যেভাবে ভারত-পাকিস্তান সংকটের কেন্দ্রে কাশ্মীর

Daily Inqilab অনলাইন ডেস্ক

২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১২ পিএম | আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৩ পিএম

 

সাত দশকের বেশি সময় ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু কাশ্মীর অঞ্চল। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল ২০২৫) কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের গুলিতে ২৬ জন নিহত হওয়ার পর আবারও আলোচনায় এসেছে এই অঞ্চলটি।

 

১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ এবং পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে, পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই ভূখণ্ড নিয়ে দুটি যুদ্ধ করেছে। দুই দেশই এই অঞ্চলের সম্পূর্ণ নিজেদের দাবি করে, তবে নিয়ন্ত্রণ করে আংশিকভাবে।

 

চীনও এই অঞ্চলের কিছু অংশে শাসন পরিচালনা করে, এবং এটি বিশ্বের অন্যতম অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সামরিকায়িত অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। ২০১৯ সালে, ভারতের সংসদ এই অঞ্চলের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে, যা এই অঞ্চলকে স্বায়ত্তশাসনের কিছুটা অধিকার দিয়েছিল।

 

তখন জম্মু-কাশ্মীর দুই অংশকে দুইটি কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। এরপর থেকে ভারত সরকার বারবার দাবি করেছে যে এই অঞ্চলে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ থামানো গেছে। তবে মঙ্গলবারের মর্মান্তিক ঘটনার পর ভারত সরকারের সে দাবি নিয়ে আবার প্রশ্ন তুলছেন সমালোচকরা ।

 

১৯৪৭ থেকে ইতিহাস

ব্রিটিশ শাসন থেকে ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর সে সময়কার রাজকীয় শাসকদের পছন্দ অনুযায়ী যে কোনও রাষ্ট্রের সাথে যোগ দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়।

 

তৎকালীন কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং ছিলেন একজন হিন্দু শাসক, কিন্তু এই অঞ্চলটি ছিল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাই দুই দেশের মাঝে অবস্থিত এই অঞ্চল নিয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তিনি পাকিস্তানের সাথে পরিবহন এবং অন্যান্য পরিষেবা বজায় রাখার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন 'স্থবির' চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

 

১৯৪৭ সালের অক্টোবরে, মুসলিমদের উপর আক্রমণের খবরে এবং হরি সিং-এর বিলম্ব করতে থাকা কৌশলে হতাশ হয়ে পাকিস্তানের নৃগোষ্ঠী কাশ্মীরে আক্রমণ করে। মহারাজা সিং তখন ভারতের সামরিক সহায়তা চেয়েছিলেন।

 

ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেন বিশ্বাস করতেন যে, কাশ্মীর ভারতের সঙ্গে সাময়িকভাবে যুক্ত হলে শান্তি বজায় থাকবে এবং পরে তার চূড়ান্ত অবস্থান নিয়ে গণভোট হবে।

 

সেই মাসেই হরি সিং 'অধিগ্রহণ চুক্তি' স্বাক্ষর করেন, যার মধ্য দিয়ে পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতির নিয়ন্ত্রণ ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়।

 

ভারতীয় সেনাবাহিনী ভূখণ্ডের দুই-তৃতীয়াংশ দখল করে নেয়, আর পাকিস্তান উত্তরের বাকি অংশ দখল করে। ১৯৫০-এর দশকে চীন এ রাজ্যের পূর্ব অংশ আকসাই চিন দখল করে।

 

এই 'অধিগ্রহণ চুক্তি' আগে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, না কি ভারতীয় সেনা আগে প্রবেশ করেছিল, সেটি এখনও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বড় বিতর্কের বিষয়।

 

ভারত জোর দিয়ে বলে যে মহারাজা প্রথমে স্বাক্ষর করেছিলেন, ফলে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বৈধ। আর পাকিস্তান বলে মহারাজা সৈন্য আগমনের আগে স্বাক্ষর করেননি, তাই ভারত এবং মহারাজা পাকিস্তানের সাথে হওয়া 'স্থগিত চুক্তি' লঙ্ঘন করেছেন।

 

পাকিস্তান কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি গণভোট দাবি করে, আর ভারত বলে যে ধারাবাহিকভাবে রাজ্য ও জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কাশ্মীরিরা ভারতের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

 

পাকিস্তান জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রস্তাবের কথা বলে, যেখানে জাতিসংঘ-পরিচালিত গণভোটের কথা বলা হয়েছে, তবে ভারত বলে ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি অনুযায়ী সমস্যার সমাধান রাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই হতে হবে।

 

কয়েক দশক ধরে দুই পক্ষের এমন অবস্থানে খুব একটা নড়চড় হয়নি। এছাড়াও কিছু কাশ্মীরি রয়েছে যারা স্বাধীনতা চায় – যেটা ভারত বা পাকিস্তান কেউই মেনে নিতে রাজি না। কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান ১৯৪৭-৪৮ এবং ১৯৬৫ সালে যুদ্ধ করেছে।

 

তারা শিমলা চুক্তিতে মূল যুদ্ধবিরতির যে রেখা ছিল সেটিকে নিয়ন্ত্রণ রেখা হিসেবে চূড়ান্ত করে, তবে এতে সংঘর্ষ বন্ধ হয়ে যায়নি। ১৯৯৯ সালে সিয়াচেন হিমবাহ অঞ্চলে আরও সংঘর্ষ হয় যেটি ছিল নিয়ন্ত্রণ রেখার বাইরে। ২০০২ সালেও দুই দেশ আবার যুদ্ধের কাছাকাছি চলে যায়।

 

১৯৮৯ সালে ইসলামপন্থীদের নেতৃত্বে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। বিতর্কিত 'সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ ক্ষমতা আইন' (এএফএসপিএ) চালু করে ভারত সেনাবাহিনীকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেয়।

 

এ আইন নিয়ে মাঝে মাঝে পর্যালোচনা হলেও, এটি এখনও ভারত-শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে কার্যকর।

 

কাশ্মীরের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ সময়:

১৮৪৬ - কাশ্মীর রাজ্য গঠিত হয়।

১৯৪৭-৪৮ - পাকিস্তানি নৃগোষ্ঠী বাহিনীর হামলার পর কাশ্মীরের মহারাজা ভারতের সঙ্গে অধিগ্রহণ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।

১৯৪৯ - ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে কাশ্মীর ভাগ হয়।

১৯৬২ - আকসাই চিন সীমান্ত নিয়ে চীনের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ হয়। এতে ভারত পরাজিত হয়।

১৯৬৫ - দ্বিতীয় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয় যেটি যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

কাশ্মীরি জাতীয়তাবাদের উত্থান: জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট প্রতিষ্ঠিত হয়, যার লক্ষ্য ভারত ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরকে পুনরায় একত্রিত করে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন।

১৯৭২ - শিমলা চুক্তি : যুদ্ধের পর ভারত ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা চূড়ান্ত করে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় এবং আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে একমত হয়। ১৯৭১ পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়।

১৯৮০-৯০ দশক : ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকে সশস্ত্র প্রতিরোধ, গণবিক্ষোভ ও পাকিস্তান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর উত্থান ঘটে। হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়।

১৯৯৯ - কারগিল যুদ্ধ: পাকিস্তান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী ভারতের অধীন কারগিল অংশে অনুপ্রবেশ করলে ভারত ও পাকিস্তান আবার স্বল্পমেয়াদী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

২০০৮ – ভারত ও পাকিস্তান ছয় দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো নিয়ন্ত্রণ রেখা পারাপারের বাণিজ্য রুট চালু করে।

২০১০ - ভারত-শাসিত কাশ্মীরে ভারত-বিরোধী বিক্ষোভে শতাধিক যুবক নিহত হয়।

২০১৫ – রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণ: জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনে ভারতের ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি প্রথমবারের মতো এ অঞ্চলে বড় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয় যখন তারা আঞ্চলিক মুসলিম পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সাথে আংশিকভাবে জোট সরকার গঠন করে।

২০১৯ – ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামাতে ভারতের সেনাবাহিনীর কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ৪০ জন সেনা নিহত হয়। অগাস্ট মাসে ভারত সরকার জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে, যা রাজ্যটিকে উল্লেখযোগ্য স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিল। এর পর রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তর করা হয়। সূত্র: বিবিসি।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

চীনে পর্যটকবাহী একাধিক নৌকাডুবিতে নিহত অন্তত ১০
কুখ্যাত আলকাট্রাজ কারাগার পুনরায় খোলার নির্দেশ ট্রাম্পের
তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়া নিয়ে ট্রাম্পের স্পষ্ট বার্তা
বিদেশে নির্মিত চলচ্চিত্রে শতভাগ শুল্কারোপের ঘোষণা ট্রাম্পের
বাণিজ্যযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চীনের অস্ত্র ‘টিকটক’
আরও
X
  

আরও পড়ুন

সেন্ট্রাল শরীয়াহ্ বোর্ড নির্বাহী কমিটির ৭০তম সভা অনুষ্ঠিত

সেন্ট্রাল শরীয়াহ্ বোর্ড নির্বাহী কমিটির ৭০তম সভা অনুষ্ঠিত

লালপুরে আরসিসি ঢালাই কাজে অনিয়ম, ২৪ ঘন্টা না যেতেই রাস্তায় ফাঁটল

লালপুরে আরসিসি ঢালাই কাজে অনিয়ম, ২৪ ঘন্টা না যেতেই রাস্তায় ফাঁটল

বেরোবির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা, বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগ দাবি

বেরোবির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা, বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগ দাবি

চীনে পর্যটকবাহী একাধিক নৌকাডুবিতে নিহত অন্তত ১০

চীনে পর্যটকবাহী একাধিক নৌকাডুবিতে নিহত অন্তত ১০

টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

রাবিতে পাঁচ ঘণ্টার র‌্যাগিং: কুকুর সেজে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভয়ভীতি

রাবিতে পাঁচ ঘণ্টার র‌্যাগিং: কুকুর সেজে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভয়ভীতি

সুন্দরবনের করমজলে মহাবিপন্ন বাটাগুর বাসকার ডিম ফুটে জন্মাল ৬৫ টি বাচ্চা

সুন্দরবনের করমজলে মহাবিপন্ন বাটাগুর বাসকার ডিম ফুটে জন্মাল ৬৫ টি বাচ্চা

শেরপুরে বাড়ছে কলার চাষ! লাভের মুখ দেখছেন বাগান মালিকরা

শেরপুরে বাড়ছে কলার চাষ! লাভের মুখ দেখছেন বাগান মালিকরা

যাত্রা শুরু করলো পিনাকী ভট্টাচার্যের ইংরেজি নতুন চ্যানেল

যাত্রা শুরু করলো পিনাকী ভট্টাচার্যের ইংরেজি নতুন চ্যানেল

সড়ক নির্মাণে দেড় বছরের কাজ হয়নি ৬ বছরেও

সড়ক নির্মাণে দেড় বছরের কাজ হয়নি ৬ বছরেও

কাতার সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাবাহিনী প্রধান

কাতার সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাবাহিনী প্রধান

সাতক্ষীরায় এক লক্ষ মামলা পেইন্ডিং "ন্যায়কুঞ্জ" উদ্বোধনকালে বিচারপতি মাহমুদুল হক

সাতক্ষীরায় এক লক্ষ মামলা পেইন্ডিং "ন্যায়কুঞ্জ" উদ্বোধনকালে বিচারপতি মাহমুদুল হক

উপহার দিয়ে চিকিৎসকদের প্রভাবিত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধের সুপারিশ

উপহার দিয়ে চিকিৎসকদের প্রভাবিত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধের সুপারিশ

কুখ্যাত আলকাট্রাজ কারাগার পুনরায় খোলার নির্দেশ ট্রাম্পের

কুখ্যাত আলকাট্রাজ কারাগার পুনরায় খোলার নির্দেশ ট্রাম্পের

নাচোলে ২৯ বছর পর মামলার রায় পেয়ে উচ্ছেদ অভিযান কার্যকর

নাচোলে ২৯ বছর পর মামলার রায় পেয়ে উচ্ছেদ অভিযান কার্যকর

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে কাউকে চাপ দেওয়া হবে না: ইইউ

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে কাউকে চাপ দেওয়া হবে না: ইইউ

বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার সুপারিশ

বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার সুপারিশ

বাঁচতে চায় ক্যান্সার আক্রান্ত তৃতীয় শ্রেণি শিক্ষার্থীর সিয়াম, সাহায্যর আবেদন

বাঁচতে চায় ক্যান্সার আক্রান্ত তৃতীয় শ্রেণি শিক্ষার্থীর সিয়াম, সাহায্যর আবেদন

পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঝিনাইদহে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঝিনাইদহে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

গাজীপুরে হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ৫৪

গাজীপুরে হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ৫৪