ফের খুলছে গাজার রাফা সীমান্ত ক্রসিং
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৭ এএম | আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৭ এএম

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার রাফা সীমান্ত ক্রসিং শনিবার আবারও খুলবে, যা মিসরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে চতুর্থ দফার বন্দি ও জিম্মি বিনিময় সম্পন্ন হওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এক হামাস কর্মকর্তা ও আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।
রাফা সীমান্ত ছিল গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অন্যতম প্রধান পথ।
তবে গত বছরের মে মাসে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনি পাশ দখলে নেওয়ার পর থেকে এটি বন্ধ রয়েছে। মিসরসহ বিভিন্ন দেশ ও ত্রাণ সংস্থাগুলো একাধিকবার এর নিন্দা জানিয়েছে।
হামাস কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মধ্যস্থতাকারীরা হামাসকে জানিয়েছে, ইসরায়েল রাফা সীমান্ত শনিবার খুলতে সম্মত হয়েছে, বন্দি বিনিময়ের চতুর্থ দফা শেষ হওয়ার পর।’
সূত্রটি আরো জানিয়েছে, গাজায় আহতদের সরিয়ে নেওয়ার কাজও এই সীমান্ত দিয়ে সম্পন্ন হবে, যা গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তির অংশ।
এদিকে হামাসশাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রথম দফায় অসুস্থ ব্যক্তিদের একটি দল শনিবার চিকিৎসার জন্য মিসরে পাঠানো হবে।
গত সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাফা সীমান্তে তাদের পর্যবেক্ষণ মিশন আবারও শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই মিশনে ১৮ জন ইউরোপীয় ও স্থানীয় কর্মকর্তা এবং ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সের একটি নিরাপত্তা পুলিশ দল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইতালির সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই মিশন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে চালু করা হয়েছে এবং মিসর একে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে।
এর প্রধান লক্ষ্য প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩০০ আহত ও অসুস্থ ব্যক্তির পারাপার সমন্বয় ও সহায়তা করা।’
১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে হামাস গাজা থেকে জিম্মিদের মুক্তি দিতে শুরু করে। এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (আইসিআরসি) মাধ্যমে ১৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যার বিনিময়ে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার যে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে, তারা হলেন- ইয়ারদেন বিবাস, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বধারী কিথ সিগেল ও ফরাসি নাগরিকত্বধারী ওফের কালদেরন। বিনিময়ে ইসরায়েল ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে, মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনির মধ্যে ১৮ জন যাবজ্জীবন কারাভোগ করছিলেন এবং ৫৪ জনের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ড ছিল। বাকি ১১ জনকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আটক করা হয়েছিল।
প্রাথমিকভাবে, ৯০ জন বন্দী মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু পরে এই সংখ্যা ১৮৩-তে বাড়ানো হয়েছে। ফিলিস্তিনি বন্দিদের সোসাইটির মুখপাত্র আমানি সারাহনেহ জানান, এই তথ্য এখন হালনাগাদ করা হয়েছে। সূত্র : এএফপি, আল জাজিরা
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

গাজার পুনর্গঠনে আরব দেশগুলোর বিকল্প পরিকল্পনা

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা বন্ধ, চাপে ইউক্রেন

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মো: নুর নামক হেড মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা

সিংগাইর থানা পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্য জমজমাট শিরোনামে নিউজ প্রকাশের জেরে সিংগাইর থানার ওসি ক্লোজড

গাজার পানি ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিল ইসরায়েল

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক আরোপ করে বাণিজ্য যুদ্ধে নামল কানাডা

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২১ জন নিহত

ফিলিস্তিন-আফগানিস্তান ও সুদান সঙ্কট উত্তরণে হাজারো মুসল্লির দোয়া

৫৪০ টাকা কেজি দরে ভারত থেকে এলো কাজুবাদাম

দিয়াজ-রদ্রিগোর গোলে মাদ্রিদ ডার্বিতে রিয়ালের জয়

'রামাদান ব্রেকে' ম্যাচের মাঝপথে রোজা ভাঙার সুযোগ পাচ্ছেন মুসলিম খেলোয়াড়েরা

রোজা রেখে মুখে নিয়ে লবন বা চিনির পরিমাণ যাচাই করা প্রসঙ্গে।

ইফতারে ফুঠপাতের দোকানগুলোই নিম্নবিত্তের চাহিদা মেটায়

সাভারে ফুটপাত হকার উচ্ছেদের ভয় দেখিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজের কথা বলে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

সরকারের কাছে ৭ হাজার কোটি টাকা চায় বিকেএমইএ

কাঠগড়ায় চিন্তিত সাদিক এগ্রোর ইমরান হোসেন জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপে তীব্র হচ্ছে বাণিজ্য উত্তেজনা

মুক্তাগাছায় বাস চালককে পেটালেন ইউএনও

সাপাহারে প্রশাসনের উদ্যোগে ন্যায্যমূল্যে গরুর গোশত বিক্রি

সাংবাদিকতা সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান অর্জনে প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি : খুবি ভিসি