাটি বন্ধ হওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসেছে, যখন বিশেষজ্ঞরা রাশিয়া এবং চীনের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের ভুল তথ্য প্রচারণার হুমকি নিয়ে সতর্ক করেছেন।

এই সংস্থার বার্ষিক বাজেট ছিল ৬১ মিলিয়ন ডলার এবং প্রায় ১২০ জন কর্মী সেখানে কাজ করতেন। তবে গত সপ্তাহে কংগ্রেসের দ্বিদলীয় বাজেট বিলে জিইসির জন্য বরাদ্দ বাদ দেওয়া হয়। রিপাবলিকান নেতারা দীর্ঘদিন ধরে সংস্থাটির বিরুদ্ধে আমেরিকানদের উপর নজরদারি এবং সেন্সরশিপের অভিযোগ তুলে আসছিলেন।

গ্লোবাল এনগেজমেন্ট সেন্টার বন্ধ হওয়ায় মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট প্রথমবারের মতো গত আট বছরে বিদেশি প্রোপাগান্ডা শনাক্ত ও মোকাবেলায় নির্দিষ্ট অফিস ছাড়া কাজ করবে। ২০২৩ সালে ইলন মাস্ক এই সংস্থাকে "গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ এবং তথ্য বিকৃতির জন্য সবচেয়ে বড় অপরাধী" বলে সমালোচনা করেছিলেন। তিনি এটিকে "গণতন্ত্রের জন্য হুমকি" হিসেবেও উল্লেখ করেন।

জিইসি বন্ধ হলেও এর নেতারা তাঁদের কাজের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। তাঁরা জানান, তাঁদের কার্যক্রম ছিল রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কিত ভুল তথ্য এবং চীনের বিশ্বব্যাপী প্রোপাগান্ডা মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৩ সালে জিইসি একটি রিপোর্টে সতর্ক করেছিল যে, চীন বিপুল অর্থ ব্যয় করে ভুল তথ্য ছড়িয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বড় ধরনের সংকট তৈরি করছে।

জুন মাসে, বিশেষ দূত জেমস রুবিন ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার প্রোপাগান্ডা মোকাবেলায় একটি আন্তর্জাতিক গ্রুপের সূচনা করেন। এই উদ্যোগে সঠিক তথ্য প্রচার এবং ক্রেমলিনের তথ্য বিকৃতি উন্মোচনের জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারকে একত্রিত করা হয়।

গ্লোবাল এনগেজমেন্ট সেন্টারের বন্ধ হওয়া মার্কিন সরকারের তথ্য-সংক্রান্ত উদ্যোগে বড় শূন্যতা তৈরি করবে। প্রোপাগান্ডা মোকাবেলায় এ ধরনের সংস্থা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে এই কার্যক্রম পুনরায় চালুর প্রয়োজনীয়তা আরও গভীরভাবে অনুভূত হতে পারে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা

বিভাগ : আন্তর্জাতিক