উষ্ণতম বছর, উষ্ণতম দশক! আশঙ্কার বর্ষবরণ বিশ্বজুড়ে
০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১২ পিএম | আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৫ পিএম
পৃথিবীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা–বার্তা জানাতে গিয়ে জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘মানব সভ্যতা ধ্বংসের পথে এগোচ্ছে। আমাদের হাতে নষ্ট করার মতো সময় একেবারেই নেই।’ বছরের শেষ দিনটায় সন্ধা যত গড়িয়েছে, তত বেশি করে প্রবল হয়েছে বাজির শব্দ, বক্সে উদ্দাম গানের আওয়াজ। আমোদে মত্ত মানুষের মনেও পড়েনি ক’বছর আগেও ৩১ ডিসেম্বর রাতে ঘামের ধারায় জামা ভিজে যাওয়ার নজির আছে কি না। অতি দ্রুত বদলে যাওয়া আবহাওয়া সম্পর্কে তারা উদাসীন হলেও আবহবিদরা নন।
পেশায় আবহাওয়া বিজ্ঞানী এবং ডব্লিউএমও–র ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল কো ব্যারেট নতুন বছরের শুরুতেই যে পরিসংখ্যান পেশ করেছেন, তাতে দেখা গিয়েছে, ’২৪–এ বহু জায়গাতেই দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর পেরিয়েছে। তালিকায় রয়েছে ভারতের নামও। বাংলার ব্যারাকপুর গত বছর পৌঁছেছিল ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে। কলাইকুণ্ডা ৪৬ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল প্রায়। ডব্লিউএমও জানিয়েছে, ’২৪–এ যে কোনও মানুষকে বছরে গড়ে অন্তত ৪১ দিন ‘বিপজ্জনক’ তাপের মুখোমুখি হতে হয়েছে। কোনও কোনও জায়গায় বছরে ১৩০ দিন পর্যন্ত বিপজ্জনক তাপ সহ্য করতে হয়েছে!
ব্যারেট বলেন, ‘মানুষের কাজের ফলে তৈরি গ্রিন হাউস গ্যাস গোটা পৃথিবীকে হিট ট্র্যাপ–এ পরিণত করেছে। এর ফলে উৎপন্ন তাপের বিকিরণ হচ্ছে না। তাই সর্বত্রই গড় তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে।’ তিনি জানান, কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন ও নাইট্রাস অক্সাইডের পরিমাণ অত্যন্ত বেড়েছে। এই তিন গ্যাসই বায়ুমণ্ডলে দীর্ঘ সময় ধরে থেকে যায়। ব্যারেটের সতর্কবার্তা, ‘বাতাসে এই তিনটি গ্যাস যে পরিমাণে মিশেছে, তাতে আগামী বহু বছর ধরে আমাদের সবাইকে ভুগতে হবে।’
আবহাওয়ায় এই চরম রূপ অবশ্য গত এক দশক ধরেই দেখছে গোটা পৃথিবী। আবহবিদদের পরিসংখ্যান — ২০১৫ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ১০ বছরের এই সময়সীমাই এ পর্যন্ত মানুষের ইতিহাসের উষ্ণতম দশক। আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যের রেকর্ড রাখা শুরু হয় ১৮৫০–এ, শিল্প বিপ্লবের বছরে। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, ১৮৫০–এর আগে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা যা ছিল, ’২৪–এ তার তুলনায় ১.৫৪ ডিগ্রি বেড়েছে। গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির ঘটনা আগেও ঘটেছে। কিন্তু এই প্রথম এক বছরে গড় তাপমাত্রা প্রাক্–শিল্প বিপ্লব যুগের তুলনায় ১.৫ ডিগ্রি বা তার বেশি বাড়ল।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রহমতের লড়াকু সেঞ্চুরিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে আফগানিস্তান
আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি
আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে
৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা
ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ
পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।
‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’
শীতে পশু-পাখিদের যত্ন
মানব পাচার রোধ করতে হবে
মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত
বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে
১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু
লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের
চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম
মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর
জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় দুইদিনে নিহত ১৫০
কালো টাকায় ভাসছে শীর্ষস্থানীয় মার্কিন ৩৬% থিংক ট্যাংক
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অনেক হতাহত, ফের উত্তপ্ত মণিপুর