ঢাকা   শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ | ১০ মাঘ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধ, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে ভেঙে পড়ল আফগান শরণার্থীরা

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫১ পিএম | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম

আফগান শরণার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়ার স্বপ্ন ছিল নিরাপদ ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেয়ার পর নতুন অভিবাসন স্থগিতাদেশ সেই স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, এই সিদ্ধান্ত এক ধরনের "প্রতারণা" এবং তাদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্বের অবহেলা।

 

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনীর প্রত্যাহারের পর হাজার হাজার আফগান শরণার্থী যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছিল। এই শরণার্থীদের অনেকেই মার্কিন সেনাবাহিনীর দোভাষী, আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মী এবং নারীদের অধিকারের জন্য কাজ করা ব্যক্তিদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্বে ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই স্থগিতাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন সংকট মোকাবিলার একটি পদক্ষেপ।

 

বর্তমানে মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন প্যারাট্রুপার আবদুল্লাহ তার বোন ও জামাইকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু স্থগিতাদেশ তাদের পুনর্মিলনের সম্ভাবনা নষ্ট করেছে। আবদুল্লাহর মতে, তার পরিবার তালেবান সরকারের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। একই ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে বাবাকের, যিনি আফগান বিমান বাহিনীর সাবেক আইনি উপদেষ্টা। তিনি এখন নিজের পরিবার নিয়ে লুকিয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছেন।

 

আরেকজন শরণার্থী,আহমেদ যিনি তালেবানের হামলায় আহত হয়েছিলেন, এখন যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও তার বাবা-মা এবং ভাই-বোনদের নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছেন। তার পরিবার পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছে, কিন্তু তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। পাকিস্তান ইতোমধ্যে অবৈধ আফগান শরণার্থীদের বহিষ্কার করতে শুরু করেছে।

 

এছাড়াও মিনা নামে একজন নারী অধিকারকর্মী, পাকিস্তানে আটকে আছেন এবং আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তিনি গর্ভবতী এবং তার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। মিনার অভিযোগ, পাকিস্তান সরকার তাকে আফগানিস্তানে ফেরত পাঠাতে পারে, যেখানে তিনি মৃত্যুর হুমকির মুখে পড়বেন।

 

আফগান শরণার্থীরা এখন এক চরম সংকটের মুখোমুখি—একদিকে তাদের জীবন নিয়ে ঝুঁকি, অন্যদিকে আশ্রয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পথ বন্ধ। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সহযোগিতা এবং ন্যায়বিচারের আবেদন জানিয়েছেন। তথ্যসূত্র : বিবিসি


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী প্রেতাত্মাদের সুরে কথা বলছে : আমিনুল হক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী প্রেতাত্মাদের সুরে কথা বলছে : আমিনুল হক

ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে গণতন্ত্র-ভোটের অধিকার ফেরাতে সংকল্পবদ্ধ হতে হবে: তারেক রহমান

ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে গণতন্ত্র-ভোটের অধিকার ফেরাতে সংকল্পবদ্ধ হতে হবে: তারেক রহমান

আটঘরিয়ার চাঁদভা ইউনিয়ন কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আটঘরিয়ার চাঁদভা ইউনিয়ন কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

কবর জিয়ারত শেষে ফেলানীর বাবাকে বুকে জড়িয়ে ধরে মেয়ে হত্যার বিচারের আশ্বাস দেন

কবর জিয়ারত শেষে ফেলানীর বাবাকে বুকে জড়িয়ে ধরে মেয়ে হত্যার বিচারের আশ্বাস দেন

প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের সন্তানদের বৃত্তি দিলো সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট

প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের সন্তানদের বৃত্তি দিলো সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট

জেনিফার অ্যানিস্টনের সঙ্গে পরকীয়া, ডিভোর্সের পথে ওবামা!

জেনিফার অ্যানিস্টনের সঙ্গে পরকীয়া, ডিভোর্সের পথে ওবামা!

ময়মনসিংহে মহানগর কৃষকদলের উদ্যোগে কোকোর ১০ম মৃত্যবার্ষীকি পালিত

ময়মনসিংহে মহানগর কৃষকদলের উদ্যোগে কোকোর ১০ম মৃত্যবার্ষীকি পালিত

শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম: জেলা প্রশাসক

শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম: জেলা প্রশাসক

জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত না হলে গণঅভ্যুত্থানের সুফল স্থায়ী হবে না

জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত না হলে গণঅভ্যুত্থানের সুফল স্থায়ী হবে না

আরাফাত রহমান কোকো'র ১০ম বার্ষিকী উপলক্ষে  যুবদলের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরন

আরাফাত রহমান কোকো'র ১০ম বার্ষিকী উপলক্ষে যুবদলের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরন

ফরিদপুরে দুই শহীদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের খোঁজখবর নিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ

ফরিদপুরে দুই শহীদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের খোঁজখবর নিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ

সুন্নাত নামাজে উচ্চস্বরে কেরাত পড়া প্রসঙ্গে।

সুন্নাত নামাজে উচ্চস্বরে কেরাত পড়া প্রসঙ্গে।

আরাফাত রহমান কোকো’র আত্মার মাগফেরাত কামনায় লালমোহনে বিএনপির দোয়া মোনাজাত

আরাফাত রহমান কোকো’র আত্মার মাগফেরাত কামনায় লালমোহনে বিএনপির দোয়া মোনাজাত

রাবি ক্যাম্পাসে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু: অনুসন্ধান কমিটি গঠিত

রাবি ক্যাম্পাসে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু: অনুসন্ধান কমিটি গঠিত

প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে ছয় স্তরের নিরাপত্তা, নামছে ১৫,০০০ পুলিশ

প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে ছয় স্তরের নিরাপত্তা, নামছে ১৫,০০০ পুলিশ

কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে  দ্বীনের  সঠিক দাওয়াত পৌঁছে দিতে  হবে  ঃ আল্লামা সাজিদুর  রহমান

কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে দ্বীনের সঠিক দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে ঃ আল্লামা সাজিদুর রহমান

২০২৬ সালের জানুয়ারিতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র, জানাল জাতিসংঘ

২০২৬ সালের জানুয়ারিতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র, জানাল জাতিসংঘ

যুক্তরাষ্ট্রে করফাঁকির অভিযোগে ভারতীয় ব্যাবসায়ির ৩০ মাসের জেল

যুক্তরাষ্ট্রে করফাঁকির অভিযোগে ভারতীয় ব্যাবসায়ির ৩০ মাসের জেল

নামাজে যাওয়ার পথে ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা!

নামাজে যাওয়ার পথে ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা!

রাউজানে জুমার নামাজে যাবার পথে দিবালোকে গুলি করে ব্যবসায়িকে হত্যা

রাউজানে জুমার নামাজে যাবার পথে দিবালোকে গুলি করে ব্যবসায়িকে হত্যা