ইসরায়েল-হামাস বন্দি বিনিময়, মানবিক প্রচেষ্টার দ্বিতীয় ধাপ
২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৭ এএম | আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৩ এএম
ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দ্বিতীয় ধাপের বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। এই বিনিময়ের মাধ্যমে উভয় পক্ষের মধ্যে মানবিক সহমর্মিতা আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শনিবারের আজ স্থানীয় সময় সকাল ১০টা (০৮:০০GMT) এই বিনিময়ে ইসরায়েল চারজন ইসরায়েলি মহিলা সেনা সদস্যকে মুক্তি দেবে, এবং পাল্টা চুক্তি হিসেবে ২০০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি ইসরায়েলি ওফার কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন। ইসরায়েলের কারাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্দিদের মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। ফিলিস্তিনি বন্দিদের মধ্যে ৩০ জনের আজীবন কারাদণ্ড এবং ২০ জনের দীর্ঘমেয়াদী দণ্ড রয়েছে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে যে মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি রয়েছেন, যেমন জাকারিয়া জুবাইদি, আহমেদ আল-বারঘুতি, ওয়েল কাসেম এবং মাহমুদ আতাল্লাহ। এই বন্দিদের পরিচয় আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের প্রতিনিধিরা যাচাই করবেন, এবং তারা চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রধান কেন্দ্রগুলিতে অবস্থান করবেন।
প্রথম ধাপে, গত রবিবার (২১ জানুয়ারি) ইসরায়েল ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি দিয়েছিল, এবং হামাস তিনজন ইসরায়েলি বন্দিকে ছেড়ে দিয়েছিল। তিন ধাপের এই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে, জাতিসংঘ (UN) অভিযোগ করেছে যে, ইসরায়েল পশ্চিম তীরের জেনিন শহর ও এর শরণার্থী শিবিরে “যুদ্ধকালীন কৌশল” প্রয়োগ করছে। গত পাঁচ দিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে সেখানে কমপক্ষে ১৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অপরদিকে, UNRWA জানিয়েছে, গত সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর শীতের প্রকোপে গাজায় অন্তত সাতজন ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
ইসরায়েলি আক্রমণে গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৪৭,০০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। যুদ্ধের ফলে গাজা সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, মানুষ আশ্রয়হীন, ক্ষুধার্ত এবং রোগ-ব্যাধির শিকার।
এই বন্দি বিনিময় যুদ্ধবিরতি চুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা উভয় পক্ষের মধ্যে বিশ্বাস ও সহযোগিতা বাড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে, এই প্রচেষ্টা তখনই ফলপ্রসূ হবে যখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা,আনাদোলু এজেন্সি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
এবার ভালো উইকেটে হচ্ছে বিপিএল: নবি
আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় কাস্টমসের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : কুমিল্লার সেমিনারে বক্তারা
র্যাবের সাবেক ডিজি হারুনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
ইউনাইটেড বিমানে অপ্রত্যাশিত ঝাঁকুনি, ৩৮ জন আহত
কাঁচপুরে ৪,৮৫০ কেজি জাটকা জব্দ, মাদ্রাসা-এতিমখানায় বিতরণ
জামিন পেলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি, শুনানি ৪ ফেব্রুয়ারি
কুলাউড়ায় স্বাস্থ্যসেবায় ইতালি প্রবাসী রাজু'র ব্যতিক্রমী উদ্যোগ!
পূবালী ব্যাংক পিএলসি'র টাঙ্গাইলের প্রধান শাখা স্থানান্তর
এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক সংস্কার বেশি প্রয়োজন: অর্থ উপদেষ্টা
হাতে আংটি কিসের ইঙ্গিত! তবে কি চলতি বছরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন সুইফট?
ভোটার তালিকা নিয়ে অভিযোগ কাটিয়ে ওঠার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ: ইসি সানাউল্লাহ
বাংলাদেশেও সব মার্কিন সহায়তা বন্ধ: ইউএসএআইডি
মতলবে ইয়াবা ও গাঁজাসহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
এবার এমপি পদ থেকেও টিউলিপের পদত্যাগ দাবি, পিটিশন দাখিল
বেনাপোলে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস পালিত
কে এম সফিউল্লাহর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
যুদ্ধবিরতি ভেঙে লেবাননে ইসরায়েলি গুলিবর্ষণ, গুরুতর আহত পাঁচজন
‘বাংলা ভাষায় সাহিত্য রচনা করে বিশ্বের সাথে বাংলার পরিচয় ঘটিয়েছেন মহাকবি মধুসূদন দত্ত’
কুলাউড়ায় নাজমা বেগমের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল
জন্মদিনে শুভেচ্ছায় সিক্ত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল