যুদ্ধবিরতির পর ধ্বংসস্তূপে গাজাবাসীর মলিন প্রত্যাবর্তন
২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৫ এএম | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৮ এএম
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাসের সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর হয়েছে। এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা শুনে আনন্দে রাস্তায় নেমেছিল হাজারো ফিলিস্তিনি। তবে যুদ্ধের ক্ষতচিহ্ন আর ধ্বংসস্তূপে ফিরে তাঁদের সেই আনন্দ মলিন হয়ে যায়। বিশেষত জাবালিয়ার মতো এলাকায়, যেখানে সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির ছিল, সেখানকার বাসিন্দারা ফিরে পেয়েছেন কেবল ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঘরবাড়ি আর অগণিত কষ্টের স্মৃতি।
২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষে গাজার জাবালিয়া শিবির সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রায় ৪,০০০ মানুষ এখানে প্রাণ হারিয়েছেন।যুদ্ধবিরতির ফলে বাসিন্দারা ঘরে ফেরার সুযোগ পেলেও, তাঁরা তাঁদের হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জন আর ভেঙে যাওয়া জীবনের মুখোমুখি হয়েছেন।
জাবালিয়া শিবিরের আল-ফালুজা এলাকায় ফিরে আসা দোয়া আল-খালিদি তাঁর স্বামী, শাশুড়ি এবং ননদের মৃতদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে বলে জানান। তিনি বলেন, "আমি শুধু তাঁদের মরদেহ পেতে চাই যেন সম্মানের সঙ্গে দাফন করতে পারি।" পেশাদার ওজন তোলার খেলোয়াড় হুসাইন আওদা যুদ্ধ শুরুতেই পরিবারের দশ সদস্যকে হারিয়েছেন। তাঁর তিনতলা বাড়ি আর স্পোর্টস ক্লাবও পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। তিনি বলেন, "যুদ্ধ আমাদের সমস্ত সৌন্দর্য কেড়ে নিয়েছে।"
খান ইউনিস এলাকায় হামাস যোদ্ধারা অস্ত্রসহ মিছিল করে, যদিও সাধারণ মানুষ তাঁদের ক্ষতির জন্য শোক প্রকাশ করছিল। ৪০ বছর বয়সী আহমেদ আবু আয়হাম বলেন, "এই সময় উদযাপনের নয়, বরং আমরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে চাই।"
রাফাহ অঞ্চলে ফিরে যাওয়া বহু মানুষের মধ্যেও একইরকম ক্ষতির গল্প। সাংবাদিক মুহাম্মদ আল-জামাল নিজের ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ির কথা বলতে গিয়ে বলেন, "ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে গাছপালা—সবকিছুই ধ্বংস হয়ে গেছে।"
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে প্রতিদিন ৬০০ ত্রাণ ট্রাক প্রবেশের কথা থাকলেও, প্রথম দিনেই ১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর আসে। এই চুক্তি কতদিন কার্যকর থাকবে তা নিয়ে সবার মনেই সংশয় রয়ে গেছে।
যুদ্ধবিরতি গাজাবাসীদের জন্য সাময়িক স্বস্তি বয়ে এনেছে, তবে এই শান্তি কতদিন স্থায়ী হবে তা নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও গাজাবাসীরা নতুন করে বাঁচার আশা নিয়ে দিন গুনছে। তথ্যসূত্র : বিবিসি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ঈশ্বরগঞ্জে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা
বনানীতে সড়কে সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ, রাস্তা বন্ধ
বগুড়া সেনানিবাসে সাঁজোয়া কোরের ৪৪তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে যোগ দিলেন সেনা প্রধান
গাজীপুরে এ্যাপারেলস্ কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে আহত ১২
ব্যবহারকারীদের আশ্বাস ট্রাম্পের, যুক্তরাষ্ট্রে ফের চালু টিকটক
পদ্মায় ধরা পড়লো ৪২ কেজির মহা বিপন্ন বাঘাইড় মাছ
আরও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রিয়ালের প্রেসিডেন্ট পেরেজ
সিলেটে প্রখ্যাত আলেম ইসহাক আল মাদানির ইন্তেকাল!
গাজার ধ্বংসস্তূপে নতুন স্বপ্ন বুনছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষ
গাজা চুক্তিকে যেকারণে ‘হামাসের জয়’ বলছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
সত্যিকারের সুখী হওয়া অনেক কঠিনঃ মিশা
গাজায় ব্যাংক সেবা পুনরায় চালুর প্রস্তুতি শুরু ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের
বদলে যাচ্ছে পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যদের পোশাক
লক্ষ্মীপুরে ড্রামট্রাকের চাপায় প্রাণ গেল দুই অটোরিকশা যাত্রীর
মানিকগঞ্জে পদ্মায় বড়শিতে ধরা পরল ৯ কেজি ওজনের বোয়াল
রাজশাহী নার্সিং কলেজের ১৪ শিক্ষার্থী ফেল করে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দিলেন
মেলানিয়া ট্রাম্প বাজারে আনলেন নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি
সাবেক এমপি মোস্তফা জালাল গ্রেপ্তার
শরীয়তপুর পৌরসভার বিএনপি কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
সাইফ ইস্যুতে মেজাজ হারালেন অভিনেতা জাকি শ্রফ