শর্ত সাপেক্ষে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চান জোলানি

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৯ পিএম | আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২১ পিএম

সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা জোলানি সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, যদি "সঠিক পরিস্থিতি" তৈরি হয়, তবে তাঁর দেশ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে প্রস্তুত। এই ঘোষণাটি মধ্যপ্রাচ্যে এক নতুন বাস্তবতার দিকও নির্দেশ করে, যেখানে সিরিয়া আগের তুলনায় অনেকটা আলাদা অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে সিরিয়া আন্তর্জাতিক রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে।

 

এটি ঘটে যখন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান কোরি মিলস সিরিয়া সফরে গিয়ে জোলানির সঙ্গে ৯০ মিনিটের একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা সিরিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা শিথিলের জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করেন। মিলস স্পষ্টভাবে বলেছেন, সিরিয়াকে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে, যেমন রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করা, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে অংশ নেওয়া এবং হায়াত তাহরির আল-শাম নামক যোদ্ধাদের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এ ছাড়াও, ইসরাইলকে আশ্বস্ত করা প্রয়োজন, কারণ ইসরাইল সিরিয়ায় হামলা চালাতে শুরু করেছে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখল করে রেখেছে।

 

এদিকে, সিরিয়ার অর্থনীতি চরম দুরবস্থার মধ্যে রয়েছে, এবং দেশটির পুনর্গঠনের জন্য প্রায় ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে তেলসমৃদ্ধ দেশগুলো এবং তুরস্কের মতো সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীরা পিছিয়ে যাচ্ছে। তবে, কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। ২০২৩ সালের মার্চে, যুক্তরাষ্ট্র কাতারকে সিরিয়ায় প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের অনুমতি দিয়েছে এবং সৌদি আরব সিরিয়ার ঋণ পরিশোধে সহায়তা করতে প্রস্তুত। এসব পদক্ষেপ সিরিয়াকে আন্তর্জাতিক মহলে পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে।

 

অবশেষে, সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী সম্প্রতি ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে, যা সিরিয়ার জন্য আন্তর্জাতিক চাপের একটি অংশ। জোলানি ও তাঁর সরকার এখন তুরস্কের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি বিষয়ে আলোচনা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বড় ধরনের পদক্ষেপ না নিলে এসব পদক্ষেপের বাস্তবিক প্রভাব সীমিত হবে। সিরিয়া এখন ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইলেও, এতে যে চ্যালেঞ্জ এবং বাধা রয়েছে, তা স্পষ্ট। তথ্যসূত্র : মিডল ইস্ট আই

 

 

 

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

শেষ মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে ট্রাম্পের প্রতি যে আহ্বান হামাসের
তুরস্ক এখন শান্তি ও কূটনীতির এক শক্তিশালী নাম: এরদোগান
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মামলা
তাপ-খরায় বিশ্বজুড়ে হুমকিতে প্রধান ফসল উৎপাদন
সউদীর উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়লেন ট্রাম্প
আরও
X
  

আরও পড়ুন

কোথায় কিভাবে লুকিয়ে ছিল স্বৈরাচারের দোসর মমতাজ?

কোথায় কিভাবে লুকিয়ে ছিল স্বৈরাচারের দোসর মমতাজ?

প্রবাসীদের সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে এবি পার্টির স্মারকলিপি প্রদান

প্রবাসীদের সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে এবি পার্টির স্মারকলিপি প্রদান

পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার পথে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত

পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার পথে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত

রায়পুর পৌরসভার অপসারিত পলাতক মেয়রের সই নকল করে কমিটি পরিবর্তন, ৯ কোটি টাকা লুটের পাঁয়তারা!

রায়পুর পৌরসভার অপসারিত পলাতক মেয়রের সই নকল করে কমিটি পরিবর্তন, ৯ কোটি টাকা লুটের পাঁয়তারা!

শেষ মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে ট্রাম্পের প্রতি যে আহ্বান হামাসের

শেষ মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে ট্রাম্পের প্রতি যে আহ্বান হামাসের

বিপুর দুর্নীতি অনুসন্ধানে ১৫৬ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নথি তলব দুদকের

বিপুর দুর্নীতি অনুসন্ধানে ১৫৬ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নথি তলব দুদকের

তুরস্ক এখন শান্তি ও কূটনীতির এক শক্তিশালী নাম: এরদোগান

তুরস্ক এখন শান্তি ও কূটনীতির এক শক্তিশালী নাম: এরদোগান

প্রথমবার চট্টগ্রামে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, যা থাকছে কর্মসূচিতে

প্রথমবার চট্টগ্রামে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস, যা থাকছে কর্মসূচিতে

হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো সাবেক এমপি মমতাজকে

হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো সাবেক এমপি মমতাজকে

রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মামলা

রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মামলা

শিশু আছিয়া হত্যা মামলার রায় ১৭ মে

শিশু আছিয়া হত্যা মামলার রায় ১৭ মে

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেত্রী জিনাত সোহানা গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেত্রী জিনাত সোহানা গ্রেপ্তার

১১ হাজার ৬শত পিস ইয়াবাসহ ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করছে কোম্পানীগঞ্জ পুলিশ

১১ হাজার ৬শত পিস ইয়াবাসহ ২জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করছে কোম্পানীগঞ্জ পুলিশ

দেশি-বিদেশি চক্ষু বিশেষজ্ঞদের তিন দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু

দেশি-বিদেশি চক্ষু বিশেষজ্ঞদের তিন দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু

তাপ-খরায় বিশ্বজুড়ে হুমকিতে প্রধান ফসল উৎপাদন

তাপ-খরায় বিশ্বজুড়ে হুমকিতে প্রধান ফসল উৎপাদন

সউদীর উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়লেন ট্রাম্প

সউদীর উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়লেন ট্রাম্প

রংপুরে কেন্দ্রে যাওয়ার পথে বাসচাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ নিহত ৩

রংপুরে কেন্দ্রে যাওয়ার পথে বাসচাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ নিহত ৩

জামায়াতের আপিল শুনানি বুধবার পর্যন্ত মুলতবি

জামায়াতের আপিল শুনানি বুধবার পর্যন্ত মুলতবি

বহুল আলোচিত রমনা বটমূলে বোমা হামলার রায়ের শেষ অংশ ঘোষণা চলছে

বহুল আলোচিত রমনা বটমূলে বোমা হামলার রায়ের শেষ অংশ ঘোষণা চলছে

ভাগ্যিস বিজয় ছিল, নাহলে মেয়ের বিয়ে দিতে পারতাম না'

ভাগ্যিস বিজয় ছিল, নাহলে মেয়ের বিয়ে দিতে পারতাম না'